আমার মা
আ. শ. ম. বাবর আলী
মায়ের মতন এমন আপন আর কি কেহ আছে?
সব দুঃখ যাই যে ভুলে গেলে মায়ের কাছে।
জন্ম নিয়ে মায়ের কোলে হয়ে অছি ঋণী,
সত্যিকারের আপন বলতে মায়েরে তাই চিনি।
ধরায় এসে সবার আগে পেলাম আমি দান,
প্রাণ বাঁচালাম করে আমি মাতৃদুগ্ধ পান।
নিরাপত্তা পেলাম আমি মায়ের আঁচল তলে,
চোখ মেলে যে দেখলাম মাকে অনেক কৌতূহলে।
অনেক আদর সোহাগ করে দিয়ে মুখে চুম,
আমায় দিতে শান্তি সুধা পাড়াতেন মা ঘুম।
আঁচল দিয়ে মোছাতেন মা ময়লা আমার গায়ের,
আমার করে পরিচ্ছন্ন ভরতো পরাণ মায়ের।
হাঁটতে আমায় শেখালেন মা দুটি হাতে ধরে,
মুখের ভাষা শেখালেন যে অনেক আদর করে।
গায়ে আমার ঘাম ঝরলে কষ্ট যে হয় মা’র,
এ জগতে এমন দরদ আর বা আছে কার?
আমার মুখে দেখলে হাসি জান্নাত পান মা,
এমন আপনজনতো কোথাও আরতো পাবো না।
আমার জন্য আমার মায়ের এত দরদবোধ,
লক্ষ জীবন দানেও হয় না একাংশ তার শোধ।
মায়ের সেবা
ফরিদ সাইদ
জন্ম নিয়ে কান্না করে
প্রথম দেখি মা’কে
মায়ের চোখের চাহনিতে
নতুন চমক থাকে!
মা জননী জান্নাতি সুখ
নিলেন কাছে টেনে
বুকের ধনের পেটে খিদে
খাবার দিলেন জেনে।
দুঃখ জ্বালা সব সয়ে যান
সকাল দুপুর রাতে
স্বার্থ ছাড়া মানুষ করেন
আদরমাখা হাতে।
এই মায়েদের দুখের কথা
রাখি যেন দিলে
বড় হয়ে মায়ের সেবা
করি সবাই মিলে।
খোকার স্বপ্ন
রেজাউল রেজওয়ান
পাখির মতো উড়বে খোকা
ডানা দু’টো মেলে,
নীল আকাশে হারিয়ে যাবে
অমন সুযোগ পেলে।
চাঁদের দেশে ঘুরতে যাবে
দেখবে চাঁদের বুড়ি,
জোছনা দিয়ে ভরবে থলে
আনবে পাথর নুড়ি।
পঙ্খীরাজে চড়ে খোকা
ফিরবে নিজের দেশে,
মাথায় মুকুট পড়ে সেদিন
আসবে রাজার বেশে।
খাচ্ছিস কী রে
জিনিয়াস মাহমুদ
খাচ্ছিস কী রে?
খাচ্ছি আম।
আর কী দেখি..
খাচ্ছি জাম।
খেতে কেমন?
বলতে মানা।
আমায় দিবি?
আরে না-না!
খেলার সাথী
শেখ বিপ্লব হোসেন
আম্মু আমার খেলার সাথী
আমার প্রাণের সুখ,
মায়ের আদর ভালোবাসায়
যায় পালিয়ে দুখ।
কত কষ্ট দিই যে মাকে
হই না তবু বাজে,
রাগ করে না মা কখনো
আমার কোনো কাজে।
মায়ের মতো বড় হলে
করবো তাঁকেও আদর,
ভালোবেসে রাখবো মাকে
বানিয়ে গায়ের চাদর।
গ্রীষ্মের খরা
আসাদুজ্জামান খান মুকুল
সূর্যি মামা দিচ্ছে হামা
গ্রীষ্মকালের খরায়,
দুপুর হলে আকাশ তলে
অগ্নিবৃষ্টি ঝরায়।
ঘর থেকে বের হলেই তা টের
যায় তখনই পাওয়া,
রুদ্র-রোষে উঠে ফুঁসে
প্রবল গরম হাওয়া।
প্রখর তাপে পরান কাঁপে
নাই রে কোনো বৃষ্টি,
তরুরাজি ছারখার আজি
পুড়ছে ধরার সৃষ্টি।
চারদিক শুধু করছে ধুধু
ফাটল ধরছে মাটি,
ধরণীটা হচ্ছে গোটা
মৃত্যুপুরীর ঘাঁটি !
বাঁচার উপায় নাই বুঝি হায়
পরান যে যায় চলে,
বাঁচার তরে ধরার পরে
ভাসুক বৃষ্টির জলে!
সূর্যমামার হাসি
কাজল নিশি
পাকা ধানের ম ম ঘ্রাণে
কৃষক মুখে হাসি
ভাটিয়ালি সুর তুলে যায়
রাখালিয়া বাঁশি।
বাঁশির সুরে হেসে ওঠে
আকাশ থেকে রবি
মুগ্ধ হয়ে লিখে ছড়া
পল্লী গাঁয়ের কবি।
ছন্দ ছড়া সুরের তালে
নাচে ফড়িংছানা
দারুণ দৃশ্য আঁকা হলো
খুকুর ষোলআনা।