নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে এ বছর আগেভাগেই আলোচনা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি স্থাপন করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সে পুরস্কার আশা করছিলেন। তবে গাজায় ৬৭ হাজার লোকের মৃত্যু তার চোখের সামনেই ঘটেছে। সে মৃত্যু রোধ করতে তিনি কতটা আন্তরিক ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। শেষ পর্যন্ত গাজা যুদ্ধ থামিয়ে তিনি আপাতত এ মৃত্যু রোধ করতে পেরেছেন। তাকে এবার শান্তি পুরস্কার দিতে বলেছিলেন ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ কিছু নেতা। আর ৭টি যুদ্ধ থামিয়ে সে পুরস্কার ট্রাম্প নিজেই দাবি করেছিলেন। এখন আক্ষেপ করে বলেছেন, ওবামা কোন যুদ্ধ না থামিয়ে পুরস্কার পেলেন, আর আমি ৮টি যুদ্ধ বন্ধ করেও (গাজা যুদ্ধসহ) তা পেলাম না।
ট্রাম্পের ২০ দফা চুক্তি মতে গাজা থেকে জীবিত ২০ জিম্মি মুক্তি পেয়ে তেলআবিবে ফিরেছেন। ইসরাইলী কারাগার থেকে ফিলিস্তিনী বন্দীরা মুক্তি পেয়েছেন। এটা চুক্তি মোতাবেকই হয়েছে। দু’বছর পর এমন একটা দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিল বিশ্ব। তবে পরবর্তী ধাপে কী হবে কেউ জানে না।
চলতি বছরের বহুল আলোচিত নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। মারিয়া কোরিনা মাচাদো নোবেল জেতার পর এক সাংবাদিক নোবেল কমিটিকে ট্রাম্পের ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ট্রাম্পকে নোবেল দিতে ট্রাম্পের নিজের কাছ থেকে এবং বিশ্বের অন্যান্য যেসব জায়গা থেকে চাপ এসেছিল, সে চাপ তাদের পুরস্কার ঘোষণায় কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না। জবাবে নোবেল শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান জোর্গেন ওয়াটনে ফ্রায়ডেন্স বলেছেন, “দীর্ঘ ইতিহাসে নোবেল কমিটি এ ধরনের ক্যাম্পেইন ও মিডিয়ার উত্তেজনা দেখেছে। এছাড়া নোবেল কমিটির কাছে প্রতি বছর হাজার হাজার চিঠি আসে। কিন্তু নোবেল শুধুমাত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাজের ওপর নির্ভর করে এবং আলফ্রেড নোবেলের করা উইল অনুযায়ী দেওয়া হয়।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টপকে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। এ ঘটনা বেশ আলোচনায় আসে, বিশেষত ট্রাম্প না পাওয়ায়। প্রথম প্রক্রিয়ায় মাচাদো অবশ্য সে ট্রাম্পকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করেন। কেন তিনি এ কথা বললেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মারিয়া। পাশাপাশি এ-ও বলেন, ‘‘এ স্বীকৃতি ভেনেজুয়েলার মানুষের সংগ্রামের জন্য এক নতুন অনুপ্রেরণা।’’
জানা যায়, চলতি বছর নোবেল শান্তিতে ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৯৪টি সংগঠনের সম্মাননার জন্য মনোনয়ন জমা পড়েছিল। সে তালিকায় ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। তবে নাম বাছাই প্রক্রিয়া জানুয়ারিতে শেষ হয় বলেও জানা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়াকেই এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়েছে নোবেল কমিটি। কেন তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হলো তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান জর্জেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস জানান, ভেনেজুয়েলার বিরোধী দল এককালে দ্বিধাবিভক্ত ছিল। তাদের একত্রিত করার কৃতিত্ব মারিয়ার। বিরোধীদলগুলিকে একত্রিত করে অবাধ নির্বাচন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের দাবি তুলে ধরেছেন তিনি। তার এ কৃতিত্বকে সম্মান জানাতেই তাঁকে শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় নোবেল কমিটি।
কেন ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কার দেওয়া হল না, তা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা রয়েছে। সে আবহে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার জনগণকে আমাদের প্রয়োজন।’’ ট্রাম্পকে ‘বন্ধু’ হিসাবেও উল্লেখ করেছেন মারিয়া। শেষে মারিয়া জানান, তাঁর এ পুরস্কার তিনি ভেনেজুয়েলার জনগণ এবং ট্রাম্পকে উৎসর্গ করছেন।
