মনসুর আহমদ

মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন কিছু মহান ব্যক্তি আছেন, যাঁদের জীবন ও কর্ম পুরো মানবজাতির জন্য পথনির্দেশক হয়ে উঠেছে। তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি শুধু একজন ধর্মপ্রচারক বা সমাজসংস্কারকই ছিলেন না, বরং জ্ঞানের, যুক্তির, এবং বিজ্ঞানের এক অনন্য আলোকবর্তিকা ছিলেন। ১৪০০ বছর আগে এমন এক সমাজে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন, যেখানে অজ্ঞতা, কুসংস্কার, মুর্তি পূজা , গোত্রবাদ, ও নারী নির্যাতন ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার। সে অন্ধকার সমাজে তিনি এনেছিলেন সত্য, জ্ঞান ও বিজ্ঞানের আলো। তাঁর আগমন ঘটেছিল রহমাতুল্লিল আলামীন রূপে।

রসুল (সা.) এক পরম ব্যক্তিত্ব ও অতুলনীয় মানবসত্তা। বিশ্বমানবতাকে আল্লাহর দীনের উপর প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল তাঁর মূল কাজ। এ গুরু দায়িত্ব সম্পাদনা করতে গিয়ে তাঁকে বিভিন্ন প্রতিকুল পরিবেশ ও কালের মধ্য দিয়ে চলতে হয়েছে। সে কারণে একই সময়ের বিভিন্ন মানুষ, বিভিন্ন কালের বিভিন্ন মানুষ চিরচেনা রসুলের মাঝে অনুপম সৌন্দর্য ও বিভিন্ন গুণের সমাহার লক্ষ করেছেন। তিনি ছিলেন আল্লাহর ভাষায় ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’। সে কারণে তাঁর মাঝে মানবীয় গুণ ও বৈশিষ্ট্যের বিভিন্নতা অনুসন্ধান ঈমানের দাবি।

বিংশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তে আজ বিজ্ঞান উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছে বলে ধারণা করা হয়। বিজ্ঞানের আলোকে রসুল (সা.) কে দেখার গভীর ইচ্ছা জেগেছে আশেকে রসলুদের হৃদয়ে। আজ মানুষ ভাবতে বসেছে, ‘বিশ্বের রহমত’ কী অবদান রেখে গেলেন বিজ্ঞানের জয় যাত্রায়। যে সমস্ত উদার চিত্তের অক্লান্ত পরিশ্রমী মানবগোষ্ঠী কুরআন-সুন্নাহকে নিয়ে ভেবেছেন প্রচুর, রসুলের জীবন নিয়ে গবেষণা করেছেন অপরিসীম, তারা দেখতে পেয়েছেন মানবজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন রসুলের অবদান অপরিসীম, তেমনি বিজ্ঞানের শাখায় তাঁর দান তুলনাহীন। তাইতো মিঃ ব্রিফেন্ড তাঁর “দ্যা ম্যাকিং অব হিউমিনিটি” গ্রন্থে লিখেছেন, “আজকের দুনিয়ায় আরব সভ্যতার সব চেয়ে বড় অবদান হল বিজ্ঞান। স্পেনে আরব সভ্যতার ফলে যে বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল ঐ সভ্যতা বিস্তৃত হওয়ার বহু শতাব্দী পরে সে প্রস্ফুটিত হয়েছিল। কেবল বিজ্ঞান ইউরোপকে পুনর্জীবিত করেনি। ইসলামী সভ্যতার অনেক কিছুই ইউরোপকে আলো দান করেছিল। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা ইউরোপ পেয়েছিল মুসলিমদের কাছ থেকে। ”

