ড. বি এম শহীদুল ইসলাম

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দেশকে নতুন করে সাজানোর প্রয়োজনে সংস্কার উদ্যোগকে আবর্তিত করে দেশে এখন প্রধান আলোচনায় রয়েছে গণভোট। বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জনসাধারণের অভিমত জানার জন্য গণভোটের ইতিহাস রয়েছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। গণভোটে নাগরিকগণ তাদের ভোট প্রদানের মাধ্যমে জানিয়ে দেন যে, তারা কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করছেন কি করছেন না। এক্ষেত্রে সংসদের পরিবর্তে সিদ্ধান্ত নেয় দেশের জনগণ। এ ধরনের রীতি বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশে প্রচলিত রয়েছে। সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, নরওয়ের মতো অনেক দেশ জনগণের রায়ের প্রতিফলনে সংবিধান সংশোধনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাষ্ট্রের ভবিষ্যতকে শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশে জুলাই সনদকে সাংবিধানিক ভিত্তি দিয়ে গণভোট অপরিহার্য বলে জনগণ মনে করে। এহেন পরিস্থিতিতে গণভোটের গুরুত্ব ও যৌক্তিকতা সম্পর্কে একটি পর্যালোচনা উপস্থাপন করা হলো:

গণভোটের সূত্রপাত : গণভোটের সূত্রপাত হয় মূলত ফ্রান্সে। গণতান্ত্রিক উত্তরণে ফ্রান্সে ঐতিহাসিক গণভোটের অধ্যায় শুরু হয় ১৭৯৩ সালে। সে সময় নাগরিকদের সরাসরি মতামত নেয়া হয় নতুন সংবিধান অনুমোদনের লক্ষ্যে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জানিয়ে দেন, তারা সংবিধানটি গ্রহণ করছেন নাকি করছেন না। আধুনিক ফ্রান্সে একটি অভিনব স্টাইলে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এটিকে প্লেবিসাইট বলে। এ পদ্ধতিতে গণভোটের মাধ্যমে তারা বড় বড় জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা সমাধান করে ফেলে। সেখানে রাষ্ট্রপতি বা সরকার জনগণের নিকট নির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরে। ভোটের মাধ্যমে জনগণ পক্ষে অথবা বিপক্ষে ভোট দিয়ে সমস্যার সমাধান করেন। এ পদ্ধতিতে ফরাসি বিপ্লবের পর গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কাঠামো নির্ধারণে তারা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে। গবেষকদের মতে, সে দেশের প্রথম এমন গণভোট বা প্লেবিসাইট ইতিহাসে শুধু পথিকৃতই নয়, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অনুপ্রেরণা স্বরূপ। ১৯৫৮ সালে ফরাসি নেতা চার্লস দ্যা গল নতুন সংবিধান অনুমোদনের জন্য গণভোটের আয়োজন করেন। সে সময় জনগণের অভিন্ন সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত হয় ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র- যা বর্তমান সময় পর্যন্ত চালু রয়েছে। এ গণভোট ফরাসি রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরণের স্থিতিশীলতার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে। সর্বশেষ ২০০৫ সালে দেশটি এমন একটি গণভোটের আয়োজন করেছিল।

সুইজারল্যান্ডের গণভোট : গণভোটের ইতিহাসে ফ্রান্সের অবদান অনস্বীকার্য। তবে বিশ্বের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মিত গণভোটের জন্মভূমি হচ্ছে-সুইজারল্যান্ড। দেশটিতে নাগরিকদের সরাসরি ভোট শুরু হয় ১৮০২ সালে, তখন দেশের নাগরিকদের মতামত আংশিকভাবে নেওয়া হয়। প্রথম পদক্ষেপ হলেও এটি ছিল অস্থায়ী এবং আংশিক। এরপর ১৮৪৮ সালে সুইজারল্যান্ডে নতুন সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর গণভোটকে স্থায়ী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়। তখন থেকে সুইস নাগরিকগণ নিয়মিতভাবে জাতীয় ও স্থানীয় স্তরে আইন, নীতি এবং সংবিধান সংশোধনে গণভোট দিয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নির্ধারণে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন। সুতরাং ফ্রান্সে প্রথম গণভোট অনুষ্ঠিত হলেও, সুইজারল্যান্ডই গণভোটকে কার্যকর ও নিয়মিত প্রক্রিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাই বিশ্বের প্রাতিষ্ঠানিক গণভোটের জন্মভূমি হিসেবে সুইজারল্যান্ডের নাম স্বীকৃত। ‘প্লেবিসাইট’ থেকে ‘রেফারেন্ডাম’ নামকরণের উৎপত্তি এবং এর প্রাথমিক কাঠামোও সুইজারল্যান্ডে তৈরি হয়। এখনো সুইজারল্যান্ডে বছরে একাধিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং সরকার জনগণের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি নির্ধারণ করে থাকে। এটিই গণতন্ত্রে উত্তরণের উপযুক্ত পদ্ধতি।

