মুহাম্মদ ওয়াছিয়ার রহমান
৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টাবর একে একে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাকসু, গণ বিশ্ববিদ্যালয় গকসু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চাকসু ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাকসু নির্বাচন অনেক নাটকীয়তা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে শেষ হলো। ইসলামী ছাত্রশিবির মনোনীত ডাকসুতে ২৮টির মধ্যে ২৩টি ও জাকসুতে ২৫টির মধ্যে ২০টিতে শিবির জয়ী হয়েছে। দীর্ঘদিন শিবির ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছিল। ৫ আগস্ট ২০২৪ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনীতির আবহাওয়া পরিবর্তন হলে শিবির ঐ দু’ক্যাম্পসে বৈধতা পেয়েছে। এ সুযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ, ফেনীর বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা, ইফতার মাহফিল, সুপেয় পানি সরবরাহ, চিকিৎসা সহায়তা, ভর্তি সহায়তা, অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো ও ফল চক্রসহ নানাবিধ সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করে ভোটারদের মন জয় করেছে। অন্যদিকে অন্যন্য ছাত্রসংগঠন এ ধরণের কল্যাণ কাজ সফল ভাবে করতে না পারায় ভোটে তারা জয় বাংলা হয়েছে। নির্বাচনের আগে অধিকাংশ সংগঠন শিবিরের বিরুদ্ধে নানাবিধ কুৎসা রটনা করেছে। একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসাবে নির্বাচনকে কাছ থেকে দেখা ও পারিপার্শ্বিক যেসব তথ্য-উপাত্ত দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তা তুলে ধরা হলো :
শিবিরের আবেগের স্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : শিবিরের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক সাধনার ক্যাম্পাস। ১৯৬৯ সালের ১২ আগস্ট পাকিস্তান ছাত্র ইসলামী আন্দোলন ‘ইসলামী ছাত্র সংঘের’ নেতা ও মেধাবী ছাত্র আব্দুল মালেক ছাত্রলীগ-ছাত্র ইউনিয়নসহ বামপন্থীদের হামলায় আহত হয়ে ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণ করেন। তার শাহাদাতে সারাবিশ্বে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আওলাদে রসুল সাইয়েদ মাহমুদ মুস্তাফা আল মাদানী (র:) তার নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শিবির প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ সমস্ত কারণে শিবিরের কাছে ডাকসু অত্যন্ত গুরুত্বের দাবি রাখে। এ নির্বাচন নিয়ে মানুষের ভাবনার অন্ত ছিল না।
ঢাবিতে বিভিন্ন প্যানেল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত বৈষম্য বিরোধী সংসদ, উমামা ফাতেমার সতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য, বাংলাদেশ গণমান্ত্রিক ছাত্র পরিষদ, বামপন্থীদের প্রতিরোধ পর্ষদ, ডাকসু ফর চেঞ্জ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, টুকরো কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠনের অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪, সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, প্রতিরোধ পরিষদ ও সতন্ত্রসহ অনেক গুলো প্যানেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
নারীদের মনোভাব : বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন এই মর্মে বয়ান করে থাকে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা অত্যন্ত প্রগতিশীল। তারা কোন মৌলবাদ সমর্থন করে না। পর্দা ও বেশি হুজুরগিরি তারা মানতে চায় না। দিন শেষে দেখা গেল শিবির মেয়েদের ভোট বেশি পেয়েছে। ঢাবিতে ভিপি পদে মহিলা প্রার্থী উমামা ফাতেমা রোকেয়া হলে শিবির থেকে অনেক কম ভোট পেয়েছে। আরো লক্ষণীয় যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্র সংস্থার সভানেত্রী সাবিকুন নাহার তামান্না ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রীও সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে।
ছাত্রলীগের ভোট : নির্বাচনের আগে কম কিন্তু পরে জোরে-সোরে শোনা গেছে ছাত্রলীগ শিবিরকে ভোট দিয়েছে। কারণ ছাত্রলীগ শিবিরকে ভোট দেয়া মানে হলো শিবির পঁচেছে এ বয়ান প্রচার করা। দিন শেষে দেখা গেল জগন্নাথ হলে শিবির পেয়েছে মাত্র ১০ ভোট। বেশির ভাগ ভোট পেয়েছে ছাত্রদল। তাহলে এটা বলার সুযোগ আছে কি জগন্নাথ হলের ছাত্রলীগ হয়তো ছাত্রদলকে ভোট দিয়েছে কিন্তু ক্যাম্পাস ও অন্যান্য হলে ছাত্রলীগ শিবিরকে ভোট দিয়েছে। এজন্য শিবির অচ্ছুত হয়েছে!
