কোন এক হিংসার কাটাবন পার হতে গিয়ে
আমার কচি পা দু’টো রক্তাক্ত করেছিলাম
তা দেখে মা ভীষণ আফসোস করেছিলেন-
‘হা পুত্র আমার
এই বুক-পীঠ সরলতা নিয়া
কেমনে দুনিয়ায় চলবা!’
এখন তিনিও... অতি সুদূরের স্মৃতি
আর আমার অদৃষ্টের লেখন হয়ে গেছে
দুনিয়ার জিল্লতি
এই পৃথিবীর কত যে স্বার্থপরতা গলিপথ
সৌন্দর্যের কবুতর হয়ে পার হতে হতে
মুখ থুবড়ে পড়েছি পথের কিনারে
দেখেছি বিশ্বাস ভঙ্গকারী শেয়ালেরা
কীভাবে সুযোগের লেজ নাড়ে
কতোবার পড়েছি অবিশ্বাস্য প্রতিহিংসার ঝড়ে
ডানাগুলো মুচড়ে গেছে
বিধ্বস্ত হয়েছে পালকের গৌরব
আবার গড়ে তুলেছি স্বরচিত সরলতার ঘর
বন্ধুর বিদ্বেষ স্বজনের পিছুটান
কখনো হিংসার আগুন হয়ে ভস্মিভূত করেছে বিশ্বাস
কতোবার মানুষের ভন্ডামীর বিশাল পাহাড়
হস্তিবাহিনির মতো পথ আগলে দাঁড়িয়েছে আমার
ছিন্ন ভিন্ন করেছে সাধনার সাজানো বাগান
তবু হাতে ধরে রেখেছি মায়ের দেওয়া আশীর্বাদের মতো
এতটুকু আশাবাদ।
১৯.১২.২০২১