হারুন ইবনে শাহাদাত

আকাশের নীল রঙ মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়েছে। সত্যি কি তাই? না নায়কের এমন ভাবনা আসলে ভুল। রাতের আকাশ নীল দেখায় না। মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়লেও কালো। না পড়লেও কালো। তাই রঙ খুঁজে লাভ নেই। তার চেয়ে বরং চাঁদের সাথে মেঘের লুকোচুরি আর জোসনার আলো আঁধারিতে গ্রহ-নক্ষত্রের মেলা আর মাটির আকর্ষণে উল্কার দৌড় দেখে দেখে রাতটা কাটালে হয় তো মনের মেঘ কেটে যাবে।

আমার আজকের গল্পের নায়ক মাঝরাতে বিছানা ছেড়ে ওঠে বারান্দা নয়, সোজা ছাদে। কিন্তু কেন? হঠাৎ তাকে রাতের সৌন্দর্য এত টানছে কেন? সারা দিন অফিস আর খাটা-খাটির পর তার তো ঘুমের শান্তির কোলে স্বপ্নের রাজ্যে ভ্রমণ করার কথা। কিন্তু সে কেন স্বপ্নের রাজ্য ছেড়ে ছাদে। কেন ঘুমাতে পারছে না? এ প্রশ্নের উত্তর তার জানা নেই।

পাঠক হয়তো ভাবতে শুরু করেছেন, আজকের এ গল্পের নায়ক, ব্লুলু হোয়েল গেমে আসক্ত। এখনই ঝাপ দিবে ছাদ থেকে। কিন্তু না এ তাড়াতাড়ি নায়কের মৃত্যু। তার মানে গল্পেরও সমাপ্তি, যার আরেক নাম মৃত্যু।

পাঠকের এমন ভাবনার কারণ তথ্য ও প্রযুক্তি আর কম্পিউটার গেম সম্পর্কে তারা এখন এতটাই জানেন যে, নিজের জীবন পরিবার সংসার নিয়েও হয় তো এর চেয়ে কম জানেন। তাই রাত দুপুরে কেউ ছাদে উঠলেই মনে মনে শিহরিত হন, এই বুঝি লাফিয়ে ....।

রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত মনোবিজ্ঞানের প্রাক্তন ছাত্র ফিলিপ বুদেইকিন। সে ২০১৩ সাল থেকে শুরু করেছিলো আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করার ব্লুলু হোয়েল নামের এক ভয়ংকর কম্পিউটার গেম। গেমটির মূল নাম সিনিয় কিত । শব্দটি রুশ। যার বাংলা নীল তিমি। সিনিয় কিত বা ব্লু হোয়েল নামের কারণ বিশ্লেষণ করতে গেলে গল্পটি আর গল্প থাকবে না। এই কম্পিউটার গেম অসংখ্য মৃত্যুর কারণ। ২০১৬ সালে একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিকের প্রতিবেদন প্রকাশের পর। ফিলিপ বুদেইকিনকে গ্রেফতার এবং শাস্তি দেয় হয়। এরপর ব্লু হোয়েল গেম আর নেই। কিন্তু নীল তিমিদের মৃত্যু বন্ধ হয়নি। মনোবিজ্ঞানের রহস্য জালে পুরুষ নীল তিমিদের মতো মরছে অনেক নায়কও। মানে নায়করা। ঠিক যেমন করে নীল তিমিগুলো জীবনের একটি পর্যায়ে গভীর সমুদ্র থেকে চলে আসে সমুদ্র তীরে। তারপর শুকনা ভূমিতে ধীরে ধীরে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। আমার গল্পও আজ সেই নায়কদের নিয়ে যারা জীবনের বালুবেলায় আটকা পড়ে, এমনি করে হারিয়ে যায় পৃথিবী নামের গ্রহ থেকে।

নায়িকারা কাগজের ফুলের মতো চেয়ে চেয়ে দেখে কিন্তু অজ্ঞতার কারণে নিজেকে বিলিয়ে নায়ককে রক্ষা করতে পারে না। যদিও তারা গন্ধ বিলায়, সংসারের সৌন্দর্য বাড়ায়। নায়কের জীবন সায়হ্নে হারিয়ে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে হলেও বাঁচাতে চায়। তারপর তাকে হারিয়ে চোখের পানিতে বুক ভাসায়।

জীবনে পাশাপাশি চলা ছন্দময় দিনগুলোতে নায়কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে তার আগে মুখে খাবার নিতে চায় না। অফিসে যাওয়ার আগে প্রতিদিন সকালে নিজের লাঞ্চ বক্স ভরার আগে নায়কেরটা রেডি করে।

