কালান্তরের বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান আমাদের এখানে দাঁড় করিয়েছে। সবাই এখন পরিবর্তনের কথা বলছেন। কেউ কেউ বিপ্লবের কথাও বলছেন। তবে বিপ্লবের উপযুক্ত আমরা এখনো হইনি। অন্তর্বর্তী সরকার মাঝামাঝি পথ বেছে নিয়েছেন, সংস্কারের পথে চলছেন। সংস্কারের নানা কমিশন হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো বৈঠকে বসছেন, নানা প্রস্তাব দিচ্ছেন। আলোচনা-সমালোচনা চলছে। হচ্ছে তর্ক-বিতর্ক। এসবই সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ কেমন সংস্কার প্রস্তাব পেশ করলেন? দেশের শীর্ষ আলেম ও ইসলামী দলগুলোর নেতারা শুধু-এর নিন্দা করেননি, গণবিরোধী এ সংস্কার প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা পবিত্র কুরআনের বিধানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম ও মুসলিম অস্তিত্বের ওপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। রাজনীতি ও সংস্কৃতি সচেতন নারীরাও গণবিরোধী ওই সুপারিশমালার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। নুরুস সাবিহা, কোহিনূর বেগম ও হাফেজা রুশরা রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, নারী সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তার প্রস্তাবনা, ভাষা ও যুক্তি আমাদের হতাশ করেছে। পশ্চিমের ধর্মবিমুখ, পরিবার বিচ্ছিন্ন ও ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদের বিকৃত বিকাশের পটভূমিতে বিকশিত নারীবাদী চিন্তার পাটাতনে ও ভাষায় নারী বিষয়ক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে; যা এ দেশের নারীর হাজার বছরের বোধ-বিশ্বাস, চরিত্র, মেজাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। এ কমিশনের সদস্য নিয়োগের সময়ই প্রথম ও প্রধান ভুলটি হয়েছে। কমিশনের প্রধান করা হয়েছে নারীপক্ষের এক নেত্রীকে। নারীপক্ষ একটি মতাদর্শিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত, যার সঙ্গে বাংলাদেশের নারী সমাজের বৃহৎ অংশ একমত নয়। কমিশনের অন্যরাও একই মতাদর্শের। ফলে এ কমিশন দেশের নারীদের সাধারণ অংশের প্রতিনিধিত্ব করে না। প্রতিবেদনেও সে একদেশদর্শী চিন্তা ও ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিরোধিতা শুধু দেশের শীর্ষ আলেম ও ইসলামী দলগুলোই করেনি, করেছেন নারীরাও। নারীদের শাণিত ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবাদে উঠে এসেছে, কমিশনের প্রধান করা হয়েছে নারীপক্ষের বিশেষ মতাদর্শীক এক নেত্রীকে এবং এটা ছিল প্রধান ভুল। আমরা জানি, পুুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা একটি পুরানো বিষয়, এর প্রতিক্রিয়ায় গড়ে উঠেছে নারীবাদী আন্দোলন। প্রতিক্রিয়া কোনো ভালো বিষয় নয়। কারণ প্রতিক্রিয়ায় সমাধান থাকে না বরং থাকে বাড়বাড়ি। যথাবিষয়ে যথাপদক্ষেপের সামর্থ্য থাকে না প্রতিক্রিয়াশীলদের মধ্যে। বিজ্ঞজনরা পুরুষতন্ত্রকে যেমন সমর্থন করেননি, তেমনি সমর্থন করতে পারেননি নারীবাদীদেরও। ইসলাম ধর্মেও উভয় পক্ষের কোনো স্থান নেই। নারীও মানুষ, পুরুষও মানুষ। উভয়ে মিলেই তো মানব-সংসার, মানব-সমাজ। নারী-পুরুষ বিরোধে নয়; বরং নারী-পুরুষের সঙ্গম ও সম্মিলনেই মানবজাতির বিকাশ। আজ যারা নারীবাদী ও