আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শেখ হাসিনার ৬৯টা ফোনকলের অডিও এসেছে? কোথা থেকে এগুলো এল? প্রধানমন্ত্রীর ফোনকল কেমনে রেকর্ড হল? তাঁর ফোনেও কী আড়িপাতা হত? এসব প্রশ্নের জবাব হল, তিনি নিজের খোঁড়া গর্তে পড়েছেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক রাজীব আহসান এক ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি লিখেন, জিয়াউল আহসান নামের এক দানব তৈরি করেছিলেন শেখ হাসিনা। গু*ম খু*নে বিশেষজ্ঞ জিয়াউল এনটিএমসির প্রধান ছিলেন। দুনিয়ার সকল স্বৈরশাসকের মতো হাসিনাও তাঁর মন্ত্রী এবং আত্মীয়দের বিশ্বাস করতেন না। তাদের সবার ফোন নম্বর ট্রিগার (আড়িপাতা) করে রেখেছিল টেলিফোন যোগাযোগ নজরদারির সংস্থা এনটিএমসি। এখন শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের ফোনালাপই সামনে আসছে। ফোনকলগুলো শুনলে খেয়াল করলে দেখবেন, একটি কলও শেখ হাসিনার করা না। তাঁকে কল করা হয়। এবং সব কল রেকর্ড জেনুইন।

তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমনের চেষ্টাও শেখ হাসিনার জন্য কফিনে শেষ পেরেক হয়েছে। নেট বন্ধ থাকায়, সেই সময়ে আলাপ করতে হয়েছে মোবাইলের ভ‌য়েস ক‌লে। সব রেকর্ড হয়ে গেছে। ইন্টারনেট থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ বা অন‌্য কোন সি‌কিউর অ‌্যা‌পে ডাটা কল হত। জানাই যেত না, কার সঙ্গে কী কথা ব‌লে‌ছেন হাসিনা। কী নি‌র্দেশ দি‌য়ে‌ছেন। (আপ‌ডেট : শেখ হা‌সিনার জন‌্য গণভব‌নে ভিস‌্যাট ইন্টা‌নেট ছিল। কিন্তু তা‌ঁকে কল ব‌্যক্তি‌দের তা ছিল না। তাই ফো‌নে কল কর‌তে হ‌য়ে‌ছিল। আরেকটা জি‌নিস খেয়াল কর‌বেন, সব কল‌রেকর্ড ইন্টার‌নেট বন্ধ থাকার সম‌য়ের।) কিন্তু ইন্টানেট বন্ধ করার কারণেই এখন জানা যাচ্ছে, অভ্যুত্থানে মরণাস্ত্র ব্যবহার করে শুধু হ*ত্যাযজ্ঞ নয়, আ*গুন ধ্বংসের নির্দেশদাতাও তিনি ছিলেন।

তিনি জানান, শেখ হাসিনাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ২০১০ সালে সংশোধন করে অডিও, ভিডিওকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। যা সাধারণ আদালত নেই। এখন তাঁর অপরাধ প্রমাণ হচ্ছে অডিওতে। অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে, নিজে পড়বেনই। এখন যারা ক্ষমতায় এবং ভবিষ্যতে যারা আসবেন, তাদের জন্যই এই সত্য প্রযোজ্য।