গতকালের পর

গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদ ইসলামী মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক। এ প্রেক্ষিতে ইসলামী দেশপ্রেম কুরআন-সুন্নাহর আদর্শকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, ভূখণ্ডের পরিমণ্ডলে সীমাবদ্ধ থাকে না। আল্লামা ইকবাল তার কবিতায় এরই প্রতিধ্বনি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘চীন ওয়া আরব হামারা হিন্দুস্তাঁ হামারা, মুসলিম হ্যায় হাম ওয়াতন, সারা জাঁহা হামারা।’’ অবশ্য আধুনিককালে পরিচয়ের জন্য আদর্শভিত্তিক জাতীয়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে এদেশের মুসলিমরা গ্রহণ করে নিয়েছেন এবং তার ভিত্তিতে তাদের দেশপ্রেম পরিচালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশে দেশপ্রেম : একটি পর্যালোচনা : দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ বিশাল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত একটি জনপদ হিসেবে বাংলাদেশ ভূখণ্ডটি যুগযুগ ধরে সুপরিচিত হলেও মীর জাফরের ন্যায় বিশ্বাসঘাতকের সংখ্যাও এ অঞ্চলে কখনো কম ছিলনা। ব্যক্তিস্বার্থে গোষ্ঠী ও জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার নজির এখানে প্রচুর রয়েছে। দেশপ্রেম এখানে জোয়ার ভাটার ন্যায় কখনো ভরা কাটাল কখনো মরা কাটালের রূপ ধারণ করেছে। মীর জাফর, জগৎশেঠ, উমি চাঁদের বিশ্বাসঘাতকতার কাছে দেশপ্রেম পরাভূত হবার পর এ ভূখণ্ডটি বৃটিশ বেনিয়া শক্তির কবলেই শুধু যায়নি বরং তাদের ভারত বর্ষ দখলের গেটওয়ে হিসেবেও কাজ করেছে। ফলে প্রায় পৌনে দু’শ বছর ধরে আমরা বৃটেনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গোলামী করতে বাধ্য হই। দেশী বিশ্বাসঘাতক ও বিদেশী আধিপত্যবাদী শক্তির শোষণ নির্যাতনের ধকল সামলিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক শক্তির মেরুদণ্ড খাড়া করে প্রতিরোধ আন্দোলন সংগঠনে প্রায় ১০০ বছর সময় লাগে এবং ১৮৫৭ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে তার অভিব্যক্তি ঘটে। কিন্তু আবারও শিখ এবং হিন্দু ব্রাহ্মণ্যবাদী গোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতকতায় স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রযাত্রা রূদ্ধ হয়ে যায়। মঞ্জিলে পৌছাতে আরো ৯০ বছর সময় লাগে। এ পথেও বাধা আসে। এ বাধা ডিঙ্গিয়ে ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে আমরা মুসলিমদের স্বতন্ত্র আবাস ভূমি হিসাবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করি। বাংলাদেশ অঞ্চল পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে পরিচিত হয় এবং ১৯৭১ সালে নয় মাস ব্যাপী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এ সময়টা ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানবাসীদের জন্য মহা সংকটকাল। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রদেশব্যাপী যে অসহযোগ, হরতাল, অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য এবং অবাঙ্গালী জনপদের উপর যে অত্যাচার-অবিচার শুরু হয়েছিল তার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান আর্মীর নির্মম ক্র্যাকডাউন সাড়ে সাত কোটি মানুষের জীবনে এনে দিয়েছিল অমানিশার অন্ধকার। তাদের জান, মাল ও ইজ্জতের কোনও নিরাপত্তা ছিলনা। যখন তখন গ্রেফতার, পাশবিক ও দৈহিক অত্যাচার এবং নির্যাতন পরিণত হয়েছিল নিত্যদিনের ভাগ্য লিপি। এ সময়টি ছিল দেশপ্রেমিকদের পরীক্ষা দেয়ার প্রকৃষ্ট সময়। সীমান্তপারে ভারত ভূখণ্ডে আশ্রয় প্রার্থী ৭৫.৫৬ লক্ষ শরণার্থী ব্যতীত বাকী ৭ কোটি বাঙ্গালী ছিল কার্যত সশস্ত্র হিংস্র পাক বাহিনীর হাতে বন্দী। এরা পাক বাহিনীর জুলুম সহ্য করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের আহার, আশ্রয় এবং অন্যান্য সহযোগিতা দিয়েছে। তারা আত্মত্যাগ করেছে, স্বজন হারিয়েছে, কিন্তু আত্মসমর্পণ করেনি। ভারতপন্থী দলগুলো ছাড়া অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীরা তাদের সাহস জুগিয়েছে; পাক বাহিনীর হাত থেকে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েছে। পক্ষান্তরে ভারতপন্থী দলগুলোর নেতা-নেত্রীরা দেশবাসীকে তোপের মুখে ঠেলে দিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের সাথে সে দেশে প্রাণ ভয়ে শরণার্থী হয়েছিল ৭৫.৫৬ লক্ষ লোক, সাম্প্রদায়িক বিভাজন অনুযায়ী যাদের মধ্যে ছিল ৬৯.৭১ লক্ষ হিন্দু, ৫.৪১ লক্ষ মুসলিম এবং ০.৪৪ লক্ষ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোক। প্রবীণ রাজনীতিবিদ জাতীয় লীগ প্রধান অলি আহাদের ভাষায়,

