পর্ব : ১০

ওমর বিশ্বাস

এদের শরীরে একটা সকেট বসানো আছে। ওটাতে সিস্টেম করা। এরা পৃথিবীর মানুষের মতোই নাম রাখে। ভূ-পৃষ্টে যখন তারা পা দেবে মাটি স্পর্শ করার সাথে সাথে তাদের সেন্সর ডিভাইজ কাজ শুরু করে দেবে। ডিভাইজে তাদের নাম বদলে যাবে মানুষের মতো। এটা ওদের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় করা তারা লোকালয়ে ওই নাম ব্যবহার করবে। সেটা যুক্ত থাকবে মূল উপগ্রহের সাথে। তাদের পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে উপগ্রহের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। নিজেদের মধ্যে ওদের নিজস্ব নাম আছে। পৃথিবীর মানুষের সাথে তাদের নামের মিল নাই। ভূ-পৃষ্ঠে কাজ করবে মানুষের মতো নাম নিয়ে যাতে কাজে, চলাফেরায় সুবিধা হয়।

অভিযান বা কোনো কাজ ছাড়া তাদের চলাফেরায় কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। তাদের নিজেদের বলয়ের ভিতর স্বাধীনতা আছে। স্বাচ্ছন্দে যে কোনো কাজ করতে পারে। পৃথিবীতে এসে তাদের সমস্যা হচ্ছে কয়েক জায়গায়। তাদের কাজে যেখানে সেখানে ফেলে রাখা প্লাস্টিকের ব্যাগ, পলিথিনের জন্য ঝামেলা হয়। তাই এটাকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই প্লাস্টিকের উপদ্রব থেকে কিভাবে নিজেদের রক্ষা করে চলা যায় তা নিয়ে গবেষণা চলছে। তারা প্লাস্টিকের বিষয়টি সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারেনি। তাদের ওখানটায় প্লাস্টিকমুক্ত। তারা ফাইবার ধরনের কি যেন একটা ব্যবহার করে। তারা আসলে ভাবতে পারেনি এটা তাদের এতোটা ঝামেলা করবে। হাঁটতে গেলে দূর থেকেও যেন প্লাস্টিকগুলো তুলার মতো উড়ে এসে পায়ে জড়িয়ে যায়। কোত্থেকে আসে যে জানে। সুরসুর করে চলে আসে। এই নিয়ে তারা খুবই বিরক্ত। গায়ে লাগলেই বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। ছাড়ানোও যায় না, যেতেও চায় না। এতে মানুষের দৃষ্টি সহজে তাদের উপর পড়ে। এর জন্য ধরা খেয়ে যেতে পারে - এটাই তাদের ভয়।

আরেকটা জিনিস তাদের এড়িয়ে চলার জন্য বলা হয়েছে, তা হলো লোহা। তাদের শরীরের সাথে পথেঘাটে পড়ে থাকা লোহাগুলো ঝামেলা করে। ভাঙা লোহাগুলো ঝামেলা করে বেশি। যে সব লোহার উপরে রং করা আছে সে সব নিয়ে সমস্যা নাই। সেগুলোর রঙের জন্য তাদের কোনো ঝামেলা হয় না। রঙ ছাড়া লোহা সামনে পড়লেই হলো, টেনে ধরতে চায়। চুম্বকের মতো। চলার গতি কমিয়ে দেয়, মাঝেমধ্যে গতিপথও বদলে যেতে চায় লোহার টানে। লোহা ওদের দূর থেকেই যেন টেনে ধরতে চায়। এই অসুবিধার কথা মূল জায়গায় জানানো হয়েছে। তারা বিকল্প উপায় বের করার চেষ্টা করছে। এর জন্য আলাদা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। তারা আশাবাদী যে এটা থেকে সহজে উদ্ধার পাওয়া যাবে। যত তাড়াতাড়ি হবে ততই তাদের জন্য ভালো। কিন্তু পলিথিনটা তাদের জন্য দুঃশ্চিন্তার কারণ। (চলবে)