মজনু মিয়া

নুর আলম অল্প বয়সের শিশু, সে পেয়ারা গাছে উঠতে পারে না। তাকে যে কেউ সাহায্য করবে এমন কাউকে দেখতে না পেয়ে গাছের তলায় বসে বসে খেলা করছে। কিছু সময় পর দেখে গাছের উপর কি যেনো পাতা নড়াচ্ছে। তখন উপর দিকে চেয়ে দেখে বিড়ালের মতো একটা কিছু গাছের ডালে লাফাচ্ছে। হঠাৎ নুর আলমের মনে পড়লো, ও গাছের পেয়ারা খাওয়ার জন্য বোধহয় কাঠবিড়ালি এসেছে, ভালো করে চেয়ে দেখলো আসলে একটা কাঠবিড়ালি,,,হেই হেই করলো কিন্তু গেলো না। চুপ করে রইলো। আবার নুর আলম খেলায় মন দিলো, কিছু সময় যাওয়ার পর দেখে পেয়ারার চামড়া কেটে কেটে ফেলছে। আবার উপর দিকে চায় কিন্তু কিছু দেখে না। অনেক সময় চেয়ে থাকার পর আবার দেখে পাতার ডালে বসে বসে পেয়ারা কাটছে। আবার হেই হেই করলো। সরে গিয়ে আড়ালে বসলো কিছু সময়। আবার পেয়ারা খাচ্ছে আর পেয়ারার চামড়া ফেলছে।

এইবার নুর আলম আক্ষেপ করে বললো- আমার যদি কাঠবিড়ালি বন্ধু থাকতো তাহলে সে আমাকে একটা পেয়ারা দিতো, না দিয়ে খেতেই পারতো না। আহারে আমি যদি কাঠবিড়ালি হতাম তাহলে পেয়ারা খেতে পারতাম আরো কত কি খেতাম!

অমনি একটা পেয়ারার আধেক খাওয়া বাকি অংশ টপ করে মাটিতে পড়লো। হাহাহা করে হেসে উঠলো নুর আলম। নুর আলম মনে মনে ভাবে এই কাঠবিড়ালি আমার বন্ধু।আমার কথা সে শুনেছে, আমাকে একটা পেয়ারা দিয়েছে।

নুর আলম পেয়ারা খাচ্ছে তখন তার মা ডাকতে ডাকতে তার কাছে চলে এলো। বললো, চল গোসল দিবি, ভাত খাবি। অমনি নুর আলম বলে মা মা দেখছো কাঠবিড়ালি আমার বন্ধু হইছে, আমি তাকে একটা পেয়ারা দিতে বললাম আর অমনি আমাকে এই পেয়ারাটা দিয়ে চলে গেলো। মা বলে, দেখি দেখি- আরে বাবা এটা কাঠবিড়ালির এ্যাঁটো খাবার, এটা খেতে নেই, চল বাড়ি চল আমি তোকে গোসল করিয়ে তারপর পেয়ারা পেড়ে দেবো।

এ দিকে পেয়ারা প্রায় শেষ করে ফেলেছে খেয়ে নুর আলম।