পুরুষবাদী হয়ে কথা বলছেন, নারী ও পুরুষের মিলনবাদী কর্মকা- ছাড়া কি তারা পৃথিবীতে আসতে পারতেন, কথা বলতে পারতেন? তাই আমাদের বিরোধ নয়, মিলনের কথা বলতে হবে। এর অর্থ আবার এটা নয় যে, নারীরা অধিকার বঞ্চিত হবেন কিংবা প্রাগ্রসর হতে পারবেন না। সামর্থ্য ও যোগ্যতার আলোকে পুরুষের মত নারীও ন্যায্য আসন অলঙ্কৃত করবেন। তবে একই সাথে আমাদের স্মরণ রাখতে হবে নারী ও পুরুষের বায়োলজিকেল বৈশিষ্ট্য ও বৈচিত্রের কথা; অথচ উভয়েই মানুষ। যিনি ¯্রষ্টা, তিনি বিষয়গুলো সব চাইতে ভালো জানেন। তিনি মানুষের জন্য যে জীবনবিধান দান করেছেন, তাতে বিষয়গুলো খুব স্পষ্টভাবে বিধৃত হয়েছে। অথচ অনেক বান্দাই তা বুঝতে অক্ষম। কারণ যারা জানে, আর যারা জানে না তারা কখনো এক হতে পারে না। দ্বন্দ্বটা এখানেই। যারা আসমানী কিতাব পড়েন না, তারা ¯্রষ্টার বিধান জানবেন কেমন করে? এমন জাহেলরাই পাশ্চাত্যের কিছুটা গ্রন্থপাঠ এবং কিছু সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করে নব্য পণ্ডিত হয়ে উঠেছেন। সাথে বাটার-ব্রেড ও ডলারের একটা প্রলোভন তো আছেই। এমন প্রেক্ষাপটে নব্য পণ্ডিতদের ইতিহাসের একটু পাঠক হতে বলবো।
ইতিহাসের তথ্য আমাদের জানায়, রাসূল মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের আগে নারীর অধিকারের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না। বর্তমান সভ্যতার শাসকদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে পিতা, সন্তান বা স্বামীর সম্পত্তিতে নারীকে কোনো অধিকার দেওয়া হয়নি। তবে পিতার যদি কোনো পুত্র সন্তান না থাকে, সে ক্ষেত্রে এ কন্যারা অধিকার পাবে, তবে শর্ত হলো কন্যা পিতার বংশের বাইরে কাউকে বিয়ে করতে পারবে না। কারণ, এতে এক বংশের সম্পত্তি অন্য বংশে চলে যাবে। শুধু তাই নয়, নারীর নিজের পক্ষ থেকে সম্পদ অর্জনেরও কোনো অধিকার ছিল না। একশ’ বছর আগেও ইহুদি ও খৃস্টান জগতের আইন ছিল, বিয়ের সাথে সাথেই স্ত্রীর সম্পত্তি স্বামীর মালিকানায় চলে যাবে এবং স্বামী প্রবর ইচ্ছেমতো তা ব্যবহার বা বিক্রয় করতে পারবেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে বিবাহিত নারীরা স্বতন্ত্রভাবে সম্পদ অর্জনের অধিকার পান। ১৮৪৮ খৃস্টাব্দে নিউইয়র্ক স্টেটে The Married Women’s Property Act পাস করা হয়। এতে সর্বপ্রথম স্বীকার করা হয় যে, নারীদেরও স্বতন্ত্র আইনগত সত্ত্বা বা পরিচয় আছে। (This was the first Law that clearly established the idea that a married woman had an independent legal identity.) বস্তুত ঊনবিংশ শতকের আগে পাশ্চাত্যে কর্মের ক্ষেত্রে, চাকরির ক্ষেত্রে, বিয়ে করার না করার ক্ষেত্রে, সম্পত্তি অর্জনের ক্ষেত্রে, উত্তাধিকারের ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও নেতৃত্বচ গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের বলতে গেলে কোনো অধিকারই ছিল না। আর কোনো কোনো ধর্মে তো স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর বেঁচে থাকার অধিকারই ছিল না। বরং স্বামীর সাথে চিতায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে আত্মাহুতি দেওয়াই ছিল বিধান। ইতিহাসের সত্য হলো, অনাকাক্সিক্ষত এসব বিষয়ে থেকে ইসলাম ছিল মুক্ত এবং সেটা ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে