রকমারি উচ্ছ্বাস
আতিক রহমান
ঝর ঝর ঝরে মেঘ-নাচের নূপুর
ভর ভর ভরে হয় খাল ভরপুর
থই থই পানিতেই আয় তই তই-
ঝাঁক বেঁধে হাঁসগুলো এলো বুঝি অই।
জুলজুল জ্বলে যায় মিটিমিটি তারা,
তারাদের দেশে আজ যাবে বলো কারা?
গরগর করে গলা, বসে আছি আমতলা-তাই
ঘুম ঘুম চোখ জুড়ে উঠে আসে হাই!
ঘুর ঘুর করে আমি খাই ঘুরপাক
তাই দেখে পড়শির উঁচু কেন নাক!
ছলছল কলকল ঢেউ ঢেউ নদী
বাজী ধরে খেয়ে ফেলি পাঁচ কেজি দধি!
পরপর পড়ে যাই পরী রূপকথা
মনে এসে ভর করে ভাব-নীরবতা
তরতর করে আমি উঠে পড়ি চাঁদে
তাই দেখে ভয়ে মা যে কেন শুধু কাঁদে!
গদগদ করে সে যে অখাদ্য গিলে
কাতুকুতু না খেয়েই হাসে খিলখিলে!
মিঁউ মিঁউ করে পিউ-বেড়ালের ছানা
মাছ কাঁটা, দুধভাত দেই ওকে খানা।
টকটকে চকচকে পাকা কতো ফল
টইটই টম্বুর নদী ভরা জল!
পিলপিল করে চলে পিঁপড়ের সারি
শব্দের কী যে মিল, মিল রকমারি!
মায়ের হাসি
নজরুল ইসলাম ইউসুফী
মায়ের হাসি ভালোবাসি
সারা জনম ভর
আঁচল ভরা মায়ের আদর
সুখের চরাচর।
মায়ের হাসি যায় না ভোলা
নিত্যদিনের সুখ
ব্যথার ব্যথা বিষাদ ভোলে
যায় মুছে সব দুখ।
মায়ের হাসি দিবানিশি
ডাকে সারাক্ষণ
মায়ের মতো আপন কেহ
হয় না ওরে মন।
সবুজ গাঁয়ের ডাকে
আসাদুজ্জামান খান মুকুল
আমার যেতে ইচ্ছে করে
শ্যামল গাঁয়ের পরে,
দেখতে দুচোখ ভরে,
যেথায় গাঁয়ের রূপের ছোঁয়ায়
মন উতলা করে।
শ্যামল গাঁয়ে পাখপাখালি
গগন তলে উড়ে
ডাকে মধুর সুরে,
ইচ্ছে জাগে পাখির ডাকে
যাই হারিয়ে দূরে।
ঘুরে আসতে মুক্ত মনে
গাঁয়ের বাঁকা বাটে
খেলা করতে মাঠে
দিবস শেষে বাড়ি ফিরি
সূর্য গেলে পাটে!
গাঁয়ের গভীর বনের মাঝে
আছে পাখির ছানা
চোখ যে টানা টানা
ইচ্ছে করে ধরতে এদের
কেউ দিতোনা মানা।
মন চাহে তাই শ্যামল গাঁয়ে
একবার ঘুরে আসি
দেখি সবার হাসি
রাখাল ছেলের বাঁশির সুরে
সুখের স্বর্গে ভাসি।
বৃষ্টি বাদল
এস এম ফরিদুল ইসলাম
বৃষ্টি বাদল
আয়রে আয়
খোকন সোনা ভিজতে চায়।
খোকন সোনার
ভিজলো গা
বৃষ্টিরে তুই চলে যা।
আসবি খোকন
ডাকবে যেই
খেলবে খোকন তোর সাথেই।
শীতের চিঠি
এম সোলায়মান জয়
শীতের বুড়ি লিখছে চিঠি
হেমন্তেরই হাতে
আসছি আমি লেখা আছে
বুড়ির চিঠিটাতে।
হেমন্তকাল সেই চিঠিটা
এলো নিয়ে বাড়ি
হলুদ গাদা শিউলি ছাতিম
পড়তে কাড়াকাড়ি।
সবার আগে পড়ল চিঠি
শ্বেত কুয়াশা এসে
তারপরে ওই পড়ল চিঠি
মিষ্টি সকাল হেসে।
চিঠি পড়ে শিশির কণা
ঘাসের ডগায় হাসে
খোকা খুকু সেই চিঠিটা
পড়তে কাছে আসে।