ফিলিস্তিনি শিশুর আর্তনাদ

শাহজাহান মোহাম্মদ

আকাশ কাঁদে

বাতাস কাঁদে

কাঁদে আপনজন

রক্ত নিয়ে

এ কোন খেলা

খেলছো মোড়লগণ।

ভালোবাসা চাই

নিরাপত্তা চাই

জাগো বিশ্ববাসী

অস্ত্রদ্বারা

নিঠুরভাবে

কাড়ছো শিশুর হাসি।

হিং টিং ছট

শ্যামল বণিক অঞ্জন

হিং টিং ছট!

চোখ দুটো বন্ধ করো চটপট।

ছুঁ মন্তর ছুঁ!

ধীরে ধীরে চোখ মেলে হাতে দাও ফুঁ।

এ্যাবরাকা ড্যাবরা গিলি গিলি গিলি

মুঠো ভরা ক্যান্ডি দ্যাখো মিল্ক চিলি!

এই দ্যাখো তুলা থেকে হয়ে যাবে ফুল!

নড়াচড়া করবে না কেউই একচুল।

এই যে কাঠিটা এটা ভরা যাদু

আজ থাক এটুকুই চলি সোনা চাঁদু।

এসো ফিলিস্তিনির পাশে দাঁড়াই

নকুল শর্ম্মা

মানবতা হারিয়ে গেছে

লজ্জায় ঢাকি মুখ,

নির্মমতার বর্বর শিকার

ফিলিস্তিনির বুক।

রক্তগঙ্গা বইবে কেনো

মনুষ্যত্বের দ্বারে?

মানুষ হয়ে আমরা কেনো

নীরব বারে বারে?

বাঁচার লড়াই করছে যারা

করছে জীবন পণ,

তাদের সাথে এসো সবাই

মিলাই সবার মন।

বৃদ্ধা-বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর

মরছে অবিচারে,

অরাজকতা চলবে কত

অন্যায় অত্যাচারে?

বিশ্ববাসি আর দেরি নয়

সবাই এসো ধেয়ে,

রুখতে হবেই সব অবিচার

রইবো না আর চেয়ে।

বৈশাখ এলে

আলাউদ্দিন হোসেন

বৈশাখ এলে গাছের ডালে

কৃষ্ণচূড়া হাসে

বৈশাখ এলে গগনজুড়ে

রঙিন ভেলা ভাসে।

বৈশাখ এলে সূচনা হয়

নতুন দিনের গান

বৈশাখ এলে বৃক্ষ নাচে

উজাড় করে প্রাণ।

বৈশাখ এলে মনে লাগে

নব রঙিন রং

বৈশাখ এলে সাজসজ্জা

নানা রকম ঢং।

অভিযাত্রী

শফিক শাহরিয়ার

সকাল থেকে সন্ধ্যা দেখো

পাখির অভিযান,

আমরা নতুন অভিযাত্রী

কণ্ঠে নতুন গান।

বুকের ভিতর জাগে শুধু

বাংলাদেশের সুর,

সবাই এখন গাইতে হবে

গানটি সুমধুর।

দেশের কথা পড়বে মনে

থাকবে মাটির টান,

আমরা নতুন অভিযাত্রী

কণ্ঠে নতুন গান।

সেদিন থেকে আজ অবধি

ভাঙ্গে চোখে ঢেউ,

যুদ্ধে গিয়ে আর আসেনি

পরিবারের কেউ।

ভীষণ কাতর তাঁদের শোকে

হৃদয়টা খান খান।

সকাল বেলায় ঘাসের ডগা

দেখলে জাগে বোধ,

শিশির কণা খেলা করে

পরশ মাখা রোদ।

বীর জনতা হাল ধরেছে

স্বপ্ন অফুরান,

আমরা নতুন অভিযাত্রী

কণ্ঠে দেশের গান।

বোশেখ এলো

সুফিয়ান আহমদ চৌধুরী

আকাশ ভেঙে মেঘের জল

আসলো নেমে যেই,

কিষাণ মাঠে উদাস চোখে

তাকিয়ে থাকে সেই।

বোশেখ এলো বোশেখ দিন

আসলো ঝড় সাথে

এমন দিনে শিশুরা কী যে

আমটা নিয়ে মাতে।

উড়িয়ে নেয় ঘরের চাল

বেবাক ঝড়ে কাড়ে

দুখিরা রয় অথই দুখে

ভাবনা মনে বাড়ে।

দুচোখ ভিজে অথই জলে

বোশেখে দিন যায়

কিষাণ এবং কিষাণি বউ

আকাশ পানে চায়।

সাকী

নকীব ইকবাল

আজকে আমি ছোট হলেও

কালকে বড় হবো

এদেশটাকে গড়তে আমি

ভালো মানুষ হবো।

আলোর পথে ভালোর পথে

দীনের পথে চলবো

চলার পথে সকল সময়

সত্য সদায় বলবো।

পিতামাতা গুরুজনের

দীক্ষা মেনে নেবো

ছোটোদেরকে আদর সেবা

ভালোবাসা দেবো।

পড়াশোনায় কোন সময়

দেবো নাকো ফাঁকি

পাঠশালাতে আমি হবো

সবার প্রিয় সাকী।