ওমর বিশ্বাস
আসিফ দৌড়ে বন্ধুদের কাছে চলে যায়। তাদের অনেকে একসঙ্গে বসেছে। মোটামুটি সবাই তাদের ছাদে এসে জড়ো হয়েছে। সবাইকে খুলে বলে সব। অন্যরা তার ছাড়া কোনো সংযোগ পাবে না, সে জানালো। অন্যরা এতে নতুন কিছু বুঝতে চেষ্টা করে। তারা তার কিংবা সেট ছাড়াও সংযোগ পেতে চায়।
তারা সবাই খুব কৌতূহলী। আসিফকে ঘিরে বারবার প্রশ্ন করে। জানতে চায়, তারপর তারপর?
জানতে চায় সে আর কি কি শব্দ শুনেছে। সেগুলো তারা উদ্ধার করার চেষ্টা করবে।
আসিফ উত্তেজনায় ভুলে গিয়েছিল যে সে অস্পষ্টভাবে ‘আ’ আর ‘ফ’ শুনতে পেরেছে। মাঝখানে একটা নিশ্বাসের গ্যাপ ছিল।
রিফাত চেঁচিয়ে ওঠে। বলে, আসিফ সাবধান! দোস্ত।
সবার চোখ রিফাতের মুখের দিকে ছিল, আসিফের নাম শুনে তার দিকে ঘুরে যায়। আসিফ নিজের নাম শুনে থ হয়ে যায়। কী বলবে? কী করবে? বুঝতে পারে না। কিছুক্ষণ সবাই একেবারে চুপ। থমথমে হয়ে ওঠে পরিবেশ।
একটা গভীর আতঙ্ক সবার শরীরের এমাথা থেকে ওমাথা বিদ্যুতের মতো নাড়া দিয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ড গভীর নীরবতা নেমে আছে। পরিবেশ হালকা করার জন্য সিফাত কয়েকটা কাঁচামরিচ বের করে সবার সামনে ধরে। এবার সবাই কাঁচামরিচের দিকে নজর দেয়। সবার চোখে প্রশ্ন, কাঁচামরিচ কেন?
এখন ঝালমুড়ি হবে। ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া ঝালমুড়ি খাবো। নে কাজ কর। আসিফ খেয়ে দেয়ে সাবধান হয়ে নে। সিফাত ঝটপট বলতে থাকে একটা গম্ভীর ভাব বজায় রেখে।
এমনভাবে বলল যেন খুব কৌশলে সিফাত আসিফকে সতর্ক করে আর সবাইকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়।
আসিফ হেসে ওঠে। সবাই একসাথে হাসতে থাকে।
তাজিন প্রশ্ন করে, এগুলো আনলি কখন?
সিফাত বলল, আনছি তো সাথে করেই। তোরা আছিস রহস্যের খোঁজে। এগুলো কি আর খেয়াল করার সময় আছে। আমার নিজেরই তো হুশ ছিল না আসিফের কথাগুলো শুনে।
তোর তো একটুতেই হুশ থাকে না। তাজিন খোঁচা মারে।
নে নে বাদ দে ওসব, খেয়ে নেই আগে। পরে যা হবার হবে। আসিফ সবাইকে থামায়।
আসিফ কিছুই জানে না আসিফ টার্গেট। সে কিছু মিলানোর চে’া করে। তাকে কেন টার্গেট করা হবে? সে কি করেছে? এরাই বা কারা? তাও জানে না। তাহলে কিভাবে কি করবে উপায় খুঁজতে থাকে। তার মনে পড়ে ফ্রিকোয়েন্সির কথা। সেই ফ্রিকোয়েন্সি ধরেই সে আবার নতুন সংযোগ পেয়েছে। তাকে তারা টার্গেট করেছে সে কথা ওই আলাপে শুনেছে। তাহলে তাকেও তারা ধরতে চেয়েছিল? কিন্তু কেন? সবকিছুই এখন তার কাছে হিসাবনিকাশের ব্যাপার। (চলবে)