অনুবাদ : নোমান সাদিক
আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা রা: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সেই মহান বিপ্লবী সাহাবী কবি। যিনি একাধারে দক্ষ সেনাপতি, রাজনীতিবীদ, বোদ্ধা, ইসলাম প্রচারক। মদিনায় যার হাতে অগণিত আনসার ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ইসলামের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন। হাসসান বিন সাবিত রা: এর পর তাঁর নাম বেশি বেশি উচ্চারিত হয়ে থাকে। প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা তার কবিতার বৈশিষ্ট। সেই সাথে বীরত্বও। অষ্টম হিজরী ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মুতার যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। রাসুল সা: তার জান্নাতে অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। পয়লা কবিতাটি মুতার যুদ্ধে রওয়ানা হওয়ার শুরুতে ও দোসরা কবিতাটি যুদ্ধের ময়দানে রচিত। কবিতাটি মুল আরবি কবিতা ডক্টর আব্দুল মাবুদ রচিত “আসহাবে রাসুলের কাব্যপ্রতিভা “বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
এক.
ওগো রহমান, মাফ করে দাও, এই দোয়া মোনাজাতে
আমার কলিজা দুইভাগ হোক শত্রুর প্রতিঘাতে
কিংবা এ বুক ফোড় করে দিক অব্যার্থ বল্লম
রক্তে এ মাটি হয়ে যাক লাল পিচ্ছিল কর্দম
গোর যেয়ারতে লোকেরা এসে এই সুপারিশ দিক
“মাবুদ, ছিলো সে তোমারই পথের গাজী, বীর সৈনিক”।
দুই.
মন তুই আপোষেই নেমে পড় জিহাদের মাঠে
না যদি নামিস তোর টুটি টেনে নামাবোই তবে
ময়দানে শোন হাকঁ- হুংকার ঘাত-প্রতিঘাতে
জান্নাত ডাকে! হায় এ সুযোগ হাতছাড়া হবে!
কেঁদেছিলি কতো রাত জান্নাত চেয়ে, মনে নাই?
হয়েছে সকাল, আজ বাঁচার কি এতই জরুর!
অথচ হায়াত ভাঙা ঠিল্লার পানি একঢোক
মরণের কাফনে কি করা চলে রঙিন সেলাই!
শহীদ না হস যদি পঁচে মরে যাবি একদিন
ভোগের আগুনে শেষে হয়ে যাবি মিশকালো ছাই
চাইতে যা পেয়েছিস রবের করুনা, দান হতে
এইতো নবীর পথ হিদায়াত, সন্দেহ নাই