ওমর বিশ্বাস
বায়ুকে কাজে লাগিয়ে যে বলয় তৈরি করা হয়েছে সেই তরঙ্গকে ব্যবহার করেই তারা জানার চেষ্টা করছে কোথায় তাদের সমস্যা। কিভাবে হচ্ছে এই সমস্যা। তাদের প্রাথমিক ধারণা বৃষ্টি হলে বাড়তি কিছু একটা ঘটছে। তারা ধারণা করছে যেখান থেকে এই বিপত্তির সৃষ্টি সেখানে এমন কিছু ধাতব পদার্থ আছে যা তাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। অথবা কোনো তৃতীয় কিছুর প্রভাবে সাধারণ মাত্রার থেকে শক্তিশালী মাত্রায় পরিণত হচ্ছে। ফলে তার প্রভাবে বদলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ প্রবাহের গতিপথ। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নিরাপত্তা তরঙ্গ।
কেন এরকম ঘটছে সে সম্পর্কে এর বেশি তারা অনুমান করতে পারে না। কোনো ধারণা নাই এখন পর্যন্ত। এদিকে আসিফও জানে না তার সেই কুড়ানো তারে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কোথাও যেন কিছু ঘটেছে Ñ এরকম কিছু একটা তার মনের ভিতর কাজ করছে। সে জানবে কি করে পড়া বাদে সে তো কোনোকিছু নিয়ে কাজ করছে না। ওদের মতো কোনো বিশাল প্রযুক্তি নাই আসিফের। বৃষ্টিতে সুবিধা পাওয়া যায় কিংবা এই এলাকায় বিরাট কিছু ঘটতে যাচ্ছে Ñ এসব কিছুই জানে না আসিফ।
ওই একটা তার মনের ভিতর খচখচ করছে। সে ভাবে, কি হতে পারে সেটা? ঘটতে পারে এমন কিছু যা নিয়ে তার কোনো ধারণাই নাই?
একটা তারই বিপত্তির কারণ। একটা তারই মহা বিপদের হাত থেকে রক্ষার কারণ। অথচ কেউ-ই সেটা জানে না। এখন পর্যন্ত আসিফেরও মাথায় নাই যে সে কোনো একটা কিছুতে ক্রমেই জড়িয়ে যাচ্ছে।
তারা একটু একটু করে লোকালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বলা আছে, ভিড়ের মধ্যে তারা কথা কম বলবে। নিজেদের মতো করে লোকজনকে পর্যবেক্ষণ করবে। তাদের টার্গেট অনুযায়ী লোক বাছাই করে রাখবে যাদেরকে তারা পৃথিবী থেকে ধরে নিয়ে যাবে। কিছুদিন ভূ-পৃষ্ঠে মানুষ আতঙ্কিত থাকলেও ওরা ওদের কাজ চালিয়ে যাবে। আবার স্বল্প সময়ের মধ্যে ফেরত আসবে এলিয়েনদের নিয়ে যাওয়া মানুষগুলো। এরাই পরে সময়মতো তাদের লোক হয়ে এই পৃথিবীতে কাজ করবে।
এলিয়েনদের এই এলাকা সম্পর্কে ইতোমধ্যে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। এখানে লোকজন বেশি নাই। যারা আছে তাদের মধ্যে লেখাপড়া জানাশোনার সংখ্যা কম। তাদের নিয়ে কোনো লাভ নাই। যারা শিক্ষিত তারা একটু দূরে থাকে। যদিও তারা ইচ্ছা করেই এই জায়গা বেছে নিয়েছে তাদের পরিকল্পনা মতো। তাদের এখন লোকবাছাই চলছে। (চলবে)