সামাজিক মাধ্যমে ঝড় : বর্তমান জামানায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অত্যন্ত সক্রিয়। চুন থেকে পান খসলে তারা ফাটায়ে ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে মানুষ অনেক রাজনৈতিক সচেতন হয়েছে। কোন গুজবে তারা কান দেয় না। যা চোখের সামনে ঘটছে, তারা তাই দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। শিবিরকে তারা হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছে। কাছ থেকে দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ধানাই-পানাইয়ের দিন শেষ, সোজা পথে বাংলাদেশ।
মননশীল আদর্শের প্রতি আকর্ষণ : যে মহান আদর্শের দাওয়াত দিতে যুগে যুগে নবী-রসুলরা পৃথিবীর দিগ দিগন্ত ছুটেছে। যে পথে সাহাবী, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন, মর্দে মুমিন, মুজাহিদ ও মুসলমান ছুটেছে শিবির সে পথেরই কান্ডারী। জীবনের সব বাঁধা পেরিয়ে তারা সে সত্যের পথে ছুটে চলেছে অবিরত। জীবনকে তারা তুচ্ছ করে এগিয়ে চলছে এক মহাসত্যের পানে। তাদের চলার পথের স্বাক্ষী হলো সচেতন ছাত্র-ছাত্রীরা। কোন গুজোবে কান না দিয়ে শিবির মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছে। দুনিয়ার কোন লোভ-লালসা তাদের লাগালে পায়নি। সব কিছু মাড়িয়ে তারা অবিচল থাকছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের হৃদয়ের ডানা মেলে পরম অনুভবে শিবিরকে আলিঙ্গন করেছে।
ভিসিগণের অনড় অবস্থান : ডাকসুসহ সব নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বেশ উদ্বেগে পোহাতে হয়েছে দেশবাসীকে। জাতীয় রাজনীতিবিদদের নামে অনেক কথা উঠেছে ফলাফল নিয়ে। মাননীয় ভিসিগণ ও সরকারের অনড় অবস্থানের কারণে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। সত্য তার নিজস্ব গতিতে বিরামহীন ভাবে চলেছে। এতে আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়, অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা ক্ষমতায় না থাকলে যে কোন নির্বাচন নিরপেক্ষ ভাবে পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন।
ভোটের নিরব বিপ্লব : ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্বাচনে শত অপপ্রচার ও ৭১-এর চেতনা বাণিজ্য মাড়িয়ে নতুন প্রজন্ম ইসলামী আদর্শের পতাকাবাহী ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরকে ভোটের মাধ্যমে নিরব বিপ্লব ঘটিয়েছে। নতুন প্রজন্মের এ ভাবনা সত্যিই পুলকিত করেছে জাতিকে। যান প্রভাব আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
নির্বাচন পরিচালনা ও ভোট গণনা : দীর্ঘদিন পর ডাকসুসহ অন্যান্য নির্বাচন হলো। নির্বাচন নিয়ে ছাত্র, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষকদের মাঝে নানা ষড়যন্ত্র ও গুণজন পরিলক্ষিত হয়েছে। জাকসুতে কিছু দলকানা শিক্ষক নির্বাচনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে চেয়েছে। দিন শেষে তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। ভোট গ্রহণ যেমন-তেমন গণনা কালে নানা কাহিনী ডালপালা মিলেছে। বিশেষ করে জাবির হল গুলোতে অনেক পদে কোন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি। এতে প্রতীয়মান হয় যে ঐ পদগুলো খুব জরুরী ছিল না। ঐ পদগুলোতে নির্বাচন পরিচালনা করতে গরীব দেশের অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে কিন্তু কোন প্রার্থী ছিল না এবং গণনা কালে যথেষ্ট সময় ব্যয় হয়েছে। এক পর্যায়ে চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের প্রাণ গেল। শত জাকসু নির্বচনের চেয়ে একজন শিক্ষকের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। জাকসু নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও গণনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ অত্যাধিক মানসিক চাপ অনুভব করতে হয়েছে। বিশেষ করে হৃদরোগীদের শারীরিক বিড়ম্বনা ভোগ করতে হয়েছে। এ ধরণের নির্বাচন চললে ভবিষ্যতে আরো ছাত্র অথবা শিক্ষক-কর্মচারী অথবা জনগণের জীবনে নেমে আসতে পারে ঐ নারী শিক্ষকের ন্যয় ঘটনা। বিশেষ করে জাবির হল গুলোতে কম সংখ্যক ভোটার নিয়ে নির্বাচনী এলাকা গণ্য করায় গণনা করতে সময় লেগেছে। এ ক্ষেত্রে যদি কমপক্ষে এক হাজার ভোটার না হলে নির্বাচনী এলাকা