ইসলামে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের গুরুত্ব : ইসলামের প্রথম ওহি ছিল “ ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক” অর্থাৎ “পড়ো তোমার সে প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আল-আলাক, আয়াত ১) এ প্রথম নির্দেশেই আমরা দেখতে পাই যে, ইসলাম জ্ঞানের উপর কতটা গুরুত্ব দিয়েছে। শুরুতেই ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে সৃষ্টি তত্ত্বের গবেষণার উপরে। মহানবী (সা.) তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে জ্ঞান অন্বেষণকে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ।”(ইবনে মাজাহ) তিনি আরও বলেন: যদি আমার উপর এমন একদিন চলে যায় এবং আমি এমন জ্ঞান অর্জন না করি যা আমাকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে, তাহলে সেই দিনের সূর্যোদয় আমাকে আশীর্বাদ করবে না। বিজ্ঞানীর এক ঘন্টা সময়, চিন্তাভাবনা এবং তার বিজ্ঞানের সন্ধান করা সত্তর বছরের ইবাদতের চেয়ে উত্তম । প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বিজ্ঞান শেখা ফরজ।

এ হাদিসটি প্রমাণ করে যে ইসলাম কেবল ধর্মীয় জ্ঞান নয়, পার্থিব ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকেও সমানভাবে মূল্যায়ন করে। নবী করিম (সা.) মানুষের মননশীলতাকে জাগ্রত করেছিলেন -যেন তারা আল্লাহর সৃষ্টির রহস্য নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে। এরশাদ হয়েছে-“প্রকৃতপক্ষে, আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং রাত ও দিনের পরিবর্তন বোধগম্যদের জন্য নিদর্শন।” (সূরা আলে ইমরান:১৯০)

কুরআনে বৈজ্ঞানিক ইঙ্গিতসমূহ : পবিত্র কুরআন শুধু আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা নয়, বরং এতে অসংখ্য বৈজ্ঞানিক সত্যের ইঙ্গিত রয়েছে, যা আধুনিক যুগে এসে বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে। মহানবী (সা.) নিজে আধুনিক বিজ্ঞানের সূত্র আনুযায়ী বিজ্ঞানী না হলেও, তাঁর প্রচারিত বার্তা ও শিক্ষা ছিল বিজ্ঞানের ভিত্তির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত।

১ . মহাবিশ্বের সৃষ্টি : আল্লাহ বলেন: আর আমরাই [আমাদের সৃজনশীল] শক্তি দিয়ে মহাবিশ্ব তৈরি করেছি; এবং, নিঃসন্দেহে, আমরাই এটিকে ক্রমশ প্রসারিত করছি। (৫১:৪৭) “তারা কি দেখে না যে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী একত্রে ছিল, পরে আমি তাদের পৃথক করে দিলাম।”(সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৩০)

এ আয়াত দু’টি স্পষ্টভাবে “বিগ ব্যাং” তত্ত্বের সাথে মিলে যায়, যা আধুনিক বিজ্ঞানীরা বহু পরে আবিষ্কার করেন।

২. ভ্রূণতত্ত্ব : কুরআনে বলা হয়েছে: “আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মাটির নির্যাস থেকে, এরপর তাকে রাখলাম নিরাপদ স্থানে এক ফোঁটা তরল আকারে, পরে সেই ফোঁটাকে জমাট রক্তের মতো কিছু বানালাম, তারপর তা থেকে সৃষ্টি করলাম মাংসপিণ্ড।” (সূরা মুমিনূন, আয়াত ১২-১৪)

এ বিবরণটি আধুনিক এমব্রিওলজির (ভ্রূণবিজ্ঞান) সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। ড. কিথ মুর, একজন খ্যাতনামা কানাডীয় বিজ্ঞানী, বলেছেন যে কুরআনের ভ্রূণবর্ণনা আধুনিক বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের সাথে আশ্চর্যজনকভাবে মিলে যায়।

৩. পৃথিবীর আকৃতি : কুরআনে বলা হয়েছে: “তিনি পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতির মতো করেছেন।”(সূরা নজিআত, আয়াত ৩০) এ “ডিম্বাকৃতি” (আবৃত গোলক) ব্যাখ্যা আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের আবিষ্কারের আগেই কুরআনে উল্লেখিত ছিল।

