ঘুমাও তাড়াতাড়ি
রেজা কারিম
অধিক রাতে ঘুমাও যদি
নামায হবে কাযা
পরকালে পাবে তুমি
ভীষণ রকম সাজা।
তাই ঘুমোতে যেতে হবে
রাতের প্রথম দিকে
ঘুমটা তবে ভালো হবে
ছিঁড়বে ঘুমের শিকে।
পারবে তখন উঠতে তুমি
ঠিক ফজরের আগে
মহান রবের দয়া তখন
আসবে তোমার ভাগে।
এশার পরে আর দেরি নয়
ঘুমাও তাড়াতাড়ি
সুস্থ শরীর থাকবে তোমার
নেইকো আহাজারি।
শরতের শিউলি
এম. আবু বকর সিদ্দিক
শিউলি ফুলের শুভ্রবর্ণ
মুগ্ধ করে আখি,
তাইতো তাকে যতন করে
আঙিনাতে রাখি।
শরৎ এলে সাজের কালে
ফোটে ডালে ডালে,
রজনীভর গন্ধ ছড়ায়
ঝরে প্রভাত কালে।
কে দিয়েছে তোমার রূপে
নিখুঁত নিপুণ ছন্দ!
কার হুকুমে নিশি জুড়ে
ছড়াও এতো গন্ধ !!
শিউলি ফুলের মধুর গন্ধ
কেড়ে নিল মন,
তোমার প্রতি মুগ্ধ আমি
মুগ্ধ সর্বজন।
ফুলি
শ্যামল বণিক অঞ্জন
বয়সটা তার সাত কিবা আট নামটি হলো ফুলি
ফোকলা দাঁতের মিষ্টি হাসি কেমন করে ভুলি!
ভাগ্যটি যে মন্দ ভীষণ ভেঙেছে দুই কূল
ঝরে গেছে কলিতে তাই হওয়ার আগে ফুল!
হয়নি পাওয়া মায়ের আদর বাবার স্নেহ মায়া
সূর্য উঠার আগেই যেন নামলো কালো ছায়া!
হয়নি যাওয়া ইসকুলে তাই হয়নি লেখা পড়া
পরের ঘরে ঝিয়ের কাজেই জীবনটা পার করা!
কচি বুকে অনেক কথাই হয় না শুধু বলা
সবার অবহেলা সয়েও নীরবেই পথ চলা।
শরৎ এলো
আবদুল লতিফ
বাদল ঝরা বর্ষা শেষে
শরৎ এলো হেসে
শরৎ এলো শাপলা শালুক
পদ্ম ভালোবেসে।
শিউলি ফুলের সুবাস মেখে
স্নিগ্ধ কোমল গায়ে
ঋতুরাণী শরৎ এলো
সাদা মেঘের নায়ে।
শরৎ এলো কাশের বনে
নদীর ধারে ধারে
শরৎ এলো শিউলি তলায়
পদ্মপুকুর পাড়ে।
শরৎ এলো সবুজ মাঠে
কচি ধানের পাতায়
মনভোলানো শরৎ এলো
কবির কলম খাতায়।
নীল চাদুয়া
কুলসুম বিবি
শরৎ মানে নীল চাদুয়ায়
পুরো আকাশ ঢাকা
গাঢ় নীলের আঁচল যেন
সাদা মেঘে আঁকা।
শরৎ মানে খুব সকালে
ফুল কুড়ানোর খেলা
বিকেলবেলা হাওয়ায় উড়ে
রঙিন ঘুড়ির মেলা।
শরৎ মানে নদীর বুকে
পাল তোলা নাও ভাসে
জ্বলজ্বলে রোদ মেখে গায়ে
কাশফুলেরা হাসে।
শরৎ মানে তারার মেলা
রাতের আকাশ জুড়ে
নীল জোছনা ঢেলে দিয়ে
নীলপরীরা উড়ে।
খোকার হাসি
জাকির সেতু
এত হাসি কোথায় পেলে,
বল, একটু শুনি
ঘুম থেকে ওঠো আমার,
ওহে সোনামণি।
ফোকলা দাঁতে চেয়ে তুমি
সারাদিন যে থাকো,
বাবা বাবা বলে তুমি
ঘর মাতিয়ে রাখো।
এমন হাসি কোথায় পেলে,
কোন সে পাখির গান?
মন মাতানো গানের সুরে
জুড়িয়ে যায় প্রাণ।