কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরাইলের হামলার পর সোমবার দেশটির রাজধানী দোহায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা এক জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে বসেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে দোহায় হামাস নেতাদের বৈঠক চলাকালে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরাইল। হামাস জানিয়েছে, হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য ও কাতারের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির শীর্ষ কোনো নেতা নিহত হননি। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার জরুরি সম্মেলনটির আহ্বান করেছিল কাতার। যা জানা যাচ্ছে, কাতারে বর্বর ওই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে অবস্থানরত হামাস নেতারা। দোহায় হামাস নেতাদের অবস্থান লক্ষ্য করে অন্তত ১২টি বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। হামলায় হামাস নেতারা নিরাপদ থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের শেলটার দেওয়া হোটেল। সেখানেই গাজায় যুদ্ধ বন্ধের শর্ত নিয়ে আলোচনা করছিলেন হামাস নেতারা। হামলার লক্ষ্য ছিল হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল হাইয়া, জাহের জাবারিনসহ আরও কয়েকজন।

কাতারে এ হামলা ছিল নজিরবিহীন। কাতারে দীর্ঘ দিন ধরে হামাস ইসরাইল শান্তি আলোচনা চলছিল। সেখানে কাতার হচ্ছে মধ্যস্থতাকারী একটি দেশ। ইসরাইল সেখানে হামলা চালিয়ে চরম ঔদ্ধতের পরিচয় দিয়েছে। হামাস প্রতিনিধি দলের উপর ইসরাইল যে হামলা করেছে, সেটি অপরাধমূলক ও বিপজ্জনক কাজ। এটা যুদ্ধের কোন রীতি তো নয়ই শান্তি আলোচনাকালে অশান্তির পরিস্থিতি সৃষ্টি করাও কোন শুভ বুদ্ধির কাজ নয়। ইসরাইল জন্ম থেকেই এসব ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করে যাচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের নীতিমালারও পরিপন্থী।

এ ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার নেতারা তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন, কাতারের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কাতারে সোমবার আরব ও মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা এক জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে বসেন। আরব লীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এই যৌথ বৈঠকে প্রায় ৬০টি দেশ অংশ নেয়। বলতে গেলে দীর্ঘ দিন পর এ ধরনের একটি বড় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন এ বৈঠকের অর্জন কতটা হবে বা হতে পারে তা নিয়ে তারা অনেকটা ধোয়াশার মধ্যে আছেন। কারণ শুধু বৈঠক করে আর নিন্দা জানিয়ে এ রকম একটা বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়ানো যাবে না।

সম্মেলন শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনী জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান পদক্ষেপ রোধে সব ধরনের আইনি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে (বৈঠকে অংশগ্রহণকারী) সব দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।’ এসব কার্যক্রম হতে পারে, ‘ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা এবং দেশটির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা।’ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার আহ্বান একটি ভাল উদ্যোগ আরব ও মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা যদি এটা স্থির করে থাকেন এবং এতে অটল থাকেন তাহলে কিছুটা ফলদায়ক হতে পারে।

জ্বালানি তেল ও গ্যাসসমৃদ্ধ ধনী দেশ কাতার সাধারণত শান্তিপ্রিয় হিসেবে পরিচিত। ওয়াশিংটনের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কও বেশ ভালো। তা ছাড়া গাজা যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টায় মিসরের পাশাপাশি দেশটিও শুরু থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল। তাই দেশটিতে ইসরাইলের হামলার সবাইকে অবাক করেছে। হামলার পর ‘সমন্বিত আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়ার’ কথা জানিয়েছে কাতার। কাতারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও বাহরাইনসহ জর্ডান, মিসর এবং মরক্কো এরই মধ্যে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এসব দেশও সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ইউএই, বাহরাইন এবং মরক্কোর শীর্ষ নেতারা সম্মেলনে অংশ নেননি। এ পাঁচটি দেশের মধ্যে মিসর ও জর্ডান আগেই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বাকি তিনটি দেশ পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া ‘আব্রাহাম চুক্তি’র মাধ্যমে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। সম্মেলনে এসব দেশের নেতারা অংশ না নিয়ে ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। ৬০ দেশের বিবৃতিতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তারা যেন সংস্থাটির সদস্যপদ স্থগিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়।

দোহায় ইসরাইলের হামলার পর উপসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা রয়েছে। অঞ্চলটির বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি অবস্থিত কাতারে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভাষ্যমতে, গত সপ্তাহের হামলার পর রুবিও কাতারে গিয়ে দেশটির নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন বলে কথা রয়েছে। সোমবারের সম্মেলনে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্রমুখ অংশ নেন।

