পরিবেশ বিষয়ক

শাহজাহান মোহাম্মদ

১.

ভুবন জুড়ে আলোড়ন

বদলেছে জলবায়ু

পরিবেশের বিপর্যয়ে

যাচ্ছে কমে আয়ু।

২.

বৃষ্টিশক্তি যাচ্ছে কমে

দিচ্ছে দেখা খরা

ক্ষয়ক্ষতিতে গাছপালা আর

জমিও সব মরা।

৩.

সব ঋতুতে বাড়ন্ত তাপ

শুষ্ক করে ভূমি

জমিতে নেই ঊর্বরতা

হচ্ছে মরুভূমি।

৪.

গাছপালা না থাকলে তবে

বাঁচবো কেমন করে

রোগ-জীবাণু প্রতিদিনই

বাড়ছে জোরেসোরে।

জীবনের চিত্র

রাশেদ নাইব

এইতো সময় চলছে যেমন

ইচ্ছে স্বাধীন নদী,

ভালো ছিলো ছোট্ট বেলা

ফিরে পেতাম যদি।

ছোট্ট ছোট্ট আবেগ ছিলো

নির্ভেজালের হাসি,

ভালো লাগা এমন জীবন

আজো ভালোবাসি।

আবেগগুলো ছেড়ে গেলো

বন্ধুওরাও নাই,

দিনের পরে রাত্রি আসে

পর করে সব যাই।

বাস্তবতা বড্ড কঠিন

সময় বলে কথা,

চলুক জীবন এমন ভাবেই

এটাইতো তার প্রথা।

মুগ্ধ হলো লাল

শেখ বিপ্লব হোসেন

‘পানি লাগবে পানি!’

এই কথাটার মর্ম বাণী

আমরা কি ভাই জানি?

টগবগে এক তরুণ

হাসিমাখা মুখখানি তার

যেন প্রভাত অরুণ।

স্বপ্ন ছিলো বুকে

দেশের জন্য করবে কিছু

থাকবে না কেউ দুখে।

বুলেট হলো কাল

ফ্যাসিবাদের হিংস্র থাবায়

মুগ্ধ হলো লাল!

রক্তে জুলাই ভাসে

লাশের পরে লাশ পড়ে রয়

দেশের চতুর্পাশে।

ফ্যাসিস্ট দিতে রুখে

হাজার মুগ্ধ গর্জে ওঠে

সাহস নিয়ে বুকে।

আষাঢ়-শ্রাবণ

আবদুল লতিফ

ঝরে ঝরঝর, ভিজে বাড়িঘর

ভিজে গাছের পাতা

বর্ষার জল, ঢেউ ছলছল

নাচে নায়ের মাথা।

ডোবে পথঘাট, ফসলের মাঠ

ডোবে নদীচর

জেলে ধরে মাছ, মনে উচ্ছ্বাস

থাকে দিনভর।

শাপলার ফুল, পদ্ম বকুল

কতো কতো ফোটে

ডেউয়া ড্রাগন, কাউ লটকন

শত ফল জোটে।

মেঘ সূর্যের, লুকোচুরি ঢের

চলে এক খেলা

আষাঢ়-শ্রাবণ, উচাটন মন

কেটে যায় বেলা।

লাল জুলাই

সুমন রায়হান

ফিরে এলো লাল জুলাই

গর্বে আমারা বুক ফুলাই

লাল সবুজের পতাকাতে

ভালোবেসে হাত বুলাই।

রক্তে ভেজা জুলাই মাস

হার না মানার ইতিহাস,

আবার সবাই শপথ করি

থাকব নাকো দিল্লীদাস।

শহিদের ঐ আত্নত্যাগ

জাগায় আজো প্রেমাবেগ

গুড়িয়ে দেব যতই আসুক

ঝড় তুফান ও কালো মেঘ।

বৃষ্টি পড়ে

মজনু মিয়া

টাপুর টুপুর বৃষ্টি দুপুর

খোকন নামে জলে,

দুহাত নাড়ে কাদা করে

দু’পা ফসকে চলে।

বৃষ্টি জোরে যতোই পড়ে

আনন্দ খুব করে,

কলকলিয়ে জলের ধারা

ঝরনা হয়ে ঝরে।

বাবা হাসে মায়ে হাসে

দাদা দাদি খুশি,

খোকন ভীষণ ক্লান্ত হলে

ভিজে বিড়াল টুসি।

ভোরের গান

আসাদুজ্জামান খান মুকুল

কোক্কুরু কু ডাকছে মোরগ

হচ্ছে নতুন ভোর,

খুকুমণি ঘুমটি ভেঙে

খোল ঘরের দোর।

জেগে দেখে পাখির গানে

মুগ্ধ করে সব,

ফুল ফুটেছে কুসুমবাগে

ভ্রমর তুলছে রব।

রবিমামা দিচ্ছে হামা

পুব আকাশে ওই,

পাতিহাঁসে পুকুর জলে

করতেছে থই থই।

গৃহিণীরা গৃহের কাজে

দিচ্ছে মনো-প্রাণ,

চাষি ভায়া ছুটছে মাঠে

গেয়ে ভোরের গান।

বর্ষা এলো

শারমিন নাহার ঝর্ণা

বর্ষা এলো রহমত নিয়ে

ঝরছে দেখ বৃষ্টি,

কি অপরূপ জলের ধারা

মহান রবের সৃষ্টি।

বর্ষা এলো সবার দ্বারে

রিমঝিম শব্দ নিয়ে,

খোকা খুকি খেলা করে

জলের ফোঁটা দিয়ে।

বর্ষা এলো খুশি নিয়ে

কদম ফুলের ঘ্রাণে,

খোকা খুকি শাপলা তোলে

খুশি নিয়ে প্রাণে।

নামুক বৃষ্টি

মোঃ আশতাব হোসেন

আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি পড়ে

ব্যাঙের বহর সাথে,

বাদ দেয় না কোনোখানে

পড়ে দিনে রাতে।

নামুক বৃষ্টি ঝুমুর ঝুমুর

ব্যাঙের নেই যে চিন্তা,

নেচে গেয়ে যাবেই ব্যাঙা

নতুন জামা পিন্দা।

সর্দি কাশির ভয় নেই মনে

বুক ফুলিয়ে গাবে,

বর্ষা শেষে ধ্যান করতে

গর্তে ঢুকে যাবে।