ঈদ ঝুলে চাঁদে
সাজজাদ হোসাইন খান
শিউলি ঝরা পথে ঐ আসে চাঁদ একা
তাই বুঝি দূরে দূরে স্বপ্নের কেকা
হাওয়াদের গাঁও ঘেঁষে
মেঘেদের ভালবেসে
চম্পার পাপড়িতে তোলে কোন রেখা।
ছায়াপথ ধূমকেতু গ্রহদের ভিড়ে
দেখে চাঁদ ইতিউতি, হাঁটে ধীরে ধীরে
চোখে তার খুশিফুল
ফেরেশতা তুলতুল
পুলকের প্রজাপতি ভাবনারা ঘিরে।
আসমানে তোলপাড় চাঁদ এলো নীড়ে
সুবাসের সুখলতা হৃদ ঘিরে ঘিরে
ঈদশিরে ঝুলে চাঁদ
পুষ্পের সংবাদ
উড়ে আসে ঘুরে আসে পৃথিবীর তীরে।
নীলভেজা প্রাঙ্গণে খেলে চাঁদ সাদা
প্রীতি আর স্নেহাশীষ মমতায় বাঁধা।
আসলো খুশির ঈদ
কুলসুম বিবি
সিয়ামের মাস শেষে দেখো
আসলো খুশির ঈদ
ঈদের আমেজ লাগলো হৃদে
উড়লো চোখের নিদ।
নতুন পোশাক পরে সবাই
ঈদগাহেতে যায়
কোরমা পোলাও ফিরনি পায়েস
খুশি মনে খায়।
ঈদের নামাজ পড়তে হাজির
মুমিন মুসলিম ভাই
দুজাহানের শান্তি কল্যাণ
রবের রাহে চাই।
খুশির জোয়ার ঘরে ঘরে
দুঃখ কারো নাই
দিনটি আসুক বারে বারে
আমরা সবে চাই।
নতুন জামা
সরকার জাহিদুল ইসলাম
নতুন জামা কিনবো বলে
গেলাম বাবার সাথে,
কাছেই ছিল একটা দোকান
অনেক জামা তাতে।
একটি জামা আলতা রাঙা
আরেকটি বেশ কালো,
সবুজ হলুদ সাদাও ছিল
সবগুলোই তো ভালো।
কোনটা ছেড়ে কোনটা নিবো
পরেছি ভাবনায়,
একটি জামা গোলাপ রাঙা
আমাকে মানায়।
কি যে মজা সেই জামাটাই
বাবা দিল কিনে,
সেই জামাটা পরে থাকি
রাতে কিংবা দিনে।
ঈদ
আবদুল লতিফ রেজা
ঈদগাহে সব এক কাতারে,
রাজা বাদশা নামাজ পড়ে।
নতুন জামা নতুন সাজ,
নাই ভেদাভেদ সমান আজ।
ফিরনী পোলাও সেমাই দই,
যেটা খুশি খেয়ে লেই।
কোলাকুলি নামাজ পরে,
দাওয়াত খাবো সবার ঘরে ।
মা বাবাকে করে সালাম,
গায়ের দাদুর আদর পেলাম ।
নাই কোথাও মানা আজ ,
ছোট্ট বড় নতুন সাজ।
সারা বছর এমন করে,
থাকব সবাই আপন করে।
ঈদ হৃদয়ের হাসি
শেখ একেএম জাকারিয়া
ঈদের অর্থ কোলাকুলি
ঈদ হৃদয়ের হাসি,
ঈদের অর্থ মিলনমেলা
ঈদ চেতনার বাঁশি!
