ওমর বিশ্বাস
এলিয়েনদের ল্যান্ড করা উপগ্রহটা আছে জঙ্গলে। সেখানে তারা চারপাশের গাছের মধ্যে একটা সংযোগ তৈরি করেছে। গাছগুলোর পাতার সাথে পাতা যুক্ত করে উপগ্রহের ভিতরের সাথে বাইরের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তরঙ্গ সৃষ্টি করে বিদ্যুৎ বানানো হবে। তারা এমন জায়গা বেছে নিয়েছে যেখানে গাছগুলো খুব ঘন। পাতার সাথে পাতা লেগে থাকে। ডালের সাথে ডাল। তারা হিসাব করে দেখেছে গাছগুলোর ভিতর একধরনের সঞ্চালন ক্ষমতা প্রকৃতিগতভাবে আছে। যার ফলে তারা বেড়ে ওঠে। পাতার সাথে বাতাসের ঘর্ষণে এক ধরনের রশ্মির সৃষ্টি হবে তা কাজে লাগানো যেতে পারে। সেখানে আবার বায়ু সঞ্চালনের ফলে এক ধরনের প্রবাহ সৃষ্টি হয়। এই উভয়টাকে কাজে লাগিয়ে তারা এখানে বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ অনেক রকম কাজ করতে চায়। এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও পাওয়া গেছে। সেখানে অবশ্যই চেষ্টা করলে একটা গাছের সাথে আরেকটা গাছের সংযোগ তৈরির মাধ্যমে তরঙ্গ সৃষ্টি করে বিদ্যুৎ প্রবাহ ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। পাতায় পাতায় ভর করে সেই প্রোজেক্ট সফল করা যায়। সেভাবে অনেক প্রচেষ্টার পর তারা সফলতা পেয়েছে।
এখানে সেন্সর দেওয়া আছে। তারা এটা করেছে তাদের নিজেদের বিভিন্ন রকম সুবিধার জন্য। নিয়ন্ত্রণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও এর সাথে জড়িত। পৃথিবী নামক গ্রহের কোনো মানুষ এদের কোনো ক্ষতি করতে যেন না পারে। সাথে সাথে সংকেত জ্বলে উঠবে, সংকেত পেয়ে রিংটোন সক্রিয় হয়ে সাউন্ড দিতে থাকবে।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির সংকেতের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রিংটোন ব্যবস্থা আছে। কেউ এদের নির্দিষ্ট একটা সীমার ভিতর এসে গেলে স্পর্শকাতর কণাগুলো কাঁপতে থাকবে শব্দহীন। এলিয়েনরা এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রথমে যেটুকু ছিল এখন তার থেকে আরো বৃদ্ধি করেছে। এটাকে ধীরে ধীরে বাড়াবে তাদের প্রয়োজন অনুসারে। বর্তমানে তা তিনশ মিটার এলাকার আওতায় রাখা আছে। এই দূরত্ব অতিক্রম করে কাউকে তাদের কাছে আসতে হবে। কেউ তিনশ মিটার সীমার মধ্যে আসলেই কন্ট্রোলরুম বুঝে যাবে। ততক্ষণে তারা অবস্থা বুঝে নির্দিষ্ট দূরত্বে চলে যেতে পারবে। তখন নিরাপদ এলাকার সংকেত পেয়ে তারা সেখানে সরে যাবে। কাছাকাছি কোথায় যাবে তা বলে দেওয়া হবে।
যদি কেউ বাইরে থাকে তার উদ্ধারেরও ভালো ব্যবস্থা করা আছে। সে যাতে নিরাপদে ফিরতে পারে বা নিরাপদে থাকতে পারে সেটাও তারা নিশ্চিত করবে। ফলে সহজে কেউ ধরা না দিলে ধরা পরার কোনো সম্ভাবনা নাই।
এরা এমনভাবে তৈরি এদের শরীরের সবকিছু স্বয়ংক্রিয়।
(চলবে)