নায়িকা অফিস শেষে সব সময় চেষ্টা করে নায়েকের আগে বাসায় ফিরে বিকেলে চা -কফি নাস্তা রেডি করতে।

ছুটির দিনে সবার আগে ঘুম থেকে উঠে বাজার করা ছাড়াও নায়িকার খুব কড়া নজর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে । চুল-দাড়ি থেকে নিয়ে পোশাক সব চাই পরিপাটি। তারপরও কেন নায়ক একা একা ছাদে। চাঁদ আর মেঘের মিতালি উল্কার দৌড় দেখতে কেন এত ব্যস্ত ?

পৃথিবীর টানে উল্কা যেমন ছুটে আসে, নায়কও কি চায় তেমনি করে কারো বুকে হারিয়ে গিয়ে, নতুন শক্তিতে জেগে উঠতে।

নায়িকা ঘুমে অচেতন। সে কি স্বপ্ন দেখছে? নায়কের খুব জানতে ইচ্ছে করে। অবশ্য জিজ্ঞেস না করেও অনেক বার জেনেছে, নায়িকা এখন আর স্বপ্ন দেখে না।

২,

‘আধখানি চাঁদ ঐ আকাশে আধখানি চাঁদ মোর পাশে হাসে।’ নায়কের হঠাৎ আরো মনে যায়, ‘ঘরে যদি চাঁদ থাকে আকাশের চাঁদ চাই না’। নায়ক আর ভাবতে পারছে না। বুকটা চিন চিন করছে। কিন্তু কেন? সেই উত্তাল জোয়ার ডাকা মিষ্টি মধুর দিন-রাত্রি কোথায় হারিয়ে গেলো?

মধুর ভাণ্ড কি সত্যি নিঃশেষ হয়ে গেছে।

নায়ক তার মনের গহিনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার ডাক শুনতে পায়-

‘... ”নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা, সুধায় ক্ষুধায় মিলে জন্ম লভিছে মহামানবের মহাশিশু তিলে তিলে।”

শুধুই কী নতুন প্রাণের জন্মের জন্যই ক্ষুধা আর সুধার এ খেলা? তাহলে এ ক্ষুধা নিয়ে বেঁচে থাকার কষ্ট কেন এত অসহ্য লাগছে। নায়কের এমন ভাবনার মাঝে হঠাৎ, মোবাইলের ইমোতে কল আসার বিকট শব্দ। এত রাতে ছাদে এমন শব্দ সত্যি বেমানান. তাই দ্রুত রিসিভ বাটনে চাপ দিলো নায়ক-

: ‘হাই, আমি তোমার মতো রাতজাগা পাখি...’ স্বল্প বসনা এক নারী অপর প্রান্ত থেকে ভিডিও কলে কাতর কণ্ঠে তাকে ডাকছে।

নায়ক দ্রুত লাইন কেটে দিলো। তারপর সাইলেন্স মোডে চাপ দিয়ে মোবাইলটা রাখতে না রাখতেই মেসেঞ্জারে নোটিফিকেশন, উজ্জ্বল স্ক্রিনের দিকে নায়ক তাকায়

: ‘ইউ আর হ্যান্ডসাম’

: থ্যাংকস। ভদ্রতার খাতিরে নায়ক লিখলো।

: ‘আই লাভ ইউ। আই এম ফ্রম লন্ডন।’ ও পাশ থেকে রিপ্লাই : ওকে

: আই উইল কাম ঢাকা

: আর ইউ এ মুসলিম

: ইয়া

: আই লাভ ইউ, ইউ আর এ ট..প অর বা..ম। নায়কের হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলো। এই মহা বিপদ আর মহা পাপ থেকে বাঁচতে দ্রুত নম্বরটি ব্লক করার চিন্তা করলো। ব্লক করার আগে তাকে লিখলো,

: এফ্রেইড আল্লাহ, ইউ আর এ ক্রিমিন্যাল অব হিউমিটি।

স্মাার্ট ফোনগুলো নিয়ে এইএক সমস্যা। মাঝে মাঝে এমন আচরণ করে. মনে হয় মনও পড়তে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় এমন সব নোটিফিকেশন আসে।

এমন সময় আবার সাইলেন্স থাকা মোবাইলের স্ক্রিন উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। এবার ইউটিউবের নোটিফিকেশন।

ইসলামী ও মনোবিজ্ঞান বিষয়ে আলোচনা করছেন দুইজন।

১ম বক্তা: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,‘স্বামী যখন তার প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডাকে, সে যেন অবশ্যই তার কাছে আগমন করে, যদিও সে চুলার ওপর ব্যস্ত থাকুক। (অর্থাৎ যদিও সে রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত থাকুক)’ (তিরমিজি)। রাসূল সা. এ নির্দেশ সম্পর্কে মনোবিজ্ঞান কী বলে?

