শেয়াল
সায়ীদ আবুবকর
বাঘগুলো সব পালিয়ে গেছে;
বিজয় মিছিল বের করেছে হরিণে;
গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে
শেয়ালগুলো বললো হেসে,
“এখন থেকে বঙ্গ দেশে
আর কারো ভয় করিনে।“
বলেই তারা দাঁত কেলিয়ে
ধরলো পচা ধুয়া—
হুয়া! হুক্কা হুয়া!
চিঁড়ে-চেপটা পেটটা তাদের
খিদেয় হলো ডাইনি-
পরাণ ভরে খাবো এবার,
হায়, কত কাল খাইনি!
হরিণগুলো থমকে দাঁড়ায়;
ভাবে, আবার হরিণপাড়ায়
এ কোন্ খাদক চার পা বাড়ায়!
হয়নি তখন খেয়াল--
বাঘ পালালে বাঘ হয়ে যে
ফিরে আসে শেয়াল।
একটা মারলে একটা যায়
নোমান সাদিক
[জুলাইয়ের এক খুনী পুলিশের রিপোর্ট ]
“একটা মারলে একটা যায় বাকিডি যায় না স্যার এইডাই ভয়ের ব্যাপার।”
বাকিগুলা বীজধান নতুন চরের মতো রাজপথে ছিটায় ছড়ায়
বেড়ে ওঠে, ডাঙর, সবুজ জিকির তোলে দোল খায়
অশেষ, দিগন্তহীন সবুজ সবুজ তাজা প্রাণ সমাহার
“একটা মারলে একটা যায় বাকিডি যায় না স্যার এইডাই ভয়ের ব্যাপার।”
বাকিডি সুর্য যেনো, রোজ যেই ডুবে যায় আমি দেই খিল
দরোজায়। যেরকম কবরের মাটি চাপা দেয়
তবু রোজ ভোর হলে আহত বিক্ষত লাশ জেগে ওঠে আর
স্বর্বস্ব প্রকাশ করে, আমাদের অন্ধকারে এইটাই ভয়ের ব্যাপার।
বাকিগুলা শাদাবক ছায়া দেয় মেঘের মতোন
আমার আকাশ আমাবস্যায়ও হয়ে থাকে নতুন কাফন
কাফনে আমার ভয়, পিস্তলের গুলি তাই আকুতি বাঁচার।
“একটা মারলে একটা যায় বাকিডি যায় না স্যার এইডাই ভয়ের ব্যাপার।”
বাকিডি ফিনিক্স পাখি, আরব্য দেও যেন গোপন বয়ামে যার প্রাণভোমরা
কে তার আনবে খোঁজ? আমরা লড়াই করি স্রেফ বাধাধরা
নিরামিষ সভ্যদের সাথে যারাঁ বাঁচতে চেয়ে ভয়ে ভয়ে মরে
জীবিতরা গুলি খেলে রাস্তায় লাশ হয়ে পড়ে
কিন্তু যদি মৃতরাই একদেহে কোটি প্রাণ নিয়ে নিয়ে বেঁচে ওঠে স্যার
কি করি তখন! কার সাথে লড়ি! গুলি শেষ হয়, প্রাণ অশেষ অপার
একটা মারলে একটা যায় বাকিডি যায়না তাই এইডাই ভয়ের ব্যাপার।