খায়রুল ইসলাম
মৃত্যু মানুষের জন্য এক অনিবার্য সত্য, যা আমাদের জীবনকে অর্থবহ করে তোলে। এটি আমাদের অস্তিত্বকে বিকশিত করে এবং প্রকৃত স্বাধীনতার উপলব্ধি এনে দেয়। সূরা আল-মুলকে আল্লাহ বলেন, “তিনিই জীবন এবং মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে পারেন কে কর্মে উত্তম।” মানুষের ক্ষণস্থায়িত্ব যেন পরীক্ষার হলে নির্ধারিত তিন ঘণ্টার মতো। এ ক্ষণস্থায়ী সময়ে জীবন নামক সাদা খাতায় ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীনতা আমাদের থাকে।
বিংশ শতাব্দীর প্রভাবশালী দার্শনিক মার্টিন হাইডেগার তাঁর দর্শনে দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে মৃত্যুই মানুষের অস্তিত্বের গভীরতম সত্য। হাইডেগার তাঁর গ্রন্থ “বিইং অ্যান্ড টাইম” (১৯২৭)-এ দেখান যে মানুষ তার অস্তিত্বের অর্থ বুঝতে পারে শুধুমাত্র মৃত্যুর উপলব্ধির মাধ্যমে। তাঁর এ ধারণাকে তিনি বলেছেন “মৃত্যুর দিকে অবস্থানরত সত্তা”। প্রকৃতপক্ষেই আমরা প্রতিনিয়ত মৃত্যু-সম্ভাবনা নিয়ে বেঁচে থাকি। জন্মগ্রহণ করার পর থেকেই আমরা মৃত্যুর দিকে বহমান, এবং এটি আমাদের অস্তিত্বের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। তিনি এও বলেন, অধিকাংশ মানুষ মৃত্যুর কথা ভুলে থাকতে চায়। অথচ মৃত্যুর উপলব্ধিই স্বীয় অস্তিত্বের প্রতি দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করে। সূরা জুমু’আতে মহান আল্লাহ বলেন, “তোমরা যে মৃত্যু থেকে পালাচ্ছো, তা অবশ্যই তোমাদের সাথে সাক্ষাৎ করবে।” বস্তুত মৃত্যুকে ভয় করে পালায় না এমন মানুষের সংখ্যা নগণ্য হলেও, পালানো এবং না পালানো উভয়ের মাঝে অর্থবহতা বিদ্যমান। কারণ মৃত্যুর সাক্ষ্য মানুষকে ক্রমাগত দিয়ে যেতে হয়। সেটা হতে পারে পরিবার, বন্ধু, পোষা প্রাণী এবং সমাজে নন্দিত, নিন্দিত, অনুকরণীয়, বর্জনীয়, ভালোবাসার, ঘৃণার বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর শাহাদাতের সাক্ষ্য আমরা যেভাবে পেয়েছি-আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আগে ওসমান তার মায়ের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। তিনি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে বলেছিলেন, “মা আমার মন বলে, আমরা যদি এগিয়ে যাই, তাহলে এ ক্ষমতার পতন হবেই হবে, বিজয় হবেই হবে।” যে ওসমান একসময় মৃত্যুর মুখ থেকে পালানোর প্রবৃত্তি নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিল, সে-ই হঠাৎ করে মৃত্যুর সার্থকতা উপলব্ধি করে। বাড়ি ছাড়ার আগে তিনি মাকে আয়াতুল কুরসি পড়ে ফুঁ দিতে বলেন- হয়তো এটি ছিল মায়ের মনে সামান্য সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা, কিংবা নিজের প্রবৃত্তির মৃত্যু-ভয় কিছুটা লাঘব করার প্রয়াস। কিন্তু সন্ধ্যা গড়াতেই ওসমান আর পিছু হটেননি। তিনি দ্বিধা কাটিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন, শহীদি আকাক্সক্ষায় নিজেকে উজ্জীবিত করেন। বন্ধুদের উদ্দেশে ঘোষণা করেন, “বিজয় না নিয়ে আমি বাড়ি ফিরব না।” অবশেষে, ৪ আগস্ট, তিনি শাহাদাত বরণ করেন- ফিরে আসেন বিজয়ের চূড়ান্ত গৌরব নিয়ে। ৫ আগস্ট, শহীদের আত্মত্যাগের রেশ ধরে বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিমের প্রাথমিক পতন ঘটে। এ বিজয় ছিল ওসমানের শহীদি গৌরবের কেবল এক ক্ষুদ্র অংশ। ৭ আগস্ট, শহীদ ওসমান ও অন্যান্য শহীদের স্মরণে তামিরুল মিল্লাত মাদরাসা প্রাঙ্গণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। হাজারো মানুষ সেখানে উপস্থিত থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করে, তাদের স্মরণে ইতিহাসের এক অনন্য সাক্ষ্য রেখে যায়।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে শহীদদের স্মরণ ও শোক প্রকাশের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে ওঠে জানাজা ও গায়েবানা জানাজা। এটি ছিল এক প্রতিরোধী সাক্ষ্য, যা ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য ও প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ। শেখ হাসিনার নেক্রোপলিটিক্যাল নীতির কারণে বাঙালি মুসলমানের জীবনকে পরিকল্পিতভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্র নির্ধারণ করে কোন মৃত্যু শোকযোগ্য, আর কোনটি অদৃশ্য থেকে যাবে।