১৯০৫ সালে নরওয়ের জনগণ গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করে যে, তারা আর সুইডেনের অধীনে থাকবে না। ভোটে বিপুল সমর্থনে নাগরিকরা স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেন। ফলশ্রুতিতে নরওয়ে জন্ম নেয় একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে। এ গণভোট রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে এবং বিশ্বব্যাপী উদাহরণ সৃষ্টি করে। যুক্তরাজ্যে ও তুরস্কে গণভোট: গণভোটের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে। ২০১৬ সালের ‘ব্রেক্সিট’ গণভোটে যুক্তরাজ্যের জনগণ ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন, দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হবে। ভোটে ইইউ ত্যাগের পক্ষে অর্থাৎ হ্যাঁ ভোটের ওপর বিপুল সমর্থন লাভ করে। সরকার সে রায় মেনে নেয় এবং ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ থেকে বের হয়ে আসে। এ গণভোটটি আধুনিক গণতন্ত্রে এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। গণভোটের ক্ষেত্রে আধুনিক তুরস্ক অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। তুরস্কে জাতীয় পরিসরে এখন পর্যন্ত মোট সাতটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি গণভোটই ছিল সংবিধান সংশোধন বা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ গণভোটগুলো দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ও সংবিধানিক প্রক্রিয়াকে নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

তুরস্কে প্রথম জাতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬১ সালের ৯ জুলাই। এ গণভোট ছিল ১৯৬০ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশকে সংবিধানিক পথে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা।দেশটিতে দ্বিতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর। বিষয়টি ছিল ১৯৮০ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর নতুন সংবিধান অনুমোদন। ১৯৮৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আরও একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। তারপর ১৯৮৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় নির্বাচন এক বছর আগে করার প্রস্তাব নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালের ২৫ অক্টোবর তুরস্কের সংবিধানে পাঁচটি সংশোধন প্রস্তাব নিয়ে গণভোট আয়োজন করা হয়। ২০১০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তুরস্কে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটে ২৬টি সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। তারপর ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল তুরস্কে আর একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। বিষয় ছিল সংসদীয় ব্যবস্থার বদলে প্রেসিডেন্সিয়াল শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন। এ গণভোটটি শান্তিপূর্ণ ছিল।

এছাড়া চিলিতে ১৯৮৮, ২০২০ ও ২০২২ সালে মোট ৩ বার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা দেশটির রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত ও সংবিধানিক সংস্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব গণভোটের মাধ্যমে দেশের শাসন পদ্ধতি ও সংবিধান সংস্কার করা হয়। বাংলাদেশে গণভোটের দৃষ্টান্ত: স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে মোট ৩ বার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ছিল প্রশাসনিক গণভোট এবং একটি সাংবিধানিক গণভোট। দেশে প্রথম গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালের ৩০ মে, এক সময়ের সামরিক শাসক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসন কাজের বৈধতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে। ১৯৭৭ সালের ২২ এপ্রিল গণভোটের ঘোষণা দেন জিয়াউর রহমান। দেশের ২১ হাজার ৬৮৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। তখন দেশের মোট ভোটার ছিল ৩ কোটি ৮৪ লাখ। ফলাফলে দেখা যায়, ৮৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার ভোটে অংশ নেন। এর মধ্যে ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছিল ৯৮.৯ শতাংশ। অন্যদিকে ‘না’ ভোট ছিল মাত্র ১ দশমিক ১ শতাংশ। এ গণভোটের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতার বৈধতা পান। অথচ তার দল বিএনপি এখন গণভোটের বিরোধিতা করছে।

১৯৮৫ সালের ২১ মার্চ দ্বিতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নীতি ও কর্মসূচির বৈধতা যাচাইয়ের জন্য। ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বাক্সে ভোট দেন। আস্থা থাকলে জেনারেল এরশাদের ছবিসহ ‘হ্যাঁ’ বাক্সে এবং আস্থা না থাকলে ‘না’ বাক্সে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ভোটার অংশগ্রহণের হার ছিল ৭২ দশমিক ২ শতাংশ। এর মধ্যে ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছিল ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ‘না’ ভোট ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের লক্ষ্যে প্রবল গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন এরশাদ। এরপর ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয় বিএনপি। ১৬ বছরের রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সংসদীয় পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট সংসদে বিল পাস হয়। সংবিধানে দ্বাদশ সংশোধনীর ওই বিলে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেবেন কিনা, তা নির্ধারণে ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। পুনরায় গণভোট অপরিহার্য: ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করলে গণভোটের বিষয়টি জনগণের সামনে আসে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে জুলাই সনদের ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কারের বৈধতা নিশ্চিত করতে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশনের পক্ষ থেকে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয় এবং গত ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলসমূহ সনদে স্বাক্ষর করেন। জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এ আদেশ এবং এর তফসিলে সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। সকল রাজনৈতিক দল গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠান এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন বাস্তবায়নের পক্ষে অবস্থান নিলেও একটি দল বিরোধিতা করে আসছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে-নির্বাচনের দিন গণভোট হলে তাতে তারা সমর্থন জানাবে। আবার মাঝে মাঝে বলছেন, ‘গণভোটের কোনো প্রয়োজন নেই।’ এ ধরনের মনোভাব জুলাই গনঅভ্যুত্থানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের শামিল বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন।

এমতাবস্থায় একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের সরকারি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে চলতি নভেম্বর মাসেই গণভোট করার কোন বিকল্প নেই। সুতরাং সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট এখন জনগণের প্রাণের দাবি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে অবিলম্বে গণভোটের তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক।