মায়ের অভাব
মেজু আহমেদ খান
মা না থাকার কষ্ট কী যে
মা না থাকার কষ্ট
মা নেই যাদের ধরণীতে
তারাই জানেন পষ্ট।
হাজার ব্যথার ঝড় ঝাপটায়
থাকলে দ্বারে মা,
কোন শিশুই ব্যথার তুফান
বুঝতে পারে না।
মা হীন জীবন সকল শিশুর
অন্ধকারে ঢাকা,
মায়ের অভাব হয় না পূরণ
মা ছাড়া ঘর ফাঁকা।
যে সব শিশুর মা গুণধন
ঘুমান মাটির বুকে,
তাদের জীবন যাপন জটিল
সজল ব্যথায় ধুঁকে।
শরৎ প্রকৃতি
মজনু মিয়া
উঁচুতে যেন্ নীলের আভা
ছাউনি করে আছে,
নানান রকম ফুল ফুটেছে
শরতের ওই গাছে।
নীলের ওপর ভেসে বেড়ায়
সাদা মেঘের ভেলা,
স্বচ্ছ আকাশ কোথাও কোথাও
করে মেঘে খেলা।
বিলে ঝিলে বাহারি রূপ
শাপলা ফুটে আছে,
নদীর চরে কাশফুল যেনো
বাতাস পেয়ে নাচে।
সাঁতার
বাবু হক
পুকুর পাড়ে খেলতে যাবে ডানা
ইতুমনি করছে তাকে মানা।
বলছে, তুমি জানো না সাঁতার
তাই তো যাওয়া বারণ পুকুর পাড়।
পুকুর পাড়ে খেলতে যাওয়ার আগে
জেনো সবার সাঁতার শেখা লাগে।
বাবা মাকে বলবে সাঁতার শেখাও
সাঁতার শিখেই পুকুর পাড়ে যাও।
ছাতা ও বই কাহিনী
সুমন রায়হান
যেই ঢুকেছি ঘরে
নতুন কালো ছাতার কথা
হঠাৎ মনে পড়ে।
বৃষ্টি শেষে ভুলেই গেছি
ছাতাটাকে নিতে
ছাতার খুঁজে দৌড়ে গেলাম
যাত্রী ছাউনিতে।
গিয়ে দেখি কোথায় ছাতা?
চিহ্নটুকুও নাই
দুঃখ নিয়ে ছাতা ছাড়াই
ঘরে ফিরে যাই।
সপ্তাহ খানিক পরের কথা
বলি এবার খুলে
একই জায়গায় একটি বই
ফেলে আসি ভুলে।
পরের দিন গিয়ে দেখি
আমার প্রিয় বই
জায়গা মত ঠিকই আছে,
বিস্মিত বেশ হই।
তালের পিঠা
আনোয়ারুল ইসলাম
বর্ষা শেষে শরৎ এলে
ধুম পড়ে যায় ধুম
তালের পিঠায় কড়া মিঠায়
লামের চুপি চুম।
চিনি গুড়ে মিশেল পিঠা
খেতে দেখি পাতে
কারুকাজে অপরূপে
মাহফুজার হাতে।
ডাইনিংয়েতে খেতে বসে
পাশে দেখি তাকে
যেই বলি বেশ মজার পিঠা
হাসতে থাকে নাকে।
কারুকাজে তালের পিঠা
মন কেড়ে নেয় মন
শরৎ এলে তার-ই হাতে
খেতে করি পণ।
আমার সোনার দেশ
নকুল শর্ম্মা
মাঠের শীতল বাতাস জুড়ায়
সবার তপ্ত গা,
শিশির নাওয়া সবুজ ঘাসে
দেয় ভিজিয়ে পা।
চোখ জুড়ানো বুনোফুলের
হাজার রঙের মেলা,
দোয়েল শ্যামা ফিঙে পাখির
মনভোলানো খেলা।
নদীর জলে পালতোলা নাও
ছুটে দূরের পানে,
মিষ্টি মধুর সুর ভেসে যায়
গাঙশালিকের গানে।
এমন সোনার রূপের রাণী
সেই সে আমার দেশ,
দুঃখ সুখে বারোটা মাস
আছি বেঁচে বেশ।
চাঁদের বুড়ি
এম এ জিন্নাহ
চাঁদের বুড়ি চাঁদের বুড়ি
কোথায় তুমি থাকো ?
তোমার কাছে একটু না হয়
আমায় নিয়ে রাখো !
ঘরে আমার মন বসে না
কিংবা পড়ালেখায়,
ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াই
নতুন কিছু দেখায় !
মাকে বললে জিদ করে মা
আব্বা শুনলে রাগে ,
তোমার সাথে দেখা করতে
ইচ্ছে ভীষণ জাগে।
বৃষ্টি পড়ে
জাহিদুল ইসলাম মুনির
বৃষ্টি পড়ে খালে
আমার টিনের চালে
টাপুরটুপুর বৃষ্টি পড়ে
কদম গাছের ডালে।
বৃষ্টি পড়ে নায়ে
শহর নগর গাঁয়ে
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ে
নববধূর পায়ে।
বৃষ্টি পড়ে বিলে
শান্ত হাতিরঝিলে
বৃষ্টিমুখর দিনে ভীষণ
শান্তি লাগে দিলে।