সাদিয়া ফয়জুন
একবার একটি কুকুর এদিক সেদিক খাবার খুঁজতে লাগল। ঘুরতে ঘুরতে একটি গোয়ালঘর দেখতে পেল। গোয়ালঘরে কোনো গরু ছিল না। কৃষক গরু দিয়ে হাল চাষ করছিল। তাই কুকুরটি গোয়ালে ঢুকে খাবার খুঁজতে লাগল। কুকুরটি খুবই ক্ষুধার্ত ছিল। তাই কোনো খাবার না পেয়ে গোয়াল ঘরের খড় খাওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু খড়ের স্বাদ তার ভালো লাগল না। এবং খেতে পারল না। ক্ষুধায় কুকুটি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাই খড়ের গাদার উপর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। সন্ধ্যায় গরুগুলো গোয়ালে ফিরে এল। তারা সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত ছিল। যখন তারা খড়ের গাদায় খড় খেতে গেল, তখন দেখল একটি কুকুর সেখানে শুয়ে আছে। লাল গরু বলল, “তুমি কে? তুমি এখানে কি করছো ? “
কালো গরুটা বলল, “এই তুমি নামো এখান থেকে আমরা এখন খাব।” কুকুরটি ঘেউ ঘেউ করে উঠল এবং জবাব দিল “আমি এখান থেকে যাব না, দেখতে পারছ না আমি এখানে ঘুমাচ্ছি, শুয়ে আছি। “ বাদামি গরু টা ছিল খুবই শান্ত ।
সে কুকুরটিকে অনুরোধ করে বলল, “ভাই তোমার তো শুয়ে থাকার জায়গার অভাব নাই। তুমি তো আর খড় খেতে পারো না। আমাদের অনেক ক্ষুধা পেয়েছে। সারাদিন মাঠে অনেক কাজ করেছি। আমাদেরকে দয়া করে খেতে দাও! তুমি অন্য কোথাও গিয়ে ঘুমিয়ে থাকো।”
কুকুরটি বলল, “আমি কোথাও যাবো না, এখানেই ঘুমাবো। “
গরুগুলোর মধ্যে কালো গরুর শক্তি ছিল সবচেয়ে বেশি। তার মাথায় ছিল অনেক বড় ধারালো শিং। এমন জবাব শুনে কালো গরুটির খুব রাগ হলো। সে আর কোন কথা বলল না। তেড়ে গিয়ে কুকুরটিকে বড় বড় শিং দিয়ে খুব জোরে একটা গুঁতা দিল। গুঁতো খেয়ে কুকুরটা খুব ব্যথা পেল। ঘেউ ঘেউ করে কাঁদতে কাঁদতে কুকুরটি গোয়াল ঘর থেকে বের হয়ে গেল।