নয়, বরং এখন থেকে প্রয় সাড়ে চৌদ্দশ’ বছর আগে থেকেই। এখানে জ্ঞানের একটা গোলক ধাঁধাঁ আছে। পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতাপের ফলে পশ্চাৎপদ দেশগুলোর মানুষের মধ্যে এমন একটি ধারণা সৃষ্টি হয়েছে, যা কিছু মহৎ এবং উত্তম তা ঊনবিংশ শতাব্দী থেকেই শুরু হয়েছে। জ্ঞানের এমন গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন মুসলিম বিশ্বের তথাকথিত প্রগতিশীলরাও। যার একটা উদাহরণ আমরা লক্ষ্য করলাম নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে। আমরা জানি, ঊনবিংশ শতক থেকে নারী অধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে জোরালো আন্দোলন শুরু হয়েছে। অথচ আমরা অনেকেই জানি না যে, নারী অধিকারের ন্যায্য বিষয়গুলো নিয়ে সাড়ে চৌদ্দশ’ বছর আগেই ইসলামের নবী কথা বলেছেন এবং প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন। সে বিষয়ে তথ্যভিত্তিক কথা বলতে গেলে রীতিমতো একটি গ্রন্থ রচনা করতে হবে। উপসম্পাদকীয়তে সেই সুযোগ নেই, সংক্ষেপে কিছু মৌলিক কথা বলার চেষ্টা করবো শুধু।
বর্তমান সময়ে নারীবাদীরা নারীদের অধিকারের যে বিষয়গুলো, সংকটের যে বিষয়গুলো তুলে ধরছেনÑ তা খুব বড় বিষয় নয়; এসব সংকটের সমাধান ইসলামের নবী দিয়ে গেছেন। আমাদের এসব জানতে হবে। না জানার কারণে নারীবাদীরা নারীদের সংকটের যে সমাধান দিয়েছেন, তাতে রয়েছে প্রচুর ভ্রান্তি ও ভুল। এখানে সংক্ষেপে বলতে হয়- ইসলাম নারীকে ধর্মীয় অধিকার দিয়েছে, পারিবারিক ও সামাজিক অধিকার দিয়েছে, অর্থনৈতিক অধিকার দিয়েছে, উত্তরাধিকারের অধিকার দিয়েছে এবং দিয়েছে রাজনৈতিক অধিকার। পাশ্চাত্যের চশমায় দেখার কারণে এসব অধিকার নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি আছে। খোলা মনে বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে চাইলে বিভ্রান্ত মানুষ উপকৃত হবেন। ইসলাম নারী ও পুরুষকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করেনি। বরং উভয়ের প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক অবস্থা বিবেচনা করে সমন্বয়ের চেষ্টা করছে। তাই ইসলামে নারী ও পুরুষ প্রতিপক্ষ নয়, বরং সম্পূরক। এ সত্যটি উপলব্ধি করলে নারীবাদীরা উপকৃত হবেন। নারীবাদীরা দু’টি বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেন বেশি।
এর একটি হলো উত্তরাধিকার আইনে নারীর অধিকার, অপরটি রাজনৈতিক অধিকার। এ দু’টি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যায়, কিন্তু লেখার পরিসরের দিকে খেয়াল রেখে আজকে শুধু ভূমিকা দিয়ে যাবো। ইসলামের উত্তরাধিকার আইনে ছেলে মেয়ের দ্বিগুণ সম্পদ পায়। কিন্তু সমালোচকরা একথা বলেন না যে, ছেলে সংসারের বিবিধ দায়িত্ব পালনের কারণে দ্বিগুণ পান। আর মেয়ে অর্থনৈতিক কোনো দায়িত্ব না থাকার পরেও একগুণ পান। এ ছাড়া নারী শুধু পিতা নন, স্বামী-ছেলের সম্পদেরও উত্তরাধিকারী হবেন- অথচ তাঁর অর্থনৈতিক কোনো দায়িত্ব নেই। আজকে আর বিস্তার ঘটালাম না। ইসলামের উত্তরাধিকার আইনের বিস্তারিত সবার জন্য উন্মুক্ত, ইচ্ছে করলে নারীবাদীরাও তা পড়ে দেখতে পারেন। এখানে বলার মত বিষয় হলো, উত্তরাধিকার আইনের ক্ষেত্রে ইসলাম Equality নয় বরং প্রতিষ্ঠা করেছেন Equity. সহজ বাংলায় বলতে পারি সমতা নয়, প্রতিষ্ঠা করেছে ন্যায্যতা। এর ফলে উত্তরাধিকার আইনে সম্পদে নারীর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যা সমতার চাইতে বেশি।