গত বছর ভেনেজুয়েলায় ভোটের সময় কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় দেশের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন নিকোলাস মাদুরো। ২০১৩ সাল থেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন তিনি। যদিও তাঁকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে মানতে নারাজ ওয়াশিংটন। মার্কিন পন্থী ও ইসরাইলের সমর্থক মাচাদো এ পুরস্কার পাওয়ায় মাদুরোর দেশ নাখোশ। তারা কিছু পাল্টা ব্যবস্থাও নিয়েছে।
বিশ্লেষক জনাথন ফ্রিডল্যান্ড বলেছেন, ট্রাম্প আপাতত নোবেল পুরস্কার পাননি, অন্তত এ বছর নয়। কিন্তু যদি সত্যিই সেটি চান, তবে এখন তাঁর করণীয় স্পষ্ট। ট্রাম্পকে আসন্ন মাসগুলোতেও, এমনকি বছরজুড়ে সে একইভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে, যেমন গত ১০ দিন তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। কারণ, তাঁর ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনার প্রতিটি দফায় এমন সব জটিলতা আছে, যা যেকোনো সময় পুরো চুক্তিকে ধসিয়ে দিতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয়, ট্রাম্পকে নেতানিয়াহুর ওপর নজর রাখতে হবে। কারণ, নেতানিয়াহু চুক্তির এ প্রথম ধাপটুকু বাস্তবায়ন করে থেমে যেতে পারেন, পরের ধাপে আর নাও এগোতে পারেন। যদি ট্রাম্প সত্যিই ‘নোবেল পুরস্কার’ চান, তবে এটাই তাঁর একমাত্র পথ। নেতানিয়াহু যদি পরের ধাপে না যান তবে শান্তি চুক্তি আগের বারের মতো ভেঙ্গে পড়তে পারে। আর তা ডেকে আনবে বিপর্যয়।
যাহোক গাজার বিষয়ে ফিরি। অগণিত মৃত্যু ও ধ্বংসের দৃশ্যের পর এবার টিভি পর্দায় দেখা গেল আনন্দের ছবি। সে ছবি যেন কিছুটা স্বস্তি এনে দিল। গাজাবাসী তাদের বাড়িঘরে ফিরছেন, কিন্তু তা কেবল ধ্বংসস্ত’প। বাড়ি খুজে পাচ্ছে না অনেকে। যুদ্ধ আপাতত বন্ধ হলেও শংকা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। চুক্তির পরও ইসরাইলী হামলা অব্যাহত রয়েছে বলে খবরে জানা যাচ্ছে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির মাঝেই গাজা ও খান ইউনিসে হামলা করে ৯ ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এ হামলায় আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল মাআমদানি হাসপাতালের কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইলী বাহিনী শুজাইয়া এলাকায় কোয়াড কপ্টার ড্রোন থেকে গুলি বর্ষণ করে অন্তত ৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এ সময় ওই ফিলিস্তিনীরা সেখানে তাদের বাড়ির চিহ্ন তালাশ করছিলেন।
এ আলামত ভাল নয়। এর আগে এক ইসরাইলী মন্ত্রী হুংকার দিয়েছিলেন, জিম্মিরা মুক্ত হবার পর গাজাকে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। এটা কি তারই শুরু কি না বিশ্লেষকরা সেটাই ভাবছেন।
মিসরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির নথিতে ১৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্য দেশের নেতারা স্বাক্ষর করেছেন। উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে সবার আগে ট্রাম্প নথিতে স্বাক্ষর করেন। ট্রাম্পের পর মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং কাতারের আমির শেখ তামিমসহ অন্য বিশ্ব নেতারা নথিতে স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প বলেন, ‘এটি [যুদ্ধবিরতি] কার্যকর থাকবে।’ এর আগে গত শুক্রবার ইসরাইল ও হামাস ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। আজ এরই মধ্যে হামাস ২০ জন জীবিত জিম্মি ও কয়েকজন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। ইসরাইলও প্রায় দু হাজার ফিলিস্তিনী বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।
এর আগেও জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা করা হয়েছিল। কিন্তু মার্চের মধ্যভাগে ইসরায়েল সে চুক্তি ভেঙে আবার গাজায় হামলা চালায়। তাই এবারও আশা থাকলেও মানুষ সাবধান যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবার মোড় নিতে পারে।