দার্শনিক আচারী ম্বেম্বের নেক্রোপলিটিক্স ধারণাটি মিশেল ফুকোর বায়োপলিটিক্স তত্ত্বের সম্প্রসারিত রূপ। ফুকো দেখিয়েছেন রাষ্ট্র কীভাবে জীবনের উপর চূড়ান্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে, আর ম্বেম্বে দেখিয়েছেন রাষ্ট্র কীভাবে নির্ধারণ করে কারা মরবে এবং কাদের মৃত্যু অপ্রাসঙ্গিক বলে বিবেচিত হবে। রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (ওয়ার অন টেরর) নীতির নামে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে হত্যাযজ্ঞকে ন্যায়সঙ্গত বলে প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশেও আমরা বারবার দেখেছি রাষ্ট্রের এ কৌশল। স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার, জামাত-শিবির, জঙ্গি ইত্যাদি অপবাদ দিয়ে নির্দিষ্ট একটি জনগোষ্ঠীর ওপর বারংবার নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। ২০২৪-এর আন্দোলনে শহীদদের জানাজা ও গায়েবানা জানাজায় বাধা দেওয়া হয়েছে, ইমামদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, লাশ গুম করা হয়েছে, গণকবরে নামহীন দেহাবশেষ চাপা দেওয়া হয়েছে। এ দমননীতি রাষ্ট্রের শোকনিয়ন্ত্রণের এক কৌশল, যেখানে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মৃত্যুকে মূল্যহীন করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
জুডিথ বাটলারের তত্ত্ব আমাদের বুঝতে সাহায্য করে কেন রাষ্ট্র কিছু মৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে, আর কিছু মৃত্যু অদৃশ্য করে দেয়। তিনি দেখিয়েছেন, সব মৃত্যু একরকম নয় কিছু মৃত্যু রাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রকল্পের অংশ হিসেবে শোকযোগ্য হয়ে ওঠে, যেমন শেখ পরিবারের শোক বা ১৯৭১ সালের গণহত্যার স্মৃতি, যা রাষ্ট্র ও সমাজের মনোযোগ পায় এবং বারবার চর্চিত হয়। অন্যদিকে, রাষ্ট্র বিরোধীদের মৃত্যু শোকের দাবিদার নয়; বরং তাদেরকে সন্ত্রাসী, অপরাধী বা শত্রু হিসেবে চিত্রিত করে, যাতে তাদের মৃত্যু অপ্রাসঙ্গিক থেকে যায়। এ শোকনিয়ন্ত্রণের রাজনীতিরই বহিঃপ্রকাশ আমরা ২০২৪-এর আন্দোলনে দেখেছি। যখন বিভিন্ন জেলায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালানো হলো, তখনই আমরা দেখলাম, ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী মেট্রোরেলের পৌত্তলিক স্থাপত্যে শোক জাহির করায় ব্যস্ত ছিলো। জনগণের শোককে দমনের এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই হাসিনা তার স্বজনহারানোর বেদনা প্রকাশ করলো, কিন্তু আন্দোলনের শহীদদের মৃত্যু রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেল না। বরং তাদেরকে বাটলার বলেন, শোক কেবল ব্যক্তিগত অনুভূতি নয়, এটি রাজনৈতিক শক্তির উৎসও বটে। এ শোকই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট রেজিমের দমননীতির বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধী অস্ত্র হয়ে ওঠে। যতবার শহীদদের লাশ গুম করা হয়েছে, যতবার জানাজা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, ততবারই আমরা গায়েবানা জানাজার মাধ্যমে রাষ্ট্রের এই নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি। গায়েবানা জানাজা শুধু ধর্মীয় আচার নয়, বরং এটি প্রতিরোধের এক প্রতীক, যা শোককে রাজনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। এটি জানিয়ে দেয়—শাসকের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আমরা স্মরণ করব, একত্রিত হব, এবং শহীদদের মৃত্যু অর্থহীন হতে দেব না। বাংলাদেশের যে প্রান্তেই আমাদের ভাই শহীদ হোক না কেন, গায়েবানা জানাজার মধ্য দিয়ে আমরা তাদের স্মরণ ও শোককে ঐক্যের শক্তিতে পরিণত করব, যে শক্তি অবশেষে ফ্যাসিস্ট রেজিমের পতনের পথ তৈরি করবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে অন্যতম প্রাণবন্ত প্রতীক ছিল ‘গায়েবানা জানাজা’। ১৭ জুলাই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে, মৃতদেহের অনুপস্থিতিতেও শহীদদের বিজয়ী আত্মার প্রতি শোক ও সম্মান জানাতে হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়-এটাই ছিল গায়েবানা জানাজার শক্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, কফিন স্পর্শ করে হত্যার বিচারের শপথ নেওয়া নিছক একটি শাব্দিক কর্মকাণ্ড নয়; এটি ছিল এক গভীর রাজনৈতিক ও সামাজিক ঘোষণা, যেখানে