দ্বিতীয় বক্তা: আধুনিক মনোবিজ্ঞান বলে স্ত্রী সাড়া না দিলে পুরুষের শরীরে স্নায়বিক রোগ, মানসিক চাপ, এবং সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড মনে করতেন, পুরুষের অবদমন বা দমন করা বাসনা থেকে তৈরি হওয়া মানসিক চাপ বিভিন্ন স্নায়বিক ও মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার জন্ম দেয়। ফ্রয়েডের মতে, অবদমিত ইচ্ছা বা বাসনা কখনোই মন থেকে পুরোপুরি মুছে যায় না, বরং তা অবচেতন মনে জমা হতে থাকে। এই অবদমিত বাসনা পরবর্তীতে বিভিন্ন রূপে প্রকাশ পায়। এমনও হয় চিরতরে বাসনা দমে যায়, শারীরিক বৈকল্য দেখা দেয়।

কোন কোন মনোবিজ্ঞানী বলেছেন, সেই দমিত ইচ্ছা জমে শরীর ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক, ব্রেইন স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।

১ম বক্তা: রাসূল সা. আজ থেকে প্রায় দেড়হাজার বছর আগে যখন এ কথা বলেছেন, তখন একথার মানে মানুষের হয় তো অজানা ছিলো। তারা এত সব বুঝছেনি। বুঝতে চায়নি। এখনো, কথিত নারীবাদীরা বুঝতে চান না। ‘শরীর আমার সিদ্ধান্ত আমার’ স্লোগান তুলে স্বামী-স্ত্রীর জান্নাতি সম্পর্ক নষ্ট করছেন। ধর্মীয় বোধহীনদের পুরুষদের তারা বিপদগামী, বহুগামী,পাপের পথে. আর নৈতিকতা সম্পন্ন সাধু পুরুষদের শারীরিক মানসিকভাবে পঙ্গু.. তারপর পৃথিবী থেকে বিদায় করছেন। না নায়কের আর ভালো লাগছে না। সে মোবাইল বন্ধ করে দ্রুত ছাদ থেকে নেমে আসে।

৩.

বেডরুমে ডিম লাইটের মৃদু আলো জ্বলছে। নায়িকা গভীর ঘুমে বিভোর। নায়কের মনের ইচ্ছে ঘুড়িগুলো পাখনা মেলতে শুরু করে। নায়িকার কপোলের তিলটা যেন আলো ছড়াচ্ছে।

নায়ক আজ বুঝতে পারছে, প্রিয়ার চিবুকের একটা কালো তিলের বিনিময়ে’ সমরখন্দ আর বুখারা মতো ঐশ্বর্যশালী নগর কেন লিখে দিতে চেয়েছিলেন পারস্যের কবি হাফিজ সিরাজি!

খোলা জানালা দিয়ে নায়ক আকাশের দিকে তাকায়। চাঁদ এখনো মেঘে ঢাকা পড়ে আছে। তার মনে হচ্ছে ঐ চাঁদের চেয়েও সুন্দর তার প্রিয়ার এ কালো তিল। আলতো করে স্পর্শ করে। নায়িকার ঘুম ভেঙে যায়। নায়ক আরো ঘনিষ্ঠ হতে চায়। কিন্তু একি এতো নাগনির নিঃশ্বাস!

: আহ মরি জ্বালা। একটু আরামে ঘুমাতেও দেয় না। ঢং দেখে বাঁচি না।

নায়কের রোমান্টিক মোডের বেলুন ফুস করে চুপসে যায়। : সরি‌্য

: এখন আর সরি‌্য বলে কি হবে। কত কষ্ট করে একটু ঘুমিয়েছিলাম।

নায়ক আর কোন কথা বলে না। ইচ্ছে করে আবার ছাদে গিয়ে। ব্লক করা ফেসবুক বন্ধুদের সাথে ...

না। তা করলে আবার লংকাকাণ্ড শুরু হবে। এখন মহারানী জেগে আছেন।

নায়ক মনভরা, বুকভরা, হৃদয় ভরা ক্ষুধা নিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে থাকে। চোখে ঘুম নেই। তারপরও ঘুমের ভান করে, চুপচাপ শুয়ে থাকে নায়ক।

৪.

