বৃষ্টি হবে

মেজু আহমেদ খান

আজ সারাদিন বৃষ্টি হবে

আজ সারাদিন বৃষ্টি,

আকাশ কালো মেঘে ঢেকে

গর্জে আওয়াজ ত্রিশটি!

বৃষ্টি হবে হচ্ছে ধীরে

কৃষক মাঠে যাচ্ছ কি রে

কিংবা গরুর পাল?

আকাশ ফেঁড়ে বৃষ্টিরাজি

কেউ যাবে না বাইরে আজি

নৌকো-জেলে-জাল।

ঝির ঝির ঝির বৃষ্টি পড়ে

আঙুর থোকা চুঁয়ে

চড়ুই পাখির কিচিরমিচির

পাতার ফাঁকে নুয়ে।

আম ঝুলে অই কাঁঠাল ঝুলে

ক্যাপসিকাম ও লাল

কাব্য কুঠির ঝুলছে লিচু

পেয়ারা লেবুর ডাল।

বাদল দিনে বন্দী ঘরে চপল শিশুর পাও

কার জাগে সাধ এমন দিনে বাইরে খানিক যাও...

বন্দী লেখক জানলা পাশে প্রকৃতিরে হেরি

তাই দিতে যান ছন্দ-তালে কাব্য ছড়ায় বেড়ি।

বৃষ্টি হবে বৃষ্টি হোক

বৃষ্টি শেষে রোদ উঠুক।

আম পেকেছে

মুহাম্মদ ইব্রাহিম বাহারী

সবুজ বরণ আমের গায়ে

রঙের ছড়াছড়ি

পাগলা হাওয়ায় গাছের নিচে

আমের গড়াগড়ি।

কাকের মতো কালো মেঘে

বৃষ্টি কলস উপুড়,

গাছের শরীর গোসল করে

শীতল হলো দুপুর।

এই দুপুরে বাগান জুড়ে

দুলছে আমের বোটা,

ভরদুপুরে বৃষ্টি নামে

রঙিন ফোঁটা ফোঁটা।

রঙিন ফোঁটা, রঙিলা আম

আম ঝুলছে ডালে,

ফলের রাজা আম পেকেছে

জল এসেছে গালে।

কবির মা

বিপুল চন্দ্র রায়

মা বলছে ডেকে, বাবা!

লোকমুখে শুনেছি-

খবরে কাগজে নাকি তোর নাম

কী এমন করেছিস কাম?

ভয়ে ভয়ে কাটে দিন,

তোকে ধরে নিয়ে যায় যদি কোনদিন

কী এমন করেছিস ভুল?

বল বাবা বল সত্য কথা বল।

শোন মা বলছি-

হাসো-হাসো, ভয়ের কিছু নাই,

খুশির খবর জানাইথ

পত্রিকায় পাতায় কবিতা লিখছি।

লোকজনে যে হিসাবে কয়,

তোর যদি কিছু হয়, বাবা!

তাই পেয়েছি ভয়! কবির মা আমি!

তোকে নিয়ে গর্ব আজ হয়।

সেরা ছাত্র

সুমন বিপ্লব

একা একা বসে বসে

কাজল চেষ্টা করছে,

সবার সেরা ছাত্র হতে

সকল বই তার পড়ছে।

ইচ্ছে থাকলে উপায় হবে

কাজল বিশ্বাস করে,

তৈরি করে নিজেই রুটিন

রুটিন মতো পড়ে।

মাকে মনে পড়ে

মোহাম্মদ মুন্নু

মা মা করে ডাকি আমি

মা ঘরে তো নাই,

মায়ের মুখের মধুর বানী

ভুলার সাধ্য নাই।

দেখতে দেখতে বছর গেলো

মা ফিরেনি ঘরে,

মা যে আমার দূর আকাশে

মাকে মনে পড়ে।

ছোট্ট থেকে বড় হলাম

মায়ের শিক্ষা নিয়ে,

মায়ের মতো আপন মানুষ

মেলে না আর হিয়ে।

মায়ের সেবা করার ইচ্ছে

আমার ছিলো খুব।

কবুল হজ্জের সওয়াব পাবে

দেখলে মায়ের রূপ।

খোকা খুকির মন

কুলসুম বিবি

খোকা-খুকি কই?

এসো পড়ি বই,

ছড়ি নিয়ে হাতে

রোজ মা ডাকে প্রাতে।

এসে দেখে মায়

খুকি খানা খায়,

খেলতে গেছে খোকা

মাকে দিয়ে ধোকা।

এমনি চলে রোজ

খেলা না-হয় ভোজ,

পড়ে ফাঁকে ফাঁকে

শান্ত রাখে মাকে।

খোকা-খুকির মন

ছুটে সারাক্ষণ,

মন বসে না পাঠে

পড়ালেখা লাটে।