‘‘ভাগ্যের কী পরিহাস, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এদেশের মৃত্যুঞ্জয়ী সাত কোটি মানুষ মুহূর্তের মধ্যে ভারতের আশ্রয় প্রার্থী শরণার্থীদের দৃষ্টিতে পাক বাহিনীর সহযোগী রূপে অভিযুক্ত হয় এবং এক পলকে পরিণত হয় এক অচ্ছ্যুত শ্রেণীতে। আরো পরিতাপের বিষয় ১৬ ডিসেম্বরের পরে অনুষ্ঠিত অত্যাচার, অবিচার, লুটপাট, খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ-নির্যাতন ১৬ ডিসেম্বরের আগেকার মতই সমভাবে শহর নগর গ্রামের বাঙ্গালী জীবনকে বিষাক্ত করে তোলে। ভারত প্রত্যাগত মুষ্টিমেয় শরণার্থী ছিল এর জন্য দায়ী।’’ দেশপ্রেমের দলীয়করণ এ ক্ষেত্রে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলকে ভারসাম্যহীন করে তোলে এবং তারা সারা জাতিকে স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ এ দু’টি শক্তিতে বিভক্ত করে নেয়। আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধিতা এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সেক্টার কমাণ্ডারকেও রাজাকারে পরিণত করে। দেশপ্রেম একটি বিশেষ দলের পৈত্রিক সম্পত্তি হয়ে দাঁড়ায়। কাগজে-কলমে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পেলেও কার্যত তা ভারতের বশংবদ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অভ্যুদয় হলেও অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ ভারতের মাটি থেকে ঢাকায় পদার্পণ করেন ২০ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীসহ তাদের কেউই পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। ভারতের আশ্রয় থেকে স্বদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের সরকার ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারী এক আদেশ বলে বাংলাদেশের মুদ্রামান ৬৬ শতাংশ হ্রাস করেন। পাশাপাশি একই তারিখ থেকে ভারতীয় ও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক ঘোষণা করা হয় এবং দেশীয় পাটকলের স্বার্থে এতদিন পর্যন্ত ভারতের কাছে পাট বিক্রির উপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের পূর্ব পর্যন্ত বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশ এবং ভারত পাট, চা, চামড়া বিক্রির ব্যাপারে পরস্পর পরস্পরের প্রতিযোগী ছিল। সরকারের উপরোক্ত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পাট, চা ও চামড়া শিল্পে অন্ধকার নেমে আসে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের শতকরা ৯০ ভাগ ছিল কাঁচা পাট ও পাট জাত পণ্যের উপর নির্ভরশীল। পাটের বাজার উন্মুক্ত করে দেয়ায় এবং পাশাপাশি সীমান্ত খুলে দেয়ায় বৈধ ও অবৈধ উভয় পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাট পাচার ও রফতানী মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। ভারতের যে সমস্ত পাটকল ২০/২২ বছর ধরে বন্ধ ছিল কিংবা ক্যাপাসিটির এক চতুর্থাংশও উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছিল না সে পাটকলগুলো এতে পুনরায় পূর্ণ ক্যাপাসিটিতে চালু হয়ে যায়। পক্ষান্তরে শ্রমিক অসন্তোষ, কাঁচা মালের অভাব, গুদামে আগুন প্রভৃতি কারণে আমাদের পাটকলগুলো একের পর এক বন্ধ হতে থাকে এবং এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছে যে ভারতের সাথে প্রতিযোগিতার সামর্থ ও যোগ্যতা উভয়টাই আমরা হারিয়ে ফেলি। আমাদের রফতানী আরও সাংঘাতিকভাবে হ্রাস পায়। ফলে খাদ্য-সামগ্রী, শিল্পের কাঁচামাল এবং জীবনরক্ষাকারী ওষুধপত্র আমদানীও কঠিন হয়ে যায়। ভারতীয় সিকিউরিটি প্রেস থেকে মুদ্রিত বাংলাদেশী নোটের সংখ্যা সরকার ঘোষিত সংখ্যা থেকে অনেক বেশি বলে প্রমাণিত হয় এবং এ প্রেক্ষিতে সরকার এ নোট অচল ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তবে এ সিদ্ধান্তের একটা অভিনব ও বিস্ময়কর দিক ছিল এ যে, সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরও ভারতে মুদ্রিত নোট বদলানোর সুযোগ দু’মাস পর্যন্ত অব্যাহত রাখা হয়। এর অন্তনির্হিত তাৎপর্য সাধারণ মানুষের চোখেও ধরা পড়ে। বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রকট মুদ্রাস্ফীতির শিকারে পরিণত হয়। বাজারে এর অভিব্যক্তি ঘটে বিস্ময়করভাবে। কেনা কাটায় ভারতীয় মুদ্রার অবাধ প্রচলন শুরু হয়। ভারতীয় সৈন্য, ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং ভারতের সাধারণ নাগরিকরা বাংলাদেশের বাজার থেকে দুর্লভ বৈদেশিক মুদ্রায় ক্রীত বিদেশী পণ্য সামগ্রীসহ কয়েক শ’ কোটি টাকার দ্রব্য-সামগ্রী ক্রয় করে ভারতে নিয়ে যায়। এছাড়াও ভারতের মাড়োয়ারী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কলকারখানা থেকে শত শত কোটি টাকার মেশিন পত্র ও যন্ত্রপাতির খুচরা অংশ, কাঁচামাল প্রভৃতি পাচার করে নিয়ে যায়। দুনিয়ার ইতিহাসে বহু রাষ্ট্র বৈদেশিক রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাহায্য-সহায়তায় স্বাধীনতা অর্জন করেছে; কিন্তু কোনও রাষ্ট্র কর্তৃক তার কাগজী নোটের বিনিময়ে অর্থাৎ বিনামূল্যে সংঘবদ্ধ প্রতারণার মাধ্যমে লুটপাট করে সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত রাষ্ট্রকে এভাবে নিঃস্ব করার নির্দয় নজির আর কোথাও নেই। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারে যারা ছিলেন তারা এ দেশের মাটির সন্তানই ছিলেন, কিন্তু তারা এদেশে বেআইনীভাবে ভারতীয় কাগজী মুদ্রা প্রচলনে বাধা দেননি। দেশ বিক্রিতে তাদের বাধেনি। ৯৩০০০ যুদ্ধ বন্দী বাংলাদেশ থেকে সোনা দানা সহ যে দামী দ্রব্য-সামগ্রী লুট করে আত্মসাৎ করেছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী তাদের কাছ থেকে সেগুলোও ছিনিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে এবং তাদের পরিবার পরিজনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পরিত্যক্ত অস্ত্র-সস্ত্রও ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশকে দেয়নি, ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় দৈনিক অমৃত বাজারে ১৯৭৪ সালের ১২ মে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত সরকার পাকিস্তানী সৈন্যদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অস্ত্র-সস্ত্রের মধ্য থেকে দু’ থেকে আড়াই শ’ রেলওয়ে ওয়াগণ ভর্তি অস্ত্র-সস্ত্র ভারতে স্থানান্তরিত করেছে এবং এতে বাংলাদেশ সরকারের সম্মতি ছিল। এ ছাড়াও মহা চীন কর্তৃক নির্মিত জয়দেবপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরী থেকে ভারতীয় সৈন্যরা শত শত কোটি টাকার অস্ত্র, নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ভারতে নিয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত চিনি কল, বস্ত্র কল ও পাট কলের যন্ত্রপাতি পাচার তো ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। যারা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন তৎকালীন সরকারের দৃষ্টিতে তারা হয়ে পড়েছিলেন দেশের শত্রু। এ প্রতিবাদের কারণে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টার কমান্ডার মেজর জলিলকে গ্রেফতার করে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছিল।

