কবিতা
কবিতা
বাংলাতে নাম বিড়াল এবং ইংরেজিতে ক্যাট মৎস্য এবং দুধ খায় সে, হত্যা করে র্যাট।
বিলাই
আতিক হেলাল
বাংলাতে নাম বিড়াল এবং
ইংরেজিতে ক্যাট
মৎস্য এবং দুধ খায় সে,
হত্যা করে র্যাট।
আসল নাম এর বিড়াল হলেও
কেউবা ডাকে বিলাই
উৎপাতে তার মাঝে মাঝে
ইচ্ছে করে কিলাই।
কেউবা ডাকে বিড়াল তাকে
কেউবা বলে ‘মেকুর’
দুধের হাড়ি শেষ করে সে
তুলতে থাকে ঢেকুর।
বিড়াল খুবই আরামপ্রিয়
স্নেহ-আমিষ খাবে
নরম ছাড়া শোবে না সে
যেমন-তেমন ভাবে।
তাকে আবার আদর করে
কেউবা ডাকে ‘মিনি’
সবাই তাকে উপকারী
বন্ধু বলেই চিনি।
আনন্দের এক মাঠ
বাবু হক
বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে
আনন্দের এক মাঠ
রোজ শনিবার সেথায় বসে
নীল সবুজের হাট।
সে হাটে পাই নানান ছবি
ছন্দ ছড়ার অনেক কবি
রঙে-কথায় আঁকেন তারা
নদীর খেয়াঘাট।
নানারকম পসরা নিয়ে
জোয়ান বুড়োর দল
বেচাকেনার জন্য সে হাট
করে না দখল।
সে হাট জুড়ে শিশু-কিশোর
গল্প-কাব্যে থাকে বিভোর
নতুন দিনের জন্য তারা
বাড়ায় মনোবল।
নতুন বই
অপু বড়ুয়া
নতুন বই আবেগমাখা
পাতায় পাতায় ঘ্রাণ
নতুন বই স্বপ্ন আঁকা
বর্ণমালার গান।
নতুন বই পেলেই হাতে
স্বর্গ হাতে পাই
নতুন বই পড়ার নেশায়
বিভোর হয়ে যাই।
বই মানে তো আলোর গাঁথা
বই মানে বিস্ময়
নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকে
মনটা ভালো হয়।
বাংলাদেশ
আকিব শিকদার
এই যে আমার মাতৃভূমি
শস্য শ্যামল বাংলাদেশ
মায়ের মতো সোহাগ মাখা
তার বুকেতে জন্ম নিলাম
আনন্দ যে অশেষ।
উদার আকাশ মুক্ত বাতাস
যেথায় ফেলি চোখ
গাছের পরে গাছ দাঁড়িয়ে
শীতল জলে মনটি জুড়ায়
জুড়ায় আমার বুক।
দখিন হাওয়ায় সবুজ ফসল
প্রান্তরে দেয় দোল,
জোছনা রাতে জোনাক জ্বলে
ফাগুন এলে কোকিল ডাকে
ভ্রমর নাচে, আমের ডালে বোল।
মেঘের ডাকে তালের শাখা
দোলায় যেন কেশ
পাহাড় বেয়ে গড়ায় নদী
ফুলে ফুলে ভরা বাগান
দেখতে লাগে বেশ।
এমন দেশটি পাবে না কেউ
স্নেহ আদর মাখা
বনে বনে পাখির কূজন
লতায়-ঘেরা পাতায় ঘেরা
রংতুলিতে আঁকা।
ছোট্ট খোকা
আনোয়ারুল ইসলাম
ছোট্ট খোকা মাকে বলে
একলা ঘরে রই
ভাল্লাগে না ঘরের কোণে
চাই যে পড়ার বই।
পাঠশালাতে সবার সাথে
খেলবো নানান খেলা
পড়াশোনা হৈ-হুল্লোড়ে
কেটে যাবে বেলা।
নতুন নতুন আঁকবো ছবি
পড়বো মজার ছড়া
নামি-দামি ছড়াকারের
কষ্ট শ্রমে গড়া।
মন ভোলানো আঁকাআঁকি
থাকবে চাঁদের হাসি
ফুলবাগিচায় ফুলের কলি
পুব আকাশের রবি।
নদীর ছড়া পাখির ছড়া
থাকবে বইয়ে ভরা
আকাশ ভরা তারার ছবি
শুবাসিত ধরা।
খোকার বইয়ে থাকবে মিশে
বাংলা মায়ের হাসি
লাল সবুজের পতাকাকে
ভীষণ ভালোবাসি।
আল্লার ইশারা
ফরিদ আহমেদ হৃদয়
নিমপাতা তিতা লাগে
দারুচিনি মিষ্টি
কোনো পাখি ডাকে কুহু
কোনটায় ইস্টি।
ডাব ভরা পানি আছে
উপরটা শক্ত
গাছ থেকে কষ পড়ে
পড়েনাতো রক্ত!
ফুল থেকে ফল হয়
নিয়তির সাধ্যে
চামড়ায় ঢোল হয়
লাগে কতো বাদ্যে।
মেঘ জমে আকাশেতে
ঘনঘনে কি সাড়া
মনে রেখো সবকিছু
আল্লার ইশারা ।
একটি সবুজ গাঁও
মুজাহিদুল ইসলাম
তেপান্তরের মাঠ পেরোলেই
পদ্মা নদীর ঘাট বেরোলেই
একটি সবুজ গাঁও,
কী অপরূপ পালতোলা সব
ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ কলরব
ঝিয়ে ভরা নাও।
হাতছানি দেয় কাশফুলেরা
বাদলসিক্ত ঘাসফুলেরা
কী মায়াবী রূপ,
ইচ্ছে হলেই নদীর জলে
ফুল-পাখিদের কোলাহলে
দিতে পারি ডুব।
আকাশ যেথায় নীল হয়ে যায়
মনে সুখের ফিল হয়ে যায়
সুপ্ত থাকে ক্ষণ,
দীনদুঃখীদের কষ্ট ধোবার
ধনী-গরিব সবাই সবার
আত্মার পরিজন।
ভালোবাসি খুব
জাকারিয়া আল হোসাইন
মাগো তোমায় যায় কি ভোলা?
তুমি আমার প্রাণ,
যেথায় থাকি, খুঁজি শুধু-
তোমার কোমল ঘ্রাণ।
তোমার মাঝে পাই খুঁজে পাই
নিজের আপনজন,
স্বপ্ন দেখি, তোমায় নিয়ে
দীপ্ত করি পণ।
সবার থেকে তুমিই সেরা!
তুমিই আমার রূপ,
তাই তো তোমায়, হৃদয় থেকে
ভালোবাসি খুব।