বাংলা আমার বোল

মায়ের কথায় মধুর ভাষা স্নিগ্ধ মায়ের কোল,

বাংলাদেশে জন্ম আমার, বাংলা আমার বোল।

মায়ের মুখে শেখা কথা মনের ভাষা বুলি,

ফুলের মতো পাপড়ি মেলা স্বপ্ন দুয়ার খুলি।

সবুজ ঘেরা ছায়ার দেশে মায়ার বাঁধন কত!

মধুর বুলি মুখে হাজার আদর ছড়ায় শত!

খেলার মাঠে বন্ধু স্বজন, মেলার মাঠে গান,

ধানের মাঠে দখিন হাওয়ায় মন-আবেশী তান।

নদীর বুকে কুলুকুলু, পাখির মুখে সুর,

হাজার কথা মধুর গানে সুখের সমুদ্দুর।

শীতলতার গীতলতা যেই ভাষাতে মাখা,

যেই ভাষাতে স্নিগ্ধ গাঁয়ের গল্প-গাথা আঁকা;

যেই ভাষাতে রফিক সালাম বরকতেরই ছবি,

যেই ভাষাতে কাব্য-গানে স্বপ্ন আঁকেন কবি;

সেই সে ভাষা আমার ভাষা বাংলা হৃদয়ের মাঝে,

বাংলা মায়ের স্নেহের ছোঁয়া সকাল দুপুর সাঁঝে।

খোকার ঘুম

আয় ঘুম আয় রে

খোকার চোখে আয়,

করতোয়া নদী দিয়ে

নৌকা চড়ে আয়।

করতোয়া নদী খাইছে

দস্যু দানো এসে,

কেমন করে আসবে রে নাও

শুকনো নদী ভেসে?

ফলাহার

আম খাবে খুকুমণি জাম খাবে আরও,

পাখির মত টুকটুকে জিভ হবে তারও।

আম খাবে চিপে, চুষে, ফালি করে কেটে,

খুশি মতো খাবে তত যত ধরে পেটে।

দাদীমণি বলেছেন- ফল খেতে কিছু,

জামরুল আতা আর টক-মিষ্টি লিচু।

আনারস ও কাঁঠালে রসে ভরা স্বাদ,

কলা, ডউয়া, লটকো নয় কিছু বাদ।

ফলে আছে ভিটামিন- হয় উপকার,

দীনহীনে দিয়ে খেলে ভালো হয় তার।

বনভোজন

হিপ হিপ হিপ হুর রে।

গাছের ডালে ডাকে কোকিল

ইস কি মধুর সুর রে!

হিপ হিপ হিপ হুর রে!

পরীক্ষা শেষ, বনভোজনে

যাবো মধুপুর রে!

হিপ হিপ হিপ হুর রে!

ভাওয়ালগড় আর আনারস বন

নয় তো বেশি দূর রে।

হিপ হিপ হিপ হুর রে!

যাবি না কি বন্ধু তোরা

মুন, তুসু আর নুর রে?

হিপ হিপ হিপ হুর রে!

বাড়ি গিয়ে মামার কাছে

বায়না সবাই জুড় রে।

হিপ হিপ হিপ হুর রে!

সঙ্গে নেবো গোস্ত পোলাও

বিস্কুট চানাচুর রে।

হিপ হিপ হিপ হুর রে!

বনভোজনে মজা করে

সবাই মিলে ঘুর রে।

সামনে চলো

যখন আমার ইচ্ছেডানা

বুকের ভেতর দিচ্ছে হানা

বলছে- এবার দাঁড়াও,

কিসের ভয়ে ঘরের কোণে

বসে আছো ভারী মনে

ঘর হতে আজ বারাও।

পাখির মত উড়তে পারো

শহর গেরাম ঘুরতে পারো

চক্ষু তোমার খুলো,

কে করেছে তোমায় মানা?

উড়াও তোমার স্বপ্ন ডানা,

দুঃখ ব্যথা ভুলো।