নবী করিম (সা.) ও ব্যবহারিক বিজ্ঞান : মহানবী মুহাম্মদ (সা.) শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রচার করেননি, বরং ব্যবহারিক জীবনে বিজ্ঞানের নীতিগুলো প্রয়োগ করেছিলেন।

চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান : দ্বাদশ এবং ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইসলামী চিকিৎসায় ব্যবচ্ছেদের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ইসলামী ধর্মতত্ত্ববিদ আল-গাজ্জালীর লেখার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, যিনি শারীরস্থান অধ্যয়ন এবং আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের পদ্ধতি হিসেবে ব্যবচ্ছেদের ব্যবহারকে উৎসাহিত করেছিলেন। আল-বুখারী এবং মুসলিমের সহীহ হাদিসের সংগ্রহে বলা হয়েছে: “আল্লাহ এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি, সব রোগর চিকিৎসাও তিনি তৈরি করেছেন।” (বুখারী ৭-৭১:৫৮২)।

এ বক্তব্য চিকিৎসা গবেষণার প্রতি উৎসাহ দেয়। নবী (সা.) স্বাস্থ্যবিধি, পরিমিত খাদ্যগ্রহণ, দন্তচর্চা (মিসওয়াক), পরিশুদ্ধতা, ও মানসিক ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক।” এটি জনস্বাস্থ্যবিজ্ঞানের মূল ভিত্তি।

পরিবেশ বিজ্ঞান : জীবজগৎকে বাঁচাবার জন্য আজ প্রয়োজন অরণ্যের অভিসার । যে তারণ্যের জন্য মানুষ চিৎকার করছে সে বনানী সৃষ্টির জন্য বহু শত বছর আগে রসুল (সা.) মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। এত বছর পরে জগতের প্রয়োজনে গাছের ভূমিকাকে মানুষ গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। কিন্ত রসুল প্রকৃতি জগতে পরিবেশ সংকট সৃষ্টির আগেই মানুষকে গাছ লাগান ও গাছের প্রতি যত্নশীল হতে আহ্বান জানিয়েছেন। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণিত একটি হাদিসে রসুল (সা.) ফরমান, ‘যদি নিশ্চিত ভাবে জান যে রোজ কিয়ামত এসে গেছে তথাপি তোমার হাতে যদি একটি গাছের চারা থাকে তবে সেই চারা লাগাবে।’

নবী (সা.) গাছ লাগাতে উৎসাহ দিয়েছেন। বলেছেন-“যে ব্যক্তি একটি গাছ লাগায়, তা থেকে পাখি বা মানুষ উপকৃত হলে, তা তার সদকা গণ্য হবে।” এটি পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম শিক্ষা।

জ্যোতির্বিজ্ঞান : মহাবিশ্বের বহুত রহস্যরাজী আজ বিজ্ঞানের আশীর্বাদে মানুষের কাছে ধরা দিচ্ছে। বহুকাল ধরে আকাশের গ্রহ, নক্ষত্র নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তি চিন্তা বিরাজ করছিল। এ গুলোকে প্রবল ক্ষমতার অধিকারী ভেবে মানুষ এদের পূজা করতো, এমনকি সভ্যতার এ যুগেও অনেকে পূজা করে থাকে। কিন্তু রসুল (সা.) এসব গ্রহ নক্ষত্রের সাধারণ পরিচয় নবুয়তী দৃষ্টিভঙ্গীতে তুলে ধরেছেন, জ্যোতির্বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে নয়। কিন্তু নবুয়তী দৃষ্টিতে এসবের পরিচয়ের মাঝেও বিরাট বৈজ্ঞানিক তথ্য মানুষকে উপহার দিয়েছেন রসুসাল্লাল্লাহু (সা.)। এক বার কিছু লোক রসুল (সা.) কে চাঁদের বাড়া কমা নিয়ে প্রশ্ন করল। তার জবাবে আল্লাহ পাক চাঁদ বাড়া কমার তথ্য না দিয়ে বরং এগুলির কল্যাণকারিতার কথা বলে দিলেন, ‘তোমাকে চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে ? বলে দাও , ওটা মানুষের জন্য সময় নির্দেশ ও হজ্জের নির্ধারক।’

