ভাঙন

কাচের শহরের মনে

ঠিকানাহীন রোদের ঝরনায় তুমি দাঁড়িয়ে,

চোখে ধ্বসে গেছে এলোমেলো গন্তব্যের ঘরবাড়ি।

আমরা দুজন, দুটো ভুল বানানের ইমেইল-

পাঠানো হয়নি, মেমোরিতে দুলছে ।

তোমার ঠোঁটে জমে থাকা দুধচাঁদ,

আমার পকেটে মরিচিকার ভ্রাম্যমাণ হ্রদ।

শব্দেরা পালক ফেলে, উড়া দেয় সত্যউত্তর আসমানে ,

তুমি আমার দিকে ছুঁড়ে দাও আধভাঙা নৈঃশব্দ্য,

আমি কুড়িয়ে রাখি

ভবিষ্যতের কোনো ভেজা নিশ্বাসের গতরে।

প্রেম আমাদের কাছে এখন-

একটা ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড,

একটা নীরবতার নোটিফিকেশন,

একটা পাঁজরহীন ছায়াপথ,

যেখানে হাঁটতে হাঁটতে আমরা হারিয়ে ফেলি হাটা,

ভুলে যাই প্রেম

বদলে ফেলি নাম।

দ্বিখণ্ডিত

আকাশের গায়ে ফাটল ,

নীল রঙ চুঁইয়ে পড়ে মাটিতে।

আমি দাঁড়িয়ে আছি-

একটা উল্টে-পড়া ঘড়ির কাঁটার নিচে,

যেখানে সময় জমে আছে ছত্রখান কাঁচের তলায়।

চোখের পাতায় পাখির পালক জন্মায়,

মরে যায় - নিঃশব্দে,

পায়ের নিচে গলে যায় জমাট স্বপ্নের তৃণভূমি !

সময়ের হাতে রক্তমাখা কম্পাস,

উত্তর আর দক্ষিণ ভুলে গেছে,

আমি ঘুরে ঘুরে হাওয়ার সাথে

ডুবে যাই দিগন্তহীন বিস্মৃতিতে।

পেছনে কারা টানে, কোন হানাদার -

অদেখা আঙুলের দাগ ফুলে ওঠে মেরুদণ্ডে।

আমি দেখি, নিজেরই ছায়া, তার ভেতরে

একটা ছিদ্রপড়া নৌকোয় পাল উড়ছে

আলো আর অন্ধকারের সীমানায়।

মনের ভেতর

অচেনা এক নদী সাঁতার কাটে,

পানি নয়, সেখানে বইছে গলিত চাঁদের ধূলিকণা।

শেষে,

একটা দরজা খুলে যায় -

দূরে খুব, কুয়াশার জঙ্গলে,

আমি হাঁটি - হাত ভরা ভাঙা আয়নার টুকরো নিয়ে।

আমি খুঁজি নিজেকে, আর আয়না তাকে হারায়!