ফয়সাল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সে সবার ছোট ও মেধাবী। ভাইবোনসহ মা-বাবা সবাই তাকে আদর করে। শুধু কি তাই! তাকে রীতিমত ক্ষুদে বিজ্ঞানী বলে ডাকে। ক্ষুদে বিজ্ঞানীর পেছনের কথা জানা থাক।
সে যখনই বাংলা, ইংরেজি, অংক, ইতিহাস, ভূগোলে ৭০ থেকে ৮০ নম্বর পেয়ে থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানে বরাবরের মতই সে ১০০ তে ১০০। স্কুলের শিক্ষকরা যেমন খুশি, তার মা-বাবাও তেমনি খুশি।
ফয়সালের আরেকটি গুণ হলো সকালে অথবা বিকালে সময় পেলে কিছু জিনিসপত্র ব্যাটারি নিয়ে বসে যায়। একটার সাথে একটা তার লাগিয়ে ব্যাটারি দিয়ে অথবা অন্য কিছুর সাহায্যে কিছু বানানোর চেষ্টা সব সময় অব্যাহত রেখেছে।
তার কাজের সহযোগিতা সবাই করে। এরই মধ্যে ছোট ছোট ফ্যান তৈরি করেছে। পানি দিয়ে অর্থ্যাৎ তেল ছাড়া কিভাবে ইঞ্জিন চলবে তার চেষ্টা করা। এমনকি রোবট তৈরি করার চেষ্টা সবই সে অব্যাহত রেখেছে। ছেলেটির এমন অব্যাহত চেষ্টা দেখে গ্রামবাসী দারুণ খুশি। বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন প্রায় সময়ই ভিড় জমায় ফয়সালের আবিষ্কার দেখতে। তারা ধন্যবাদ জানায় ফয়সালকে। ধন্যবাদ দেয় তার মাতা-পিতাকে। ধন্যবাদ দেয় শিক্ষকদেরকে।
ফয়সাল সবাইকে বলে, আপনাদের দোয়া খাকলে আমি আরো অনেক কিছু আবিষ্কার করবো। বিশ্ব দরবারে এদেশের সম্মান বয়ে আনবো ইনশাআাল্লাহ।