গণ্য না করা হয় তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া আরো সহজ হতে পারে। দু-চার’শ ভোটারের জন্য বিভিন্ন হলে নির্বাচনী এলাকা করায় বিড়ম্বনা বেশি হয়েছে। ডাকসুসহ সব নির্বাচনে সিট নিয়ে কথা : কার্যকরী সদস্য সংখ্যা কমিয়ে প্রতি পাঁচ হাজার ভোটারের জন্য একজন ও ভগ্নাংশের জন্য অতিরিক্ত একজন সদস্য রাখা যেতে পারে। তাহলে সীট সংখ্যা কমে যাবে সমস্যাও কমে যাবে। অন্য দিকে জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন হলের রিটার্নিং অফিসারসহ কর্মকর্তাদের ফলাফল ঘোষণা বা উপস্থাপনার মান সকলকে আহত করেছে। একটি সরকারি নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এতো নীচু মানের ঘোষণা ও উপস্থপনা মোটেও কাম্য ছিল না।
ডাকসু-জাকসুসহ সব নির্বাচনের জন্য রোজা, সেজদা ও দোয়া : ডাকসু-জাকসুসহ সব নির্বাচনের জন্য দেশের ও দেশের বাইরের শিবিরকে ভাল বাসে এমন ইসলাম ও দেশ দরদী মানুষ এ নির্বাচনের জন্য রোজা রেখেছে এবং প্রাণ ভরে দেয়া করেছে। বিশেষ করে ৩৬ জুলাই বিপ্লব ২০২৪-এর শহীদ, গাজী ও গাজী পরিবার এই নির্বাচনের জন্য চোখের পানি ফেলে মহান রবের কাছে প্রাণ ভরে দোয়া করেছে। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর শাহবাগ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ মসজিদে মসজিদে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অবনত মস্তকে সেজদা ও দোয়া সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এখানে বিশেষ ভাবে স্মরণীয় উনবিংশ শতকে ভারত বর্ষে মুসলমানদের তেমন কোন শক্তিশালী রাজনৈতিক প্লাট ফরম ছিল না। তাই যেদিন মোডামাডান-মোহনবাগান ফতবল খেলা হতো ভারত বর্ষের মুসলমানরা তখন রোজা রাখতো এবং প্রাণ ভরে দোয়া করতো।
নতুন শিক্ষার্থীদের শিবিরের প্রতি আকর্ষণ : জেন জি তো বটেই এবং যারা একবিংশ শতাব্দিতে জন্ম নিয়েছে, এ নতুন প্রজন্ম গত সাড়ে পনের বছর ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভাবনায় একটা অনুভব লক্ষ্য করা গেছে, তারা জীবনের প্রথম ভোট কোন টাউট-বাটপাড় দিয়ে ভোটের জীবন শুরু করতে চান না এবং শিবিরকে ভোট দিয়ে তারা পুলকিত হয়েছে। আগামীতে ধানাই-পানাই ও অপপ্রচার করে পার পাওয়া যাবে না এটা প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটারা।
রাজনীতির কতচাল : রাজনীতিতে একটা জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন পদে দলীয় সমর্থকদের বসানোর নীচু মানসিকতা। প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল ছলে-বলে কলে কৌশলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে তাদের দলীয় লোক বসাতে হেন চেষ্টা নেই যা তারা করে না। কোন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারে তাদের লোক বলে মনে না হলে তাকে নানা ভাবে হয়রাণী করে থাকে। তাতে ভবিষ্যতে কোন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ কোন পদে বসতে নিরুৎসাহিত হবে। জাবির নির্বাচনে কিছু শিক্ষকের নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো সকলকে বিস্মিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিঃসন্দেহে অনেক মর্যাদার কিন্তু দলকানাদের নিশ্চয় কেউ পছন্দ করে না।
ফল নিয়ে দেশ বিদেশ : ডাকসু-জাকসুতে শিবির জয়ী হওয়ার পর দেশে-বিদেশে নানা বয়ান হাজির হয়েছে। কিন্তু ভারতের রাজনীতিবিদ ও সাবেক কতনীতিক কংগ্রেস নেতা শশী থারূর ফলাফলকে ‘ভারতের জন্য উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। সাবেক ভারতীয় কতনীতিক হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার মন্তব্য ‘জামায়াত ইসলামী একটি চিতা বাঘ’। মন্তব্যটি শুনে রাজনীতিবিদরা হর্ষ করেছে। চিতা বাঘ নামক জামায়াত কোথায় থাবা দিয়েছে? শিখ নেতা নির্ঝরকে তো জামায়াত হত্যা করেনি, আমেরিকায় জামায়াত তো কাউকে হত্যা করতে যায়নি। এই দু’টি বিষয় ভারত রাষ্ট্রীয় ভাবে অভিযুক্ত, তার কোন সদ-উত্তর বিশ্ব এখনও পায়নি। ডাকসু নিয়ে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর শুভেচ্ছা তাদের একটি আবেগের বিষয়, তবে সেখানে ভারত নিয়ে কোন মন্তব্য প্রয়োজন ছিল না। রাজনৈতিক ও কতনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে এটা পড়ে না।
লেখক : প্রাবন্ধিক।