ওমর বিশ্বাস

সাংঘাতিক একটা সমস্যা দেখা দেয় এলিয়েনদের কাজে। প্রথমবারের মতো জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাদের গর্ব করার মতো একটা নিরাপত্তাবলয় ছিল। সেটাতে একটা ছিদ্র দেখা দিয়েছে। এর জন্য তাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তরঙ্গ রেখাগুলো ছ্যাঁড়ছ্যাঁড় করে উঠছে একটু পরপর। এটা ওয়াল স্ক্রিনে এখন ধরা পড়ছে। প্রথম প্রথম কেউ টের পায়নি। আস্তে আস্তে এখানকার নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রগুলোতে একাধিক সংকেত ভেসে ওঠে। এতে তাদের ভিতর হুলুস্থুল পড়ে যায়। কোথায় কি আবার ঘটল?

উপগ্রহটি টানা কয়েকদিন আসা-যাওয়া করেছে। সারারাত থেকে ভোরের আলো ফোটার আগেই ফিরে গেছে নিজেদের স্টেশনে। এর মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। মিশন শুরু হবে। অভিযান পরিকল্পনা একটার পর একটা রেডি। যার যার কাজ করে যাচ্ছে সবাই। ছোটখাটো ও খুঁটিনাটি বিষয়গুলো গুছিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে কোত্থেকে যেন সবকিছু উলটপালট হয়ে গেছে। এজন্য খুবই উদ্বিগ্ন তারা। তারা জানতে চায় এর পিছনে কারা আছে।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর সমস্যাটা বের করা গেছে। পরিশ্রম হয়েছে অনেক। সময়ও নষ্ট হয়ে বেশ। শব্দহীন বা সাউন্ডপ্রুফ তরঙ্গ নেটওয়ার্ক যেরকম থাকার কথা সেখানে কোত্থেকে যেন বাতাস ঢুকছে। যার কারণে নিরাপত্তাবলয়ের ওখানে বাতাসের ভারী একটা চাপ পড়ছে। খুবই হালকা ভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল শুরুতে। এখন ক্রমাগত তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। পৃথিবীর এই এলাকায় অংশে বৃষ্টি হচ্ছিল। এখন বৃষ্টি থেমে বাতাস হচ্ছে। জোরে জোরে বাতাস। এতো জোরে বাতাস না হলে তাদের বিপদসংকেত পেতে আরো হয়তো সময় লাগতো।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষের লোকজন ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা শনাক্ত করতে পেরেছে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা। তরঙ্গরেখার ওই জায়গাটা আরো বড় করে নিলো ভালো করে দেখার জন্য। সাথে সাথে যারা ছিল তারা থ মেরে গেল। একটা খুব চিকন লাল রেখা দেখা যাচ্ছে স্ক্রিনে। খালি চোখে ওটা দেখা যেত না। তারা স্ক্রিন আরো বড় করল যতটুকু করা যায়। বড় করাতে একটু বড় হলো। এটা খুব চিকন সুঁইয়ের মাথা চেয়েও ক্ষুদ্র একটা ছিদ্র। প্রবল ভারী বাতাস ওই ছিদ্রপথে একটা জোর চাপের সৃষ্টি করে। এতে সুবিধা হয়। এর জন্য ছিদ্রটির বিষয়ে জানা গেছে। তরঙ্গরেখা মাপার যন্ত্র এতো নিঁখুত বলেই ছিদ্রটা ধরা পড়েছে। না হলে এতো সহজে এতো সহজে জানা যেত না। গাঢ় সবুজ রেখা এতো স্পষ্টভাবে রিপোর্ট দেয় যে ওখানে কিছু আসলেই অটোমেটিক বাধাগ্রস্ত হওয়ার মতো সংকেত রেখা কেঁপে ওঠে। সবুজ সংকেত হয়ে যায় লাল। (চলবে)