শরতের রূপ
মুস্তফা মানিক
মেঘেমেঘে ঢেউ খেলে খেলে লুকোচুরি
ডানে বামে দোল দেয় দেয় ওড়াউড়ি
আকাশের বুক যেন সাদা সামিয়ানা
এই রূপ শরতের -সকলের জানা।
জুঁই জবা বেলি দোলে দোলে কাশফুল
সাদা সাদা শাপলার হয় না যে তুল
শিশিরের ভেজা ঘাসে শিউলির হাসি
মনকাড়া সুঘ্রাণ ঝরে রাশিরাশি।
সবুজের অপরূপ ছবি কাড়ে মন
দূর করে ব্যাথা সব দখিনা পবন
কৃষকের ক্ষেত ভরা কাঁচা পাকা ধানে
পিঠেপুলি উৎসব ভালোলাগে প্রাণে।
পাখিদের গানে গানে সুখ নেমে আসে
বাতাসের তালে পাখি দলবেঁধে ভাসে
অপরূপ শুভ্রতা ছবি নির্মল
মনোরম শরতের ফুল পাখি ফল।
ব্যাঙের সর্দি
শফিকুল মুহাম্মদ ইসলাম
টেংরা পুঁটি বললো গিয়ে
ব্যাঙের ভীষণ সর্দি,
ওষুধ পথ্য নিয়ে চলো
তাড়াতাড়ি বদ্যি!
সর্দির সাথে জ্বর এসেছে
ঘুরছে কেবল মাথা;
ঘর ছেড়ে সে বাইরে ছিলো
নেয়নি কোনো ছাতা।
বদ্যি এলো রাঘববোয়াল
দিলো কিছু পথ্য;
ব্যাঙ নাকি আর স্বাভাবিক নেই
নানা চিন্তায় মত্ত!
সেরে যাবে ব্যাঙের অসুখ
আর হবে না কষ্ট;
মুখোমুখি বসবে সবাই
বলবে কথা পষ্ট!
পাবদা এলো চিতল এলো
শুনে এমন খবর;
সাথে এলো ডোরা সাপও
অবস্থা কি জবর!
খুকুমণি
সাদমান হাফিজ শুভ
খুকুমণি
খুকুমণি
ইশকুলে যায়,
কুটকুট
বিস্কুট
খায় আর খায়।
ফিকফিক
হাসে ঠিক
যেন চাঁদ মুখ,
হইচই
করে ওই
সুখ আর সুখ।
লাল-নীল
ঝিলমিল
মাখে রংচং,
আঁকে ফুল
নদী কূল
ঢং আর ঢং।
বোকা বক
এম এ জিন্নাহ
বক এসেছে কাকের বাসায়
কাক দিয়েছে তাড়া,
এই খবরটি ছড়িয়ে গেলো
সব পাখিদের পাড়া।
অপমানের দাগ লেগেছে
সাদা বকের মনে ,
ঝোপের মাঝে লুকিয়ে থেকে
কাঁদছে ক্ষণে ক্ষণে।
পাশাপাশি বাসা তাদের
একসাথে রয় কত ,
আগ বাড়িয়ে বন্ধু ভাবা
বোকা হওয়ার মতো।
শরত
মাহমুদা সিদ্দিকা
আসি আসি করে শীত
আসল না ভাই
কাশফুলে শরতেরা
করে যাই যাই।
শরতের শুভ্রতা
কাশফুল বনে
শিউলির হাসি আনে
পবিত্রতা মনে।
সাদা মেঘ পেঁজা মেঘ
তুলো মেঘ উড়ে
সাদা বক ডানা মেলে
নদীতীরে ঘুরে।
ডালিয়া ফুলের দেশে
কাজী নাজরিন
ডালিয়া ফুলের দেশে
মিলবো হেসে হেসে
আনন্দেতে মাতিয়ে রবো
সবাই মিলেমিশে।
ফুল পাখিরা ডালে ডালে
বাজায় সুরের বীণ
হৈ হুল্লোড় কাব্যকথায়
নাচে তা ধিন ধিন।
প্রজাপতির ডানায় ডানায়
ঘুরবো অবশেষে
প্রাণে প্রাণে মিশে যাবো
ডালিয়া ফুলের দেশে।
মশা
শোয়াইব আল হাসান
ভন ভন ভন ভন
কানের কাছে মশা
করে শব্দদূষণ।
রক্ত খেয়ে গাল
করেছে বেহাল দশা
টুকটুকে লাল।
খুব জোরে তাই
ধরে মারি এক ঘষা,
আর গান গাই....।