এবার ট্রাম্পের যুদ্ধ থামানোয় আগ্রহী হওয়ার কারণ নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। কি কারণে তিনি এতটা আগ্রহী হলেন। কাতারে ইসরাইলী হামলা তাকে বিরক্ত করে। কারণ দেশটি আমেরিকার মিত্র। আরও একটি কারণ আছে। ট্রাম্প লক্ষ করেছেন, খোদ ইসরায়েলে রাস্তায় বিক্ষোভ বেড়ে যাচ্ছে, মানুষ যুদ্ধের অবসান চায়। বিশ্বের নানা প্রান্তে ইসরায়েলের গাজা ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জেগে উঠেছে। ইসরাইল বিম্ভে একঘরে হয়ে পড়েছে।
ট্রাম্প কি এ যুদ্ধবিরতির নায়ক? যারা এতদিন ট্রাম্পের বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের জন্য এটা মেনে নেওয়া কঠিন। কিন্তু সত্যটা হলো এ মুহূর্তে তিনি এ কৃতিত্বের দাবিদার। তাঁর কঠোর মনোভাব, চাপপ্রয়োগের ক্ষমতা, বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণের দক্ষতাÑসবকিছু এবার তিনি প্রয়োগ করেছেন রক্তপাত থামানো এবং জিম্মিদের মুক্ত করার এক মহৎ লক্ষ্যে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মানুষদের জন্য আপাতত সেটাই সবচেয়ে বড় স্বস্তির বার্তা।
নেতানিয়াহুর চুক্তিতে এখন রাজি হয়েছেন, একই রকম প্রস্তাব ২০২৪ সালের জুনেই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আর পরের অনুরূপ প্রস্তাবগুলোও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। প্রতিবারই তিনি ভেবেছেন, চলমান যুদ্ধই তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে। কিন্তু জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় দেখা গেল বহু দেশের প্রতিনিধি তার ভাষণের সময় ওয়াক আউট করেছেন। তার মানে তিনি চরমভাবে অপমানিত ও বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। ট্রাম্প বুঝলেন, এখন যদি তিনি যুদ্ধবিরতি ঘটাতে পারেন, তবে তার ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হবে। এটিকে তার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ বলে মনে হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। কিন্তু শান্তি পুরস্কারের বাস্তবতা হচ্ছে এই প্রাক্রয়াটা অনেক আগে শুরু হয়। জানা যায় ৩১ জানুয়ারী সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
গাজা চুক্তির ভবিষ্যৎ কী? কিছু কিছু বিশ্লেষক বলছেন, এবার চুক্তিটা বেশ টেকসই মনে হচ্ছে। সাধারণত এমন কোনো বড় অগ্রগতি হয় দুই পক্ষের সমান সমঝোতার ফলে। প্রথম দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, এখানেও তাই ঘটেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্য দেশের নেতারা স্বাক্ষর করেছেন। ফলে এর একটা মূল্য থাকতে পারে। কিন্তু নতুন করে হামলা ও ৯ জনকে হত্যার ঘটনা বিশ্লেষকদের ভাবিয়ে তুলেছে।
হামাসের অবস্থানে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠদের দাবি সত্ত্বেও হামাস তার মৌলিক অবস্থান থেকে সরে যায়নি। আল জাজিরা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রÑসমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাস রাজি হয়েছে ঠিকই, তবে দু’পক্ষের বিরোধ রয়ে গেছে এখনো। এ বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের কাছে থাকা অস্ত্রভান্ডার। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ শেষ করতে হলে হামাসকে সব অস্ত্র জমা দিতে হবে, ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে হবে এবং সংগঠন হিসেবে নিজেদের ভেঙে দিতে হবে। অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান হামাস প্রকাশ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে ট্রাম্প আবারো হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহবান জানিয়েছেন।
হামাসের লক্ষ্য ছিল মূলত কয়েকটি- ইসরাইলকে গাজার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে বাধ্য করা, ফিলিস্তিনি প্রশ্নটিকে আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা, অভ্যন্তরীণ ফিলিস্তিনী রাজনীতিতে নিজেদের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা । সেটা কার্যত হয়েছে এবং গাজায় নিজেদের অবস্থান পোক্ত করতে শুরু করেছে হামাস। কিন্তু নতুন করে ইসরাইলী হামলা তাদের সন্দিহান করে তুলেছে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।