নাঈমুল হাসান তানযীম
ছোটো মামাকে খুব ভালোবাসে আদিবা। দেড় দুই মাস পরপর মামা ওদের বাসায় বেড়াতে আসে। সঙ্গে করে নিয়ে আসে ছোটোদের মজার মজার সব গল্পের বই। আদিবা মামার কাছ থেকে উপহার পাওয়া এসব গল্পের বই পড়ে অনেক কিছু শিখতে পারে। জানতে পারে নতুন নতুন অনেক বিষয়। মামা আসবে এ কথা শোনার পর থেকেই অধীর আগ্রহে বসে থাকে ও। অপেক্ষায় থাকে, এবার নিশ্চয়ই মজার মজার কিছু বই নিয়ে আসবে মামা।
আদিবা ছোটো মামাকে আরও একটি জিনিসের জন্য পছন্দ করে। তা হলো, ছোটো মামা ওকে নানা গল্প শোনায়। আগের দিনের রাজা-বাদশাহদের গল্প, বনের পশুপাখি আর রূপকথার চমৎকার সব গল্প শুনে মামার প্রতি অন্যরকম মুগ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে ওর। ওর রায়হান কাকাকে সারাদিন আবদার করলেও একটা গল্প শোনায় না। বাসায় এলেই মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকে। অথচ ছোটো মামা কত্তো ভালো। আসলেই সারাক্ষণ গল্প শোনায়। কাকার চেয়ে তাই মামাকেই বেশি পছন্দ করে ও।
গল্প শোনানোর সাথে সাথে মামা অনেক সুন্দর সুন্দর উপদেশও দেন ওকে। আদিবা সেসব উপদেশ মনোযোগ দিয়ে শোনে। ছোটো মামা সবসময় একটা কথাই বেশি বলে, ‘আদিবা! পড়ার সময় যখন হবে তখন শুধু পড়বে। খেলার সময় হলে খেলবে। খাবার সময়, ঘুমের সময় খাবে, ঘুমাবে। এককথায় যখন যেটা করা দরকার, যখন যা কাজ, তখুনি সঙ্গে সঙ্গে সে কাজ করে ফেলবে। কখনও যদি মোবাইল হাতে নিতে মন চায় কিছুতেই এর ধারেকাছে যাবে না। তখন বাইরে বের হয়ে খেলাধুলা করবে। গল্পের বই পড়বে। কিছুতেই যেন মোবাইল হাতে না ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখবে। কারণ, মোবাইল হলো বিষধর সাপের মতো, তোমাকে ছোবল দিয়ে শেষ করে দেবে তুমি টেরও পাবে না।
মামার কথাগুলো আদিবার খুব ভালো লাগে। মুগ্ধ হয়ে শোনে ও। না, শুধু শোনেই না, চেষ্টা করে মানারও। মামা বলেছে, তার কথাগুলো যদি সে মানে তাহলে নাকি অনেক বড় হতে পারবে।