আলী আহমাদ মাবরুর

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনআকাক্সক্ষার কতটা প্রতিফলিত হচ্ছে তা নিয়ে এরই মধ্যে যথেষ্ট সংশয় দেখা দিয়েছে। বড়ো বড়ো দলগুলোর নেতৃবৃন্দের কথায় ও আচরণে সে সংশয় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব দলকে নিয়েই কমবেশি কিছু কথা বলার অবকাশও সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমার এ লেখাটি মূলত বিএনপিকে ঘিরে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত থাকার কারণে সাধারণ যে কোনো সমীকরণেই বলা হচ্ছে দেশের অপর বৃহত্তম দল বিএনপিই সামনের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে। কিন্তু ভিন্ন বাস্তবতাও রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে গণপরিসরের আলাপ-আলোচনায় গেলে বোঝা যায়, বিএনপির গতানুগতিক রাজনীতির ব্যাপারে অনেককেই হতাশ ও বিরক্ত হয়ে পড়ছেন। ক্রমবর্ধমান চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণ, প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে নানা ব্যক্তিকে হেয় করা এবং মেয়র পদকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের নামে জনসাধারণের ভোগান্তি তৈরি করে বিএনপির কিছুটা ইমেজ সংকটও তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে বেশ কিছু বিশ্লেষক এমনও আশংকা প্রকাশ করেছেন যে, বিএনপি হয়তো আওয়ামী লীগের পথেই হাঁটতে যাচ্ছে।

এ মাসের শুরুতে ঈদুল আজহার তিনদিন আগে দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ও বিএনপি আমলের বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ’ নামে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তখন থেকেই বিষয়টি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়ে যায়। মাহমুদুর রহমান ইতিহাসের অনেকগুলো অধ্যায়কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এবং একই পথ ও গন্তব্যে বাংলাদেশের রাজনীতি আবারও হাঁটছে মর্মে অভিমত প্রকাশ করেছেন। বিএনপিকে তিনি জনমতের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। অন্যদিকে বিএনপির ভারতঘেঁষা ইমেজও দলটির জন্য সংকট তৈরি করতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেছেন।

নানা ফোরাম ও ব্যক্তি থেকে এমনকী অধিকাংশ মিডিয়া থেকেই প্রচার করা হচ্ছে যে, বিএনপি বিশাল দল এবং আওয়ামী লীগ না থাকলে বিএনপির পরবর্তী নির্বাচনে আউটরাইট মেজরিটি নিয়ে বিজয়ী হবে। কিন্তু নিশ্চিতভাবে কী এরকম বলা যায়? এরকম ইমেজ তৈরির ভিত্তিটা আসলে কী? রাজনৈতিকভাবে সচেতন কিংবা দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয়- এ দু ধারার মানুষকে বাদ দিয়ে একদম সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে কি এরকম কোনো আভাস পাওয়া যায়?

ব্যক্তিগতভাবে আমার তা মনে হয়নি বরং সমাজের নানা পেশার মানুষ এবং বিভিন্