ওমর বিশ্বাস

এলিয়েনরা এর আগেও অসংখ্যবার পৃথিবীতে এসে ঘুরে গেছে। এই কাজের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বিপদের মুখোমুখি তাদের হতে হয়নি। জায়গাটা বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি বলে এখানকার বিরাট একটা এলাকা পানিতে ডুবে আছে। দক্ষিণ দিকের কোনো দেশের অস্তিত্ব মানুষের চোখের সীমানার মধ্যে পড়ে না এই এলাকা থেকে। মানুষ আছে খুবই কম। সচরাচর কারোর পদচারণা এখানে প্রয়োজন বলা যায় হয় না। তাই এখানে মানুষের হুমকি এড়িয়ে কাজ করা যায়। তারা হিসাব করেই এই এলাকায় এসেছে। অনেক ভেবেচিন্তে জায়গাটা বেছে নিয়েছে। এটা একটা দেশের জন্য প্রত্যন্ত এলাকা, তাই এখানে নিরিবিলি কাজ করা সুবিধা। বসতি হালকা বলে মানুষের চোখ এড়িয়ে চলার সুবিধা আছে। জরুরি সময় মানুষের ভিড়ে মিশে কাজ করতে হবে তাও তাদের

মাথায় আছে।

তবে তাদের হিসাবে একটা ভুল হয়েছিল। তাদের ধারণা ছিল এখানকার মানুষ এখনো জীবনযাত্রায় অনেক পিছনে। পৃথিবী যে এগিয়ে গেছে সামনের দিকে এবং এর থেকে আরো সামনে এগিয়ে যাবে সেখান থেকে এরা পিছিয়ে থাকবে অনেক। যে প্রযুক্তি আর জ্ঞানের কল্যাণে এলিয়েনরা অগ্রসর ভাবে নিজেদের। তারা ভেবেছিল সেই প্রযুক্তির ছোঁয়া এই অজপাড়াগাঁয়ে এখনো লাগেনি। বাস্তবে এই প্রযুক্তিকে ধারণ করে এই এলাকার মানুষ ক্রমেই শিক্ষিত হয়ে উঠছে।

বিশেষজ্ঞরা সারারাত ধরে চেষ্টা করেছে ওটাকে বের করতে, পারেনি। তারা আবার ফিরে গেছে তাদের মূল আস্তানায়। আর একটু পরে পৃথিবীতে সূর্য উঠবে। তাদের থাকার খুব দরকার ছিল। পারল না। আর কিছুক্ষণ থাকলে কাজ শেষ করতে পারতো বলে তারা আশাবাদি ছিল। একটু বেশি সময় নিয়ে কাজ করতে পারলেই হতো। কিভাবে ছিদ্র হলো তা বের করার জন্য ছিদ্র ধরে এগুতে হবে। প্রয়োজন হলে শহরের ভিতর যেতে হবে। ব্যাপক এলাকা জুড়ে অনুসন্ধান চালাতে হবে এর উৎস বের করার জন্য। এর জন্য কত সময় নিয়ে কাজ করতে হতে পারে তা বলা মুশকিল।

এই মুহূর্তে তারা শহরে যাবে কি না তাই নিয়ে প্রশ্ন। এখন গেলে প্রায় দলবল নিয়ে প্রায় শতাধিক জনকে রের হতে হবে। শহর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে হবে উপগ্রহটির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। ছিদ্রের সাথে তাদের পয়েন্ট টু পয়েন্ট মিলতে হবে। এতে লোকালয়ের কাছাকাছি হতে হবে। হতে হবে প্রয়োজনে মানুষের মুখোমুখি। নানা দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। যাদের সাথে মিশে গিয়ে কাজ করতে হবে সেই মানুষগুলোর স্বভাব, বৈশিষ্ট্য সবার একরকম নাও হতে পারে। এই চিন্তাটা তাদের বেশি করে ভাবাচ্ছে।

প্রয়োজনে নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য ছোটখাটো কিছু একশনে যেতে হতে পারে। ক্লু কি কি পাওয়া যায় তার উপর একশন নির্ভর করবে। কোনো মানুষের নাম পাওয়া গেলে তাকে তুলে আনার জন্য মত দিয়েছে কেউ কেউ। আবার কেউ কেউ বলেছে এই কাজটা এক্ষুণি নয়। কারোর কারোর মত হচ্ছে প্রয়োজনে নীরবে এখান থেকে আপাতত সরে যেতে হবে। কোনো চিহ্ন বা প্রমাণ রাখা যাবে না। যেটুকু ধরা পড়েছে ওই পর্যন্তই। বেশি জানাজানি হলে নিজেদেরই ক্ষতি হতে পারে। সময় সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষ আরো ব্যাপক আকারে আমাদের ওপর হামলা চালাতে পারে। তাদের সেই সুযোগ না দেওয়াই ভালো এবং এটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে। কেউ বলেছে, মিশন প্রয়োজনে সুবিধামতো সময়ে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। এখনো তো পৃথিবীর কেউ জানে না তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে। কাজেই ওই কাজ মানুষ করলে এখনই কেটে পড়ার সময়। মানুষের দ্বারা ছিদ্র না হলে সমস্যা নাই। (চলবে)