ইসলামে নারীর রাজনৈতিক অধিকার নিয়েও নানা বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে মূল বিষয় দুটি। একটি হলোÑ রাষ্ট্র পরিচালনায় মতামত ও পরামর্শ প্রদানের সুযোগ। অপরটি হলো- রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন। এ প্রসঙ্গে সংক্ষেপে বলতে চাই, রাসুলুল্লাহ (সা.) ও খোলাফায়ে রাশেদীন বিভিন্ন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিষয়, খলীফা নির্বাচন বিষয়ে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের পরামর্শও গ্রহণ করেছেন। বর্তমান সময়ের সর্বজনীন ভোট ব্যবস্থা তখন ছিল না। তবে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিষয়ে তখন নারীদের পরামর্শ নেয়া হতো। তবে নারীর রাষ্ট্রপ্রধান ও বিচারকের দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে ইমাম ও ফকিহদের মতামতের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যারা ‘না’ বলেছেন, তাঁদের বিপরীতে অন্য ইমাম ও ফকিহ বলছেন- কেবলমাত্র নারীকে স্বৈরতান্ত্রিক ও একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রদান আপত্তিকর, কিন্তু পরামর্শভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নারীর রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া আপত্তিকর নয়। এছাড়া মন্ত্রী, বিচারক ও অন্যান্য সকল দায়িত্ব তাঁরা গ্রহণ করতে পারেন। এই মতের ফকিহরা বলেন, কুরআনে নারী শাসকের প্রশংসা করা হয়েছে। নবী সুলাইমান (আ.)-এর সাথে ইয়ামানের সাবা অঞ্চলের রাণী বিলকিসের প্রজ্ঞা ও শাসনের প্রশংসা করা হয়েছে এবং প্রসঙ্গত উল্লেখ করা হয়েছে, রাণী বিলকিস পরিষদের পরামর্শ ছাড়া কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন না। উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (র.)সহ বহু প্রাজ্ঞ আলেমের মতামত হলো, আইনগত ও ব্যবহারিকভাবে মন্ত্রিপরিষদ বা পার্লামেন্টের পরামর্শ গ্রহণের ব্যবস্থা থাকলে নারীর জন্য রাষ্ট্রপ্রধানের পদ গ্রহণ ইসলামে অবৈধ বা নিষিদ্ধ নয় (ইমদাদুল ফাতাওয়া, আশরাফ আলী থানবী (র.)। সকল জাগতিক বিষয়ে পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে কর্মনির্বাহ করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, পবিত্র কুরআনের এ নির্দেশকে এখানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টিতে গবেষণার পার্থক্যও লক্ষ্য করা যায়। শেষে এসে দুঃখের সাথে বলতে হয়, ইসলামের মত মহৎ ও উদার ধর্মে বিশ্বাসী হওয়ার পরও মুসলিম নারীদের প্রণীত নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব এতটা ইসলামবিরোধী হলো কেমন করে? এসবই কি অজ্ঞতার কারণে?
কেমন করে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিলের প্রস্তাব করা হয়? যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয় কোন রুচিতে? বিস্ময়ে হতবাক হওয়ার মত বিষয় নিয়ে আমাদের এখন কথা বলতে হচ্ছে জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে। আসলেই কালান্তরের এক বেলাভূমিতে আমরা এখন দাঁড়িয়ে আছি