শোককে রূপান্তরিত করে ন্যায়ের দাবিতে একসাথে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জাগ্রত হয়। ইবন রুশদ জানাজাকে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের মধ্যে এক শক্তিশালী সংযোগ হিসেবে দেখেছেন। তাঁর মতে, এটি কোনো ব্যক্তিগত আচার নয়; বরং এটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠান, যা মৃত ব্যক্তির মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁর আত্মার শান্তির জন্য জীবিতদের একত্রিত করে। স্মৃতিকে জীবিতদের মনে ধরে রাখার মাধ্যমে এটি সমাজে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। মানুষের ভেতর তৈরি হয় বিপ্লবী রূহানিয়াত।
অনেকেই গায়েবানা জানাজাকে কেবল একটি ধর্মীয় উপাসনা বা সামাজিক রীতি হিসেবে ব্যাখ্যা করতে চান। তাদের দৃষ্টিতে ইবাদত কেবল আত্মিক শুদ্ধির মাধ্যম, যেখানে কোনো রাজনৈতিক তাৎপর্য নেই। কিন্তু ইতিহাস ও চিন্তাশীল গবেষণা আমাদের ভিন্ন এক সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করায়।গায়েবানা জানাজা কেবল একটি ধর্মীয় রীতি নয়; এটি অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের শক্তি। এটি শহীদদের স্মরণে ইসলামী ঐক্যের প্রকাশ, যেখানে শোক ও প্রতিবাদ একসঙ্গে গেঁথে যায়।
ইবনে খালদুন আল-মুকাদ্দিমা-তে দেখিয়েছেন, ইবাদত শুধু ব্যক্তির আত্মিক উন্নতির জন্য নয়; এটি সমাজে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও সংহতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমও। তিনি বলেন, যখন কোনো জাতি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ইবাদত করে, তখন তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। কিন্তু যখন তারা দুর্বল হয়ে পড়ে, ইবাদতও নিছক আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়, যার ফলে আত্মিক ও সামাজিক শক্তি হারিয়ে যায়।
গায়েবানা জানাজার ক্ষেত্রেও একই বাস্তবতা বিদ্যমান। এটি নিছক শোক প্রকাশের অনুষ্ঠান নয়; বরং রাষ্ট্রের দমননীতির বিরুদ্ধে ঐক্যের প্রকাশ ও প্রতিবাদের প্রতীক। ইতিহাস দেখায়, বহু রাষ্ট্রীয় স্মরণসভা কেবল ব্যক্তিগত শোক নয়, বরং রাজনৈতিক ন্যারেটিভ তৈরির হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে। ক্ষমতার কেন্দ্রগুলো অনেক সময় মৃত ব্যক্তিকে বীর হিসেবে উপস্থাপন করে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে।
এ বাস্তবতার নিদর্শন আমরা স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে পাই। বাদশাহ নাজ্জাসি ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক মিত্র, যিনি মক্কার মজলুম মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর রাসূল (সা.) সাহাবীদের জানিয়ে দিলেন এবং তাঁর জন্য গায়েবানা জানাজার আয়োজন করলেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ (সা.) নাজ্জাসিকে মুসলমান ঘোষণা করেন। এ জানাজা ছিল নাজ্জাসির প্রতি শ্রদ্ধা ও ইসলামের জন্য তাঁর অবদানের স্বীকৃতি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও আমরা এর প্রভাব দেখেছি। চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দলমত নির্বিশেষে লাখো মানুষ অংশ নেয়। এটি মুসলিম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেয় এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করে।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান মৃত্যু এবং গায়েবানা জানাজা এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশে চিহ্নত হয়েছে। এ আন্দোলন দিয়ে প্রমাণ করা যায়, মৃত্যু এবং গায়েবানা জানাজা উভয়ই রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এটি শুধু একটি ধর্মীয় আচার বা ব্যক্তিগত শোক নয়, বরং এটি একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। এটি অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক শক্তিশালী প্রতীক। এ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ দেখিয়েছে যে তারা মৃত্যুর ভয়কে জয় করে ন্যায় ও স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ। এ আন্দোলন শুধুমাত্র বর্তমানের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকতে অনুপ্রাণিত করবে।
লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।