পায়ে হাঁটা মাতৃভূমি
জুলফিকার শাহাদাৎ
আমরা এখন উঁচু মাথায় দাঁড়িয়ে আছি
আমরা এখন গলা খুলে বলতে পারি
আমরা এখন শেকলভাঙা পাখির ছানা
আমরা এখন হার না মানা ব্যঘ্রশাবক।
আমরা নতুন স্বপ্ন দেখি দু চোখ মেলে
আমরা দেখি মুক্ত আকাশ, সবুজ পাতা
আমরা দেখি ন্যায়ের মশাল, জ্বলতে থাকুক
আমরা দেখি ক্ষুধামুক্ত নতুন স্বদেশ।
আমরা দেখি দস্যুবিহীন মানচিত্র
আমরা দেখি দখলমুক্ত ন্যায্য ভূমি
আমরা দেখি সমুদ্রে নেই বেনিয়া-ভূত
আমরা দেখি সীমান্তে নেই রক্তফোঁটা।
আমরা দেখি বিশ্বচোখে নতুন এ দেশ
আমরা দেখি পায়ে হাঁটা মাতৃভূমি
আমরা দেখি বাতাসভরা এক ফুসফুস
আমরা দেখি সামনে আছে, নোবেল ইউনূস।
কুরবানির শিক্ষা
খন্দকার নূর হোসাইন
ত্যাগের মহান শিক্ষা দিতে
কুরবানির ঈদ আসে,
মানুষ যেন সবার চেয়ে
রবকে ভালোবাসে।
আলোকিত করতে হৃদয়
কুরবানির ঈদ আসে,
শহর-নগর পাড়া-গাঁয়ে
প্রতি জিলহজ মাসে।
তাকওয়াটা জ্বালতে মনে
কুরবানির ঈদ আসে,
তাই তুমিও নামটি লেখো
মুত্তাকীদের পাশে।
মধুমাসে
মুস্তফা মানিক
মধুমাসে মধু ঝরে আমাদের গাঁয়ে
আম জাম খেতে ডাকে দাদা দাদু মা’য়ে
মৌ মৌ সুঘ্রাণে মাতোয়ারা মন
বাতাসের কোলে হাসে তৃণ লতা বন।
মধুমাসে দোল খায় গাছে গাছে ফল
খোকাখুকু দলবেঁধে করে কোলাহল
সারাদিন হুল্লোড় চলে পাড়াজুড়ে
সুখ নামে ঘরে ঘরে আম জাম কুড়ে।
মধুমাসে লাল নীল ফলে ভরা ঘর
জামরুল লিচু ঘ্রাণে জুড়ে অন্তর
বাগানের চারপাশে পাখিদের ঝাঁক
মধুমাখা ফল-ঘ্রাণে হই নির্বাক।
গাছ লাগাই
বিপুল চন্দ্র রায়
সবুজ ছায়া পেতে হলে,
শুদ্ধ বাতাস পেতে হলে,
সুস্থ জীবন পেতে হলে,
এসো এসো গাছ লাগাই।
বৃক্ষরোপণ করবো সবাই
ভালো রাখবো পরিবেশ,
দূষণ মুক্ত রাখবো সবাই
আমার সোনার বাংলাদেশ।
খোকা
আনোয়ারুল ইসলাম
আকাশ পানে উড়বে খোকা
পাখা মেলে দূরে,
মনের সুখে গেয়ে যে গান
টিয়ার মতো সুরে।
অসীম ধরা মুক্ত গগন
মুক্ত ত্যাজি মনে,
দেখবে উড়ে বিশ্ব ঘুরে
ভাবে ক্ষণে ক্ষণে।
গগন জুড়ে তারার মেলা
দেখে রাতের বেলা,
মায়ের সনে জেদ ধরেছে
খেলবে না আর খেলা।
দিনে রাতে ভাবে বসে
বিশ্ব করিবে জয়,
জ্বিন পরীরা সবাই মিলে
সঙ্গী সাথী হয়।
সাগর সেঁচে মুক্তো এনে
দেবে সবার হাতে,
সোনার বিশ্ব গড়বে খোকা
নেই ভেদাভেদ তাতে।
ঈদের গরু
শফিকুল আলম টিটন
গুল্টে মামা গাছের ডালে
গোপুর ভীষণ চাপ,
ভেন্ডি, ট্যাপা, হুলো কাকু
পানিতে দেয় ঝাঁপ ।
অবাক চোখে রয় তাকিয়ে
হুলোর মাথায় হাত,
ভেন্ডী কানা চশমা চোখে
দিনকে দেখে রাত ।
আপন মনে আসছে হেঁটে
তাগড়া বিশাল ষাঁড়,
এই গাঁয়েতে করলো খরিদ
অনিমেষের মা ‘র।
সেজেগুজে আসছে হেঁটে
লাগলো চোখে তাক ,
ঈদের পশু কুরবানি দাও
তোমরা ঝাঁকে ঝাঁক ।।
কুরবানি
এম, আলমগীর হোসেন
হালাল পশু কুরবানি হোক
খোদার তুষ্টি পেতে,
মনের পশু দূর হয়ে যাক
হাদীর রক্তস্নাতে।
আদম থেকে কুরবানি হয়
রবের খুশির জন্য,
খলিলুল্লাহর তরিকাতে
আমরা যে আজ ধন্য।
বন্ধু স্বজন গরীব দুখী
সবাই সবার সাথে,
আনন্দটা ভাগ করে নিই
মহান রবের মতে।
হিংসা রিয়া দূর করে আজ
হবো খাঁটি বান্দা,
আযহা হতে সুফল পেতে
ছাড়বো সকল ধান্দা।
গরুর মেলা
সোহেল রানা
লাল গরুটা দেখতে ভালো
শিংটা অনেক বড়
সবুজ গরু দেখো কেমন
কপাল করে জড়।
সাদা গরু অনেক মোটা
কালোটা বেশ সরু
হাটে এসে দেখতে পেলাম
নানান পদের গরু।
গরুর মেলা বসেছে আজ
করছে মানুষ ভিড়
বেচাকেনায় ব্যস্ত আছে
মালিক ও খদ্দির।
সেই মেলাতে গরুর দলে
পণ্য হয়ে আছে-
মনের মতো দাম পেলে হয়
বিক্রি পরের কাছে।
ঈদুল আযহা
গোলাপ মাহমুদ সৌরভ
বছর ঘুরে ঈদুল আযহা
এলো সবার ঘরে,
এক কাতারে নামাজ পড়ে
কোলাকুলি করে।
মনের পশু কোরবানি দেই
হিংসা বিদ্বেষ ভুলে,
আমলনামা সওয়াবটুকু
সাজিয়ে রাখি ফুলে।