বলাবাহুল্য প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার ভারতে অবস্থানকালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতার বিনিময়ে ভারত সরকারের সাথে সাতটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। এই চুক্তিগুলোর বিষয় বস্তু ছিল নিম্নরূপঃ

১) ভারতীয় সমরবিদদের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে আধা সামরিক বাহিনী গঠন করা হবে। গুরুত্বের দিক থেকে এবং অস্ত্র-শস্ত্র এবং সংখ্যায় এ বাহিনী মূল সামরিক বাহিনী থেকে বড় এবং তাৎপর্যপূর্ণ হবে (যেমন, রক্ষী বাহিনী)।

২) ভারত থেকে সমরোপকরণ এবং অস্ত্র-শস্ত্র ক্রয় করতে হবে এবং ভারতীয় সমরবিদদের পরামর্শের ভিত্তিতে তা করতে হবে।

৩) ভারতীয় পরামর্শেই বাংলাদেশের বহিঃবাণিজ্য কর্মসূচী নির্ধারণ করতে হবে।

৪) ভারতীয় পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের বাৎসরিক ও পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

৫) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতির অনুরূপ হবে।

৬) ভারতের সম্মতি ছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত কোনও চুক্তি বাতিল করা যাবে না।

৭) ডিসেম্বরে পাক-ভারত যুদ্ধের পূর্বে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ভারত যে কোনও সময় যে কোন সংখ্যায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে এবং এ ব্যাপারে বাধাদানকারী শক্তিকে চুরমার করে দেয়ার অধিকার তার থাকবে। (চলবে)