ঈদের অর্থ স্বর্গীয় সুখ
ঈদ মানুষের আশা,
ঈদের অর্থ খুশির হাওয়া
মনটা খুলে হাসা।
ঈদের অর্থ কোলাকুলি
ঈদের দিনে খানা,
ঈদের অর্থ সবাই সমান
সবার থাকুক জানা।
খুকির ঈদ
আলাউদ্দিন হোসেন
দূর আকাশে চাঁদ উঠেছে
খুকির মনে রং
রঙিন জামা পড়ে ঈদে
করবে নানা ঢং।
রংবেরঙের চুরি পড়ে
নাচবে সারা বাড়ি
নকশা আঁকা মেহেদীতে
হাত রাঙাবে ভারী।
রঙিন পোশাক পড়বে খুকি
সাজবে সারাদিন
ঈদ আনন্দ মনে প্রাণে
বাজবে খুশির বীণ।
ঈদ এলো রে
নকুল শর্ম্মা
ঈদুল ফিতর এলো আবার
একটি বছর পরে,
খুশির জোয়ার বইছে দেখো
সবার ঘরে ঘরে।
সকল প্রাণে প্রাণের মিলন
বিভেদ ব্যথা ভুলে,
জমবে কথার মজার আসর
মনের দুয়ার খুলে।
মাংস পোলাও ফিরনী পায়েস
রান্না হবে কতো,
অভুক্ত কেউ রয় না যেনো
গরীব দুখী যতো।
মানব তরে ঈদের খুশি
হয়ে উঠুক পূর্ণ,
লোভ লালসা হিংসা বৃত্তির
ঘটুক দর্প চুর্ণ।
এবার ঈদে
মোঃ মোরছালীন ইসলাম
এবার ঈদে মা-গো
ফিরব না-যে নীড়ে,
আগলে রাখবো স্বদেশ
বুকের মাঝে ঘিরে।
থাকবো গহীন বনে
ঐ-পাহাড়ের ঢলে,
দেশের তরে লড়ব
শহীদ যেন বলে।
ঈদের খুশি সবার
আমি গেছি ভুলে,
নতুন কাপড় পড়ে
রাখি সবে খুলে।
মন নাহি মা মানে
যাবো তোমার পানে,
ঈদের খুশি আসুক
মাতবে সবাই গানে।
তোমার হাতের পায়েস
চালের আটার রুটি,
স্বাদে যেন ভরা
পাইনি ঈদে ছুটি।
এবার ঈদে মা-গো
ফিড়বো না-যে বাড়ি,
তোমার জন্য কেনা
তাঁতের বোনা শাড়ি।
আগলে রাখি ভূমি
শত্রু না যে আসে,
সুখ যেন মোর বলি
স্বপ্ন মনে ভাসে।
বলতে পারো সবে
ঈদ করেছি কবে,
দেশের তরে শপথ
মাতৃভূমি রবে।
ঈদের খুশি
সাদমান হাফিজ শুভ
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
পশ্চিমেতে ওই হেসেছে
কাস্তেবাঁকা চাঁদ,
খোকার হাসি খুকির হাসি
খুশির নদী ঠাসাঠাসি
ভাঙল খুশির বাঁধ।
নতুন বেশে নতুন রেশে
তরুর দেশে মরুর দেশে
লেগেছে উৎসব,
বুকে বুকে এই খুশিতে
বিভেদ ভাঙার শপথ নিতে
মিষ্টি কলরব।
পরবে খোকা নতুন জুতো
ঈদ সেলামির খুঁজবে ছুতো
কষছে নানান ছক,
রান্না হবে সেমাই-পায়েস
খেয়েই তবে করবে আয়েশ
মন হবে ঝকঝক।
আল কুরআন
শাকেরা বেগম শিমু
দেখিনি আমি মূসা নবীর
মহা বই ‘তাওরাত,’
কাটেনি কখনো ‘যাবুর’ কিতাব
শুনে বিনিদ্র রাত।
পড়িনি আমি ‘ইঞ্জিল’ নামে
আসমানি সেই বই,
আমি তো শুধু কুরআন পড়েই
শান্তিপ্রাপ্ত হই।
এটি আল্লাহ তায়ালা’র বাণী
তাঁরই হাতে গড়া,
তাঁরই হাবীব মোহাম্মদ
এর কণ্ঠে হতো পড়া।
এতে আছে জীবনধারণ
করার সর্বজ্ঞান,
প্রশান্তিময় জীবন বিধান
আল কুরআন এর দান।
এই কুরআন সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ বই,
তাইতো আমি এটাই পড়ি,
এতেই তৃপ্ত হই।
গরীবের ঈদ
মোঃ আশতাব হোসেন
ঐযে দেখো চাঁদ উঠেছে
ঠোঁটের মতো করে,
খোকা বলে তবে কি মা
ঈদ হবে কাল ভোরে?
মায়ের চোখে বন্যা নামে
ঘরে নেই যে কিছু,
কেমন করে হবে যে ঈদ
মায়ের মাথা নিচু।
ছোট্ট খোকা অবুঝ সোনা
অভাব কি আর বোঝে,
মায়ে বলে গরীব বাবা
ঈদের চাঁদ না খোঁজে।
খোকা বলে সবাই কেনো
ঈদের চাঁদ যে বলে?
দুঃখী মা তার আচল তলে
ভাসে চোখের জলে!
দেশকে ভালোবেসে
মোঃ সৈয়দুল ইসলাম
আর নয় পরাধীন
চাই স্বাধীনতা,
হাতে নাও অস্ত্র
মায়ের কথা।
দেশকে ভালোবেসে
বোন আর ভাই,
হাতে নিলো অস্ত্র
ইতিহাসে পাই।
দীর্ঘ নয় মাস
লড়াই করে,
শত্রু ঘায়েলে দেশ
স্বাধীন করে।
জীবন দিয়ে দেশ
করেছে স্বাধীন,
দেশ বিদেশে বাজে
বিজয়ের বীণ।
ঈদ এলো
শেখ শান্ত বিন আব্দুর রাজ্জাক
ঈদ এলো গগনে
ঈদ এলো ভুবনে
মেঘের পালকিতে চরি ।
ঈদ এলো ফলে
ঈদ এলো ফুলে
হাওয়ায় নৃত্য করি ।
ঈদ এলো পথে
ভর দিয়ে রথে
লাগেনিতো গাড়ি ।
ঈদ এলো মাঠে
ঈদ এলো ঘাটে
ঈদ এলো বাড়ি।