বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেক কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও নাটক রচিত হয়েছে। একাত্তর পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশের কবি-লেখকগণ মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অজস্র কবিতা ছোটগল্প, উপন্যাসসহ অমর সাহিত্য রচনা করে গেছেন। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মতোই চব্বিশের জুলাই বিপ্লবও লেখালেখির জন্য প্রাসঙ্গিক। আর তাই জুলাই বিপ্লব নিয়েও লেখালেখি হচ্ছে। এ বিপ্লব গোটা জাতিকে নাড়া দিয়ে গেছে গভীরভাবে। একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা হারিয়ে যেতে বসেছিল জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা বিগত স্বৈরাচারী সরকারের হাতে। গুম-খুন-আর্থ-সাংস্কৃতিক নৈরাজ্যের নরকপুরীতে পরিণত হয়েছিল পুরো বাংলাদেশ। চব্বিশের ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। তাই জুলাই বিপ্লবের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে কবি-সাহিত্যিকদেরকে লেখালেখি অব্যাহত রাখতে হবে।
ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ১২৩৬তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর গত (০৩ জুলাই ২০২৫) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেমুসাসের সাহিত্য আসর কক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ছাড়াকার আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় আসরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের কার্যকরী পরিষদ সদস্য কবি মুহাম্মদ ফয়জুল হক, ছড়াকার ও চিত্রশিল্পী কবির আশরাফ, কবি ও কথাসাহিত্যিক মাহফুজ জোহা।
সাহিত্য আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দিদার আহমদ। আসরে লেখা পাঠে অংশ নেন জুবের আহমদ সার্জন, কামাল আহমদ, আব্দুল আজাদ চৌধুরী, মুহা. হুসাইন হামিদ, এম এ ওয়াহিদ চৌধুরী, মো. মুশফিকুর রহমান রাফি, মুহাম্মদ মুশতাক আহমদ প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, মো. বাহাউদ্দিন বাহার ও লিলু মিয়া। সেরা লেখক মনোনীত হন মুহা. হুসাইন হামিদ।
-কামরুল আলম