নবী (সা.) বলেছেন, “চাঁদ, সূর্য তারা সবই আল্লাহর নিদর্শন, এগুলোর পূজা করো না, বরং যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করো।” এ বক্তব্য মানুষকে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার শক্তি উপলব্ধি করতে আহ্বান জানায়, যা পরবর্তীতে ইসলামী জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিকাশে সহায়তা করে।

নবীজির যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা : নবী (সা.)-এর অনুপ্রেরণায় তাঁর সাহাবারা এবং পরবর্তী মুসলিম পণ্ডিতরা বিজ্ঞান ও জ্ঞানের নানা শাখায় অসামান্য অবদান রাখেন।

যেমন-ইবনে সিনা (Avicenna)--চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক,আল-বিরুনি-পদার্থবিজ্ঞান ও ভূগোলবিদ, আল-খাওয়ারিজমি-বীজগণিতের প্রতিষ্ঠাতা এবং ইবনে হাইসাম-আলোকবিজ্ঞানের পথিকৃৎ তাঁরা সকলেই নবী করিম (সা.)-এর শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে “জ্ঞান অন্বেষণই ইবাদত” বলে বিশ্বাস করতেন।

বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় : মহানবী (সা.) মানুষকে শিখিয়েছেন যে সত্যিকারের বিজ্ঞান তাই, যা মানবকল্যাণে আসে এবং আল্লাহর সৃষ্টিকে বুঝতে সাহায্য করে। তিনি বলেন-“যে ব্যক্তি নিজের ও আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে চিন্তা করে না, সে প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী নয়।” অর্থাৎ বিজ্ঞান কখনো ধর্মের বিপরীতে নয়; বরং ধর্মই বিজ্ঞানকে আলোর পথে পরিচালিত করে। আধুনিক যুগে যখন বিজ্ঞান ও ধর্মকে আলাদা করে দেখা হয়, ইসলাম তখনো এ দু’য়ের এক সুন্দর সমন্বয় উপহার দিয়েছে।

আধুনিক যুগে নবীর বিজ্ঞানের প্রাসঙ্গিকতা : আজকের পৃথিবীতে প্রযুক্তির উন্নতির পরও মানুষ মানসিক শান্তি হারাচ্ছে। পরিবেশ ধ্বংস, নৈতিক অবক্ষয় ও সামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় নবী করিম (সা.)-এর শিক্ষা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়-“জ্ঞান তখনই কল্যাণকর, যখন তা মানবতার সেবায় ব্যবহৃত হয়।” তিনি আমাদের দেখিয়েছেন, বিজ্ঞান কেবল বস্তুগত উন্নতির জন্য নয়, বরং মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও আত্মিক বিকাশের জন্যও প্রয়োজনীয়।

উপসংহার : মহানবী মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন একাধারে ধর্মের নবী, সমাজ সংস্কারক, রাষ্ট্রনায়ক, এবং বিজ্ঞানের অনুপ্রেরণাদাতা। তাঁর শিক্ষা ও জীবনাচরণ প্রমাণ করে যে বিজ্ঞান ও ইসলাম একে অপরের বিরোধী নয়, বরং পরিপূরক। তিনি মানুষকে শিখিয়েছেন চিন্তা করতে, পর্যবেক্ষণ করতে, প্রশ্ন করতে এবং জ্ঞানের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তাকে উপলব্ধি করতে।

১৪০০ বছর আগে যে মানুষ অন্ধকার যুগে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়েছিলেন, তাঁরই পথ অনুসরণ করেই আজ মানবসভ্যতা বিজ্ঞানের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছেছে। তাই যথার্থই বলা যায়-মহানবী মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার শিক্ষক, নৈতিকতার দিশারী, এবং বিজ্ঞানের প্রকৃত মহান পুরুষ।

লেখক : প্রাবন্ধিক।