আঁকিয়ে সে বেশ

শ.ম. শহীদ

আঁকিয়ে সে বেশ!

আমাদের ক্লাশে পড়ে

নাম- মোকলেশ

কলমের আঁচড়ে আঁকে

রূপসী এ দেশ!

আঁকে গ্রাম ঘর-বাড়ি

গাছপালা সারি সারি

নদী আঁকে, নাও আঁকে

আঁকা নেই শেষ!

আঁকে ফুল, আঁকে পাখি

মেঘ-আকাশ মাখামাখি

ক্ষেত ভরা ফসল আঁকে

আঁকে গরু-মেষ!

সকলেই দেখে বলে-

আহা বেশ বেশ!

এক দিন চিনে নেবে

তোকে গোটা দেশ!

কাঠবিড়ালির দাওয়াত

আশরাফ আলী চারু

দোয়েল শ্যামা ফিঙেরা কই

আয় না তাড়াতাড়ি,

কাঠবিড়ালি করছে দাওয়াত

তার ওই বাগান বাড়ি।

পাকা কলা মিষ্টি বরই

করছে অনেক জমা

আনছে পেঁপে না গেলে সে

করবে না তো ক্ষমা।

সামনে পেলে করবে তাড়া

গাল ফুলাতে পারে

তাছাড়া এই ফলার খাওয়ার

কেই-বা সুযোগ ছাড়ে!

না হোক পাখি সে আমাদের

কাছাকাছিই থাকে

লেজ দেখিয়ে ইশারায় সে

সাবধানতায় রাখে।

সাওম

মোজাম্মেল সুমন

সাহরি খেয়ে মাগরিবপূর্ব করি নাকো যা মন্দ,

দিনের শেষে ইফতারি

সাওমতৃপ্ত জিভ তাঁরই

পরিশেষে এশার নামাজ ও তারাবির আনন্দ ।

রমজান পূর্ণ রহমতে মাগফিরাতে নাজাতে,

সাওম হচ্ছে উপহার

দেহমনের উপকার

ইহকালে-পরকালে সার্থক জীবন সাজাতে ।

দানখয়রাতে অধিক নেকি অর্জন করি বুদ্ধিতে,

সাওম হচ্ছে পাপ দহন

করে নাকো দাপ বহন

ইবাদাতের ছোঁয়ায় জীবন সুন্দর পরিশুদ্ধিতে ।

রোজা

মাহবুব আলম লিমন

রোজা রাখো টোনাটুনি

আল্লাহর খুশির জন্য

কুরআন পড়ো হাদিস শোনো

হবে না নগণ্য।

আজব পাখি

রফিক রইচ

পাখি হলেই উড়তে হবে

এমন কোন কথা নেই,

আজব কিছু পাখি আছে

যেই পাখিদের ওড়া নেই।

শুধু আছে দৌড়াদৌড়ি

আর দেয় যে সাঁতার ডুব,

এই পাখিদের ওজন অনেক

ডিমগুলো যে বড় খুব!

ক্যাসোয়ারী, উটপাখি আর

কিউই, এমু, রিয়া,

পেঙ্গুইনরা হাটে গায়ে

কালো কোর্ট পড়িয়া।

তোমরা যাঁরা শিশু কিশোর

এই পাখিদের জানবে,

জীবনের সব অসঙ্গতি

ব্যতিক্রমও মানবে।

দেশটি আমার

সাহেদ বিপ্লব

দেশটি আমার মায়ের মতো

মায়ের ছবি আঁকা,

মায়ের মতো দেশখানি ভাই

তাই তো বুকে রাখা।

কতো দেশে গেলাম আমি

শ্যামল শ্যামল মুখ,

দেশটি ছেড়ে কোথাও গিয়ে

পাই না এতো সুখ।

তাই আমি ফিরে আসি

আমার জন্মভূমি,

নদী-নালা আকাশ বাতাস

কী অপরুপ তুমি।

গ্রামের হাওয়া

মাহফুজ রুমান খান

গ্রামের হাওয়া

পরম পাওয়া

আছে অনেক সুখ

ফুলবাগানে

ভোর বিহানে

শান্ত করে বুক।

ধানের শিশির

কোয়েল পাখির

মিষ্টি মধুর সুর

ফজর আজান

সুরেলা গান

খুলে আমার দোর।

সবুজ রাশি

মায়ের হাসি

চোখ জুড়ানো মাঠ

মাছের খেলা

বন্ধুর মেলা

ভরপুর হলো ঘাট।

শিমুলফুল

সাজু কবীর

শিমুল গাছে

ফাগুন নাচে

ফুল ফুটেছে

টুকটুকে লাল রঙের,

পাখি ডালে

সাতসকালে

শিস দিয়ে যায়

নানান সুর ও ঢং এর।

এবার ছু’লো

পাপড়িগুলো

বেড়িয়ে এলো

আগুন রঙা আলো,

ফাগুন গানে

আলোর মানে

দূর করো সব

জীর্ণতারই কালো।

শখের ঘুড়ি

কাব্য কবির

শখের ঘুড়ি খুটিবিহীন

আকাশেতে ওড়ে,

হিমেল বাতাস পেয়ে ঘুড়ি

নাচে জোরে জোরে।

শখের ঘুড়ি নীল আকাশে

উড়লে মজা পাই,

রংধনুটা নিয়ে এলে

খুশির সীমা নাই।

আকাশেতে পরীর সাথে

ঘুড়ির দেখা হয়,

ঘুড়ির সাথে লাল পরীরা

কী জানি কি কয়।

খোলো আঁখি

স্বপন আখন্দ

ডাকছে পাখি খোলো আঁখি

সূর্য উঠে গেলো,

ওযু করে জামা পরে

সালাত পড়তে চলো ।

পড়লে সালাত পাবে নাজাত

কাল হাশরের দিনে,

জান্নাতি দ্বার খুলবে না আর

ভালো আমল বিনে।

করো আপন এমন স্বজন

দ্বীনের সাথী যারা,

ভালো কাজে নেইতো বাজে

সত্য বলে তারা ।

মন্দ সাথী পাপের বাতি

জ্বালায় সর্বক্ষণ,

তাদের সাথে কোন মতে

হবে না আপন।