হেমন্ত

আতিক হেলাল

হেমন্ত প্রিয় ঋতু, মন ভরে আবেশে

সবই পারি, পারি না যে তাকে ভালো না বেসে।

হেমন্তে মাঠে থাকে ধান পরিপক্ক

ফসলের সমারোহ করি শুধু লক্ষ্য।

হেমন্তে উৎসব খুশিতে নবান্ন

মজাদার ঋতু বলে করি তাকে মান্য।

হেমন্ত আসে আর যায় মনে ভাব এসে

ভুলে যাই, দু’ মাসেই ফিরে চলে যাবে সে।

মুখে হাসি ফুটলো

রিতা ফারিয়া রিচি

বাকুম-বাকুম শব্দ তুলে

পায়রা কি যে নাচছে

পেখম মেলে আনন্দে খুব

মনের সুখে গাচ্ছে।

খুকুমনি বায়না ধরে

পায়রা নিয়ে উড়বে

দূর নীলিমায় মেঘ-পাহাড়ে

সঙ্গী হয়ে ঘুরবে।

পায়রা শুনে রাজি হলো

উড়ে দুজন চললো

পাশাপাশি উড়তে গিয়ে

হাজার কথা বললো।

মেঘের দেশে ঘুরে ফিরে

রাত্রি যখন নামলো,

আঁধার দেখে এই দুজনের

ঘোরাঘুরি থামলো।

হঠাৎ খুকুর ঘুম ভেঙে যায়

পায়রা ডেকে উঠলো,

স্বপ্ন-সুখের কথা ভেবে

মুখে হাসি ফুটলো।

ঘুড়ি আমার ঘুড়ি

নাজমুল হাসান পদ্য

আকাশ জুড়ে উড়ে ঘুড়ি

রঙিন তার ডানা

বাতাস বেয়ে দৌড়ায় যেন উড়তে নেই মানা।

সূর্যের পাশে হাসে সে

মেঘের সাথে খেলে

সুতোর টানে নাচে ঘুড়ি মনটা যায় মেলে।

লাল ঘুড়ি নীল ঘুড়ি

দুলে আকাশ মাঝে

উড়ো ঘুড়ি ছুঁয়ে যাও নীল স্বপ্নের সাজে।

ছোট্ট মনের আনন্দ তুমি

হাওয়ায় ভাসো নীলে

তোমায় দেখে হারাই আমি স্বপ্নের বিলে।

শীতের ভোরে

ইলিয়াছ হোসেন

হিম কুয়াশার শীতের ভোরে

রক্তিম রবি হাসে,

শুভ্র শিশির ঝলমল করে

মাঠের সবুজ ঘাসে।

পাখপাখালি গাছের ডালে

ডাকে মধুর সুরে,

হৃদয় মাঝে আনচান করে

ফুলের বাগে ঘুরে।

খেজুর রসের সাথে মুড়ি

বড্ড মজা লাগে,

গুড়ের তৈরি পিঠাপুলি

খেতে ই”ছা জাগে।

নানান জাতের মাছ বাজারে

অঢেল পাওয়া যায়,

টাটকা সবজি থেকে যেন

চোখ ফেরানো দায়।

রবির উত্তাপ বাড়লে সবাই

গরম কাপড় ছাড়ে,

চতুর্দিকে সবার মাঝে

কর্মযজ্ঞ বাড়ে।

আঁকি আমি ছবি

শাহজালাল সুজন

বিকেল হলে নদীর পাড়ে

ছুটে চলি রোজ,

আঁকব আমি বকের ছবি

কাশের বনে খোঁজ।

কাশের বনে মৃদু হাসে

দেখে আমায় চুপ,

আমিও আঁকি রংতুলিতে

সাদা কাশের রূপ।

সোনায় মোড়া পুঁটির দলে

নদীর স্রোতে ঝাঁক,

লম্বা ডানায় বক উড়ে আয়

খেতে ছাড়ে হাঁক।

আরও আঁকি মামার আলো

পুব আকাশে রবি,

মাছের সাথে সাদা বকের

আঁকি আমি ছবি।

কাঠবিড়ালির জয়

এম এ জিন্নাহ

কাঠবিড়ালি হাঁটে এলো

কিনতে আলুর কেজি ,

আলুর গায়ে রঙে ভরা

বিক্রি করে বেঁজি।

কাঠবিড়ালি দামটি জানতে

বললো কেজি কত?

বেঁজি বললো তোমার কাছে

টাকা আছে যত!

কাঠবিড়ালি হেসে দিলো

বললো তুমি বোকা ,

আমার কাছে অল্প টাকা

তুমি খাবে ধোঁকা !

সাক্ষী ছিলো শিয়াল ছানা

রায় দিয়েছে তাতে ,

চালাক বেঁজি ধরা খেলো

কাঠবিড়ালির হাতে।

খোকার বায়না

কুলসুম বিবি

আতা পাকা

চালতা পাকা

ঝুলছে পাতার ফাঁকে

লিচুর থোকা

দেখে খোকা

খাতায় ছবি আঁকে।

ছবি এঁকে

রঙে মেখে

ডেকে আনে মাকে

আঁকল যেমন

চায় যে তেমন

বায়না ধরতে থাকে।