সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত “জুলাই জাগরণ” কালচারাল ফেস্টের দ্বিতীয় দিনের আয়োজন আজ ২ আগস্ট ২০২৫, শনিবার, রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্পন্ন হয়েছে। বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন শিশু শিল্পী ফাতিন ইশরাক মাহিরা এবং আবৃত্তি পরিবেশন করেন সিদরাতুল মুনতাহা মালাছি।

এদিন প্রদর্শিত হয় আজিজ হাকিম পরিচালিত চলচ্চিত্র “থ্রি নট থ্রি”, বাংলাদেশ সরকারের প্রযোজনায় আবরার ফাহাদকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র “অনির্বাণ”, এবং জুলাই আন্দোলনে পেশাজীবী মানুষের অবদান নিয়ে নির্মিত আরেকটি ডকুমেন্টারি। এছাড়া সংগীত পরিবেশন করেন সওগাত সাংস্কৃতিক সংসদসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন।

দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতেও কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সূচনা হয়। এরপর সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, সন্দীপন শিল্পীগোষ্ঠী এবং দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। প্রদর্শিত হয় এইচ আল হাদী নির্মিত চলচ্চিত্র “সেই একই বিকেল”। প্রবন্ধ পাঠ করেন আর. জে. টুটুল এবং মঞ্চনাটক পরিবেশন করেন বিকল্প সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট। এতে দেশের খ্যাতনামা শিল্পী ও অভিনেতারাও অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাইমুমের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি এবং আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলি আহসান জুনায়েদ। তাঁরা সবাই “জুলাই ঘোষণাপত্র” ও “জুলাই সনদ”-এর তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং সাইমুমের এই সময়োপযোগী আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রতীকী আয়নাঘর ঘুরে দেখে বক্তারা বলেন, যারা কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট পাচ্ছেন, তারা উপলব্ধি করুন—যারা বছরের পর বছর সেখানে ছিলেন, তারা কতটা যন্ত্রণার মধ্যে সময় কাটিয়েছেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আব্দুর রউফ এবং সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন “জুলাই জাগরণ”-এর পরিচালক এইচ এম আবু মুসা।

“জুলাই জাগরণ” ফেস্টিভ্যাল আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলবে।

আগামীকালের (৩ আগস্ট) অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, দীর্ঘদিন আয়নাঘরে বন্দী থাকা ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমান, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং শহীদ ওসমানের সম্মানিত পিতা।