ট্রাম্প অসন্তোষ প্রকাশ করে কী চাইছেন? এ প্রশ্ন আশা অস্বাভাবিক নয়। যা জানা যাচ্ছে, কাতারের ওপর ইসরাইলের হামলায় বিরক্তি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘খুশি নন’। হামলার কারণে এখন ভেস্তে যেতে বসেছে গাজায় যুদ্ধ বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ। কারণ ইসরাইল যেখানে হামলা করেছে সে ভবনেই আলোচনার জন্য বসেছিলেন হামাসের শীর্ষ কূটনৈতিক নেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন যে তিনি “এর প্রতিটি দিক নিয়ে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট”। তিনি বলেন, হামলা চলাকালীন মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তিনি হামলার কথা জানতে পেরেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতারে, তাই আমেরিকার অনুমতি ছাড়া এ হামলা হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। দোহায় ইসরাইলের হামলার পর উপসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ট্রাম্প তার কথাতে আন্তরিক কি না সেটা একটা বড় প্রশ্ন। কারণ তার আশকারাতে ইসরাইল গত কয়েক মাসে ইরানের সাথে যুদ্ধ, গাজাকে একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া, কাতার ইয়েমেন ও লেবাননে হামলা চালিয়েছে। এখন যদি তিনি সত্যি সত্যি ইসরাইলের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন তবে তার প্রকাশ অচিরেই দৃশ্যমান হওয়া উচিৎ। আর তা হতে পারে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করে তার দেয়া প্রস্তাবের আলোকে গাজায় যুদ্ধ বিরতি কার্যকরে ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বাধ্য করা। গাজাকে দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য এ উদ্যোগ জরুরী।

খবরে বলা হয়েছে, সোমবারের জরুরি সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ানো। তবে গাজায় হত্যাকাণ্ড ও মানবিক সংকট সৃষ্টির দায়ে দেশটির ওপর এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির অভিযোগ, দোহায় গত ৯ সেপ্টেম্বর আলোচনায় বসা হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে ইসরাইল যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে চাইছে। যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টায় তাঁর দেশ অন্যতম প্রধান মধ্যস্থতাকারী বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সম্মেলনে কাতারের আমির বলেন, ‘যাঁর সঙ্গে আলোচনা চলছে, তাঁকেই যদি পদ্ধতিগতভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তাহলে এর মানে স্পষ্ট। ধরে নিতে হবে, আলোচনা ভেস্তে দেওয়ারই চেষ্টা চলছে।’ শেখ তামিম ৯ সেপ্টেম্বরের হামলার বিশ্বব্যাপী নিন্দার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমাদের নাগরিকরা অবাক হয়েছিলেন, এবং সমগ্র বিশ্ব আগ্রাসন এবং কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হতবাক হয়েছিল। আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ইসরাইলি আগ্রাসন মোকাবেলায় আমরা যা কিছু করা প্রয়োজন তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” শেখ তামিম বলেন, ইসরাইলের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে শান্তিতে তাদের প্রকৃত আগ্রহ নেই। তিনি আরও বলেন, ইসরাইল গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে “আলোচনা ব্যর্থ করার” চেষ্টা করছে, যেখানে ৬৪,৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। শেখ তামিম ইসরাইলকে গাজা ধ্বংস করার লক্ষ্যে যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ করেছেন, যা গত ২৩ মাস ধরে ইসরাইলি বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে।

শেখ তামিমের সব কথাই গুরুত্ববহ। বিশেষ করে গাজা শান্তি আলোচনা ইসরাইল নস্যাৎ করতে চায় বলে তিনি যে গুরুতর অভিযোগ করেছেন সে বিষয়টির উপর কাতার সম্মেলনে অংশ নেয়া দেশগুলোর দৃষ্টি আকৃষ্ট হলে একটা ভালো কিছু হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। তারা এটাও মনে করিয়ে দিতে চান যে গাজায় ইতিমধ্যে ৬৪ হাজার ফিলিস্তিনীর মৃত্যু হয়েছে, সব স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে কার্যত চলছে দুর্ভিক্ষাবস্থা। এ থেকে উত্তরণে মুসলিম দেশগুলোকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আন্তর্জাাতিক ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা দেখা যাক। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জাতিসংঘের নেতারা এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারও এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে “এ ধরনের কর্মকাণ্ড কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখ-তার, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই বেআইনি এবং বিনা প্ররোচনায় আক্রমণের মুখে বাংলাদেশ ভ্রাতৃপ্রতিম কাতার সরকার এবং জনগণের সাথে দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করে।

ইসরাইলকে আরব দেশগুলোর মধ্যে সবার আগে স্বীকৃতি দিয়েছিল মিসর। সোমবারের সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সতর্ক করে বলেন, কাতারে হামলা ‘যেকোনো নতুন শান্তিচুক্তির সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করছে। এমনকি এরই মধ্যে হওয়া শান্তিচুক্তিগুলোও ভেস্তে দিতে পারে।’ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অভিযোগ, ইসরাইল ‘সন্ত্রাসী মানসিকতা’ নিয়ে এগোচ্ছে। ভ্যাটিক্যানের পোপ লিও চতুর্দশও কাতারে ইসরাইলের বিমান হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত গুরুতর’ এবং এর ফলে আঞ্চলিক অস্থিরতার ঝুঁকি আরও বাড়বে।

সম্মেলনের ফাঁকে উপসাগরীয় ধনী দেশগুলো বৈঠক করে। বৈঠক শেষে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) মহাসচিব জাসেম মোহাম্মদ আল-বুদাইউই সাংবাদিকদের বলেন, ইসরাইলের লাগাম টেনে ধরতে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের ‘প্রভাব ও ক্ষমতা’ কাজে লাগাতে আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো।

আরব সামিটে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে তার প্রেক্ষিতে যেসব কার্যক্রম হতে পারে তা হচ্ছে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা এবং দেশটির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা। বিবৃতিতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তারা যেন সংস্থাটির সদস্যপদ স্থগিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়। শুধুমাত্র বৈঠক করে আর বিবৃতি দিয়ে কিছু হবে না এটা স্পষ্ট। সামিটে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে এ থেকে বের হয়ে এসে কার্যকর কিছু করার করার কথা ভাবতে হবে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।