কবিতা
কবিতা
রাতের গায়ে কে এঁকেছে এমন করে চাঁদ? কাঁচির মতো সরু বাঁকা নেই কোনো তার দাঁত।
Printed Edition
লেখাপড়া
শেখ বিপ্লব হোসেন
রাতের গায়ে কে এঁকেছে
এমন করে চাঁদ?
কাঁচির মতো সরু বাঁকা
নেই কোনো তার দাঁত।
মিষ্টি নরম আলোর ছটায়
দূর করে দেয় কালো,
চাঁদের হাসি দারুণ লাগে
মন হয়ে যায় ভালো।
এমন প্রদীপ কে জ্বালালো
কে বানালো ধরা?
তাঁরই খোঁজে ছোট্টসোনার
শুরু লেখাপড়া।
স্বপ্ন জয়ের আকুলতা
নূর-ই-ইলাহী
ভোরের আলোয় উঠো জেগে বসন্তেরই গানে
কোকিল ডাকা কুহুকুহু শোনো আপন মনে
নতুন ফুলে ওঠো দুলে সজীব হবে প্রাণ
ডালে ডালে ঐ যে শোনো পাখ-পাখালীর গান।
মধুমাখা খুশির পরশ ছোঁবেই তোমার মন
রাঙা ভোরে আলোর ঝিলিক জাগে শিহরণ
জাগে আলো রোদের হাসি সূর্যি মামার ঠোঁটে
গাছের চাকে মৌমাছিরা ফুলের মধু লোটে।
এই আলোতে জাগে যখন সবুজ বনের পাখি
সেই আলোতে নতুন দিনের স্বপ্ন মাখামাখি
স্বপ্ন মাখে গাঁয়ের কিশোর বেরং নদীর বাঁকে
নতুন ভোরে মুগ্ধপাখি সুরের মায়ায় ডাকে।
সেই-না ডাকে স্বপ্ন জয়ে বাড়ায় আকুলতা
ধরার বুকে তখন সজীব সকল তরুলতা।
পুষি মিনি
হাফিয রেদওয়ান
চুপি চুপি মিনি
খায় যে মুঠে চিনি,
মিনির দাঁতে পোকা
দাঁত যাবে না রোখা
দেখতে লাগে বোকা।
কাঠবিড়ালির টুশি
রাগলে হয় খুশি
মিনি মারে ঘুসি,
আমার দাঁত চোখা!
নয়তো আমি বোকা।
করে না মিনি ব্রাশ
রোগ জীবাণুর ত্রাস।
সিয়াম
শফিক শাহরিয়ার
সাক্ষী দেবে সিয়াম মাগো
রোজ হাশরের মাঠে,
করব তাজা ঈমান আমল
দিন খুশিতে কাটে।
সাহরি খেতে ডাকবে আমায়
রাখব আমি রোজা,
তৃষ্ণা ক্ষুধা যায় পালিয়ে
হিসেব অতি সোজা।
বাবার সাথে নামাজ পড়ি
প্রথম কাতার ধরি,
মাসজিদে যাই ডেকে ডেকে
জীবনটাকে গড়ি।
সকাল থেকে সাঁঝের বেলা
অধীর হয়ে থাকি,
কুরআন পড়ি নামাজ শেষে
হেসেই রোজা রাখি।
সারা দিনের ক্লান্তি ভুলে
নেকির পরশ আনবো তুলে-
মালিক যেন দেয় পুড়িয়ে
আমার পাপের বোঝা,
সাহরি খেতে ডাকবে আমায়
রাখব আমি রোজা।
ইফতারিতে পাড়ায় পাড়ায়
খুশির সুবাস আনে,
বাতাসে তার সুবাস বিলায়
রোজার গানে গানে।
তারাবীতে রাতের বেলা
ভীষণ ভালো লাগে,
ইবাদাতের ঘ্রাণটা খুঁজি
ইচ্ছে আরও জাগে।
সাহরি খেতে আমায় ডাকো
আম্মু তুমি কথা রাখো-
রোজার মাসে কে না বোঝে
ইবাদাতের মজা?
সাহরি খেতে ডাকবে আমায়
রাখব আমি রোজা।
জীবনটা নাও গড়ে
এম, আলমগীর হোসেন
সকাল হলো নতুন আলো
দ্বারে কড়া নাড়ে,
পাখির মধুর গানে মুখর
ভোরের ভুবন জুড়ে।
উঠতে হবে জলদি ভবে
ফুল বিছানা ছেড়ে,
লাগতে হবে যে যার কাজে
অলসতা ঝেড়ে।
নতুন দিনটা করো শুরু
রবের তাসবীহ পড়ে,
বিধান খোদার মেনে তোমার
জীবনটা নাও গড়ে।
রাখবো রোজা
ছাবিলা ইয়াছমিন মিতা
মাগো তুমি হও না রাজি
আর কইরো না মানা,
এবার আমি রাখবো রোজা
সঠিক ত্রিশখানা।
যাকাত সাদকা দিব মাগো
গরীব দুখির মাঝে,
পুণ্য যত করবো জোগাড়
আমার সকল কাজে।
হিঃসা-বিদ্বেষ ভুলে মাগো
মিশবো সবার সাথে,
তাহাজ্জুতেও সামিল হবো
উঠব যখন রাতে।
সেহরি ও ইফতারিতে
থাকলে তুমি পাশে
প্রভূর রঙে রঙিন হবো
আমরা রোজার মাসে।
আমাদের দেশ
মো.তাইফুর রহমান
গাছে গাছে ফুল-ফল আমাদের দেশ
বাংলার মুখ দেখে ভালো লাগে বেশ।
খাটি ভাই আমাদের বাংলার মাটি
কী দারুণ এই দেশ! খুব পরিপাটি।
সকলের এই দেশ তুলনা কি হয়?
বাংলায় বাস করি নেই কোনো ভয়।
সকলের মুখে দেখি শান্তির হাসি
অপরূপ দেশটাকে সবে ভালোবাসি।
সবুজের সমারোহ দেখে লাগে ভালো
চোখে পড়ে সূর্যের সোনাঝরা আলো।
রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পাই
বাংলার মতো আর কোনো দেশ নাই।
আঁকাবাঁকা মেঠো পথ কেড়ে নেয় মন
ভালো লাগে বাংলার নদ-নদী, বন।
মাঠ ভরা ধান দেখে জুড়ায় যে আঁখি
পাখি ডাকে পাখি নাচে গাছে গাছে পাখি।
কোয়েল পাখি
আব্দুস সাত্তার সুমন
কোয়েল পাখি কোয়েল পাখি
করছ কেন ডাকাডাকি?
আমার বাড়ি চলো
যাবে কিনা বলো।
-যেতে পারি তোমার বাড়ি
হলদে ছানা যাবে,
যেটা দিবে সেটাই তারা
মজা করে খাবে।
সাদা, কালো কোয়েল ছানা
যেতে ওদের নেইকো মানা
বন্ধু আমার হবে?
থাকবো মিলে তবে।
সবুজ বনে আমার বাড়ি
তোমার সাথী হবো,
ডিম দিব একটি করে
শান্ত মোরা রবো।