নায়ক ফজরের আজানের পর নামাজ পড়ে নেয়, তার চোখে রাজ্যের ঘুম। কত মিষ্টি এ ঘুম। অথচ সকালটা তার চেয়েও মিষ্টি। পাখির কলকাকলি। মিষ্টি হাওয়া। স্নিগ্ধ রোদ কিছুই তাকে টানে না। রাতের ক্লান্তি কাটাতে এখন চাই শুধু ঘুম আর ঘুম।

শীতল হাতের স্পর্শে ঘুম ভাঙে। মিষ্টি আহবান।

: অফিসের সময় হয়েছে। ওঠো। এদিকে কাজ করতে করতে আমি শেষ। আর ওনার ঘুম শেষ হয় না।

আসলেই নায়িকার কষ্টের শেষ নেই। সেই ফজরের পর থেকে শুরু...। কত কাজ অফিস, বাজার, বাচ্চাদের যত্ন, স্কুলে পাঠানো, বাড়ি-ঘর সব কিছুই সুশৃঙ্খলভাবে চলছে তার আদর আর ভালোবাসায়।

নায়িকা অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি। নিজের লাঞ্চ ব´ ব্যাগে রেখে। নায়কেরটা তার দিকে বাড়িয়ে দেয়। নায়কের খুব ইচ্ছে করে, চিৎকার করে নায়িকাকে বলতে।

: খুব রাজ্য জয় করেছেন। এমন খাবার পকেটে টাকা থাকলেই কিনে খাওয়া যায়। কিন্তু যে ক্ষুধার জ্বালায় আমি জ্বলছি,,,। তা টাকা বিনিময়ে কেনা যায় না তা নয়, কিন্তু আমি মুসলিম...

কিন্তু না। নায়ক কোন চিৎকার করে না। হাসিমুখে লাঞ্চ বাকশটি নিয়ে গাড়িতে গিয়ে নায়িকার পাশে বসে।

গাড়ির গতির সাথে সাথে নায়িকার শাড়ির আচল উড়ে উড়ে লাগে নায়কের মুখে। গন্ধটা সে উপভোগ করে। ঘ্রাণই অর্ধ ভোজন এ বাণী মনে মনে উচ্চারণ করে।

: ‘ম্যাডাম। আপনার অফিসে এসে গেছি।’ ড্রাইভার দরজা খুলে দেয়।

নায়িকাকে অফিসে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি নায়কের অফিসের দিকে চলছে। নায়কের মনে উখাল-পাথাল ভাবনা: ‘ আমার এত ক্ষুধা। ওর কী কোন ক্ষুধা নেই। তাহলে সে কি ...। না নায়িকা তেমন মেয়েই নয়,,। তাহলে..।

: ‘স্যার।’ ড্রাইভারের ডাকে নায়ক গাড়ি থেকে নেমে অফিসের দিকে পা দাঁড়ায়।

৫.

দুপুর দুইটা।

পাঁচটায় অফিস শেষ। নায়িকা আজ একটু আগে অফিস শেষ বের হবে বলে মনে মনে ঠিক করে রেখেছে। তার ইচ্ছে নায়ককে সারপ্রাইজ দিবে। তার জন্য স্যূট টাই কিনবে। সাথে এটা দাবি পারফিউম। আর কিনবে ওর পছন্দের পিজ্জা। নায়িকা মনে মনে হাসে, বিকালটা খুব মজায় কাটবে আজ। মনের মেঘ কেটে যাবে দু’জনের আলোয় আলোয় ভরে ওঠবে ছোট ঘর।

কিন্তু না। সেই বিকেল.. এত অপেক্ষা

নায়কের মনের মেঘ আরো ঘন হয়ে জমছে। ধীরে ধীরে মনের বসতবাড়ি হৃদয়টাকে , তোমরা বলো হার্ট কিংবা হৃদপিণ্ড..

নায়িকা ভাবনাগুলো হাসি হয়ে ঝরে পড়ছে..

নায়কের জন্য তার মনটাও আনচান করছে..,

কিন্তু.. সে তো এখন তার বাহুর বন্ধন থেকে অনেক দূরে, তার অফিসে..

মোবাইলের রিং টোনে নায়িকার ভাবনাগুলো হারিয়ে যায়।

ফোন রিসিভ করে ড্রাইভারের বিচলিত কণ্ঠ: ম্যাডাম দ্রুত হাসপাতালে আসুন। স্যার ..