আমার গাঁয়ের
হুমায়ুন আবিদ
আমার গাঁয়ের পাখপাখালির মিষ্টি মধুর সুর
শুনলে পরে হারিয়ে যায় সুখের সমুদ্দুর।
আমার গাঁয়ের পুকুর বিলের শাপলা পদ্মফুল
চলার পথে মনের ভিতর জাগায় খুশির দুল।
আমার গাঁয়ের নদী-নালা ছোটে চলে দূর
মাঝি মাল্লার মুখে থাকে ভাটিয়ালি সুর।
আমার গাঁয়ের বন-বনানী সুবুজ পাতার সাজ
শিল্পীর আঁকা ছবি যেন নিপুণতার কাজ।
আমার গাঁয়ের ক্ষেতখামারে সোনাবরণ ধান
কৃষক ভাইয়ের স্বপ্নে বোনা ভালোবাসার গান।
আমার গাঁয়ের মেঠো পথে সারি সারি গাছ
বাতাস পেয়ে হেলেদুলে করে যেন নাচ।
আমার গাঁয়ের মাঠে ঘাটে কোমল দূর্বা ঘাস
মাটির চাদর হয়ে থাকে বছরের সব মাস।
আমার গাঁয়ের মানুষগুলোর সহজ সরল মন
সুখে-দুখে থাকে তারা হয়ে আপনজন।
পাখির মেলা
নূর-ই-ইলাহী
সকালবেলা পাখির মেলা বাগান জুড়ে ফুল
ফুলের ওলি গন্ধ বিলায় মন করে আকুল।
সেই আকুলে মন হয়ে যায় উদাসী এক নদী
সেই নদীর স্রোতের খেলা দেখবে এসো যদি।
দেখবে এসো মুক্ত বাতাস বাদামতলির মাঠে
লাঙ্গল জোয়াল কাঁধে তুলে কৃষাণেরা ছুটে।
গাঁয়ের চাষির মধুর হাসি দূরের অচিন পাখি।
দেখবে উঠো খোকা এখন খুলো তোমার আঁখি ।
লাউ ঝিঙের লতায় পাতায় রোদের হাসি মুখ
শশা ফুলের হলুদ রঙে জাগবে প্রাণে সুখ।
লাগবে হাওয়া হৃদয় জুড়ে বিলের ধারের ঘাসে
বাংলাদেশের এমনি রূপ জুড়ে হৃদয় জুড়ে হাসে।
শিক্ষা
এম. আবু বকর সিদ্দিক
আব্বু বলেন, কাউকে দেখে
আগে দিও সালাম
ভোরের সালাত আদায় করে
পড়ো খোদার কালাম।
আম্মুর বলেন, খাওয়ার আগে
হাতটা ধুয়ে নিও,
কাউকে খিছু দেওয়ার সময়
ডান হাতেই দিও।
ভাইয়া বলেন, সুন্দর করে
লিখো হাতের লেখা,
দামি মানুষ হবে তুমি
করো পড়ালেখা।
আপু বলেন, সবসময়ই
বলো সত্য কথা,
পশু-পাখি কাউকে কষ্ট
দিও না অযথা।
দাদু বলেন, আল্লার উপর
রাখিও ভরসা,
ছোটো- বড় সব মানুষকে
দিও ভালোবাসা।
বক ভাই
মোজাম্মেল সুমন
এই যে, বকভাই আমার একটা কথা শোনো!
ইশ! ভাবখানা ইংরেজিতেই বলছে ‘নো’ ‘নো’
দাও আমাকে একটি পুঁটি
তোমায় দিবো পায়েস রুটি
খুব মজাদার খেতে ঝঞ্ঝাট নেইকো কোনো!
জলের আয়নায় মুখ দেখে কী এতো গোনো?
দিবো তোমায় শীতের পিঠা
খেলেই বুঝবে দারুণ মিঠা
আমার কাছে আসো রঙিন স্বপ্ন বোনো ।
বকের কাছে খোকার কথা লাগছে খোনো ।
বক ঠোঁট খাড়া করে বলে, ‘ওরে খোকা,
লোভলালসায় পড়ে খেতে চাই না ধোকা’
তোমরা মানুষ, আমরা পাখি
যারযার মতো জায়গায় থাকি
‘আমি ওসব খাই না’ তুমি অনেক বোকা!
বাসায় গিয়ে দরজায় মারো একটা টোকা,
বাবামায়ের স্নেহাশিস নাও
পড়ালেখায় মনোযোগ দাও
তোমার কর্ম বইয়ের সকল পাতা শোঁকা ।
বক ভাই উড়ে গেলো সবটা হলো চোকা ।
আল্লাহ মহান
মাহমুদা সিদ্দিকা
একটা দুটো তারা জ্বলে
সন্ধ্যা রাতের বেলা
আল্লাহ মহান জিকির তালে
তারারা করে খেলা।
সূর্য উঠে সূর্য ডুবে
রবের হুকুম মেনে
আরশ নিচে সিজদাতে রয়
আল্লাহ মহান জেনে।
এই পৃথিবী বিশ্ব ভুবন
চলছে নিয়মমতো
খুঁত পাবে না কোথাও খুঁজে
ভাবছ বসে যতো।
আল্লাহ পাকের সৃষ্টিরাজি
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে
তাসবীহ জিকির তেলাওয়াতে
তাঁরই ছবি আঁকে।
ক্ষমা
ফেরদৌস জামান খোকন
ভুল বুঝে কেউ চাইলে ক্ষমা
ক্ষমা তুমি করে দাও,
বিনিময়ে প্রভুর রহম
বান্দা তুমি হয়ে যাও।
মানুষ জাতি নানা রকম
কর্ম ভবে করে যায়,
শয়তান থাকে ধোকার মূলে
পিছন থেকে করে ধায়।
কথার দ্বারা কাজের মাঝে
যদি তুমি কষ্ট পাও,
বিবেক বুদ্ধি সবই আছে
ক্ষমা তবে করে যাও।
ক্ষমা চাইলে করবে ক্ষমা
ক্ষমা করা মহৎ কাজ,
ভুলের জন্য ক্ষমা করা
নেই তো তাতে কোন লাজ।