বাংলা সাহিত্যের দীর্ঘ ইতিহাসে যারা পথপ্রদর্শক হয়ে আছেন, আল মাহমুদ তাঁদেরই একজন। তিনি শুধু একজন কবি নন, তিনি ছিলেন এক প্রবল সাহিত্যস্রষ্টা, যিনি কাব্য, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, একই সাথে ভ্রমণ সাহিত্যেও বিচরণ করেছেন সমানতালে। তাঁর কবিতায় আধুনিকতা এসেছে নিজস্বতায়। তিনি সাহসের সাথে আঞ্চলিক শব্দ, লোকজ উপমা ও বিশ্বাস ব্যবহার করেছেন। বিশ্বাস, আদর্শ ও চেতনার পালাবদলের মধ্য দিয়ে নিজেকে বারবার পরখ করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আল মাহমুদ একজন বিশ্বাসী কবি হিসেবেই পরিচিত হয়েছেন।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেমুসাসের ১২৩৮তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদের সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী উপরোক্ত কথা বলেন।

গত (১৭ জুলাই ২০২৫) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ছড়াকার আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় আসরে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট আবু মালিহা, কবি ও গবেষক শামসীর হারুনুর রশীদ ও কবি মাহফুজ জোহা।

সাহিত্য আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মুহা. হুসাইন হামিদ। আসরে লেখা পাঠে অংশ নেন ও উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গল্পকার সেলিম আউয়াল, সহপাঠাগার সম্পাদক কবি ইশরাক জাহান জেলী, কার্যকরী পরিষদ সদস্য কবি মুহাম্মদ ফয়জুল হক, হাসান চৌধুরী, কামাল আহমদ, মকসুদ আহমদ লাল, ওমর ফারুক, সাইদুর রহমান মোরাদ, দিদার আহমদ, সুয়েব আহমদ প্রমুখ। আসরে গান পরিবেশন করেন কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল ও লিলু মিয়া। সেরা লেখক মনোনীত হন আব্দুস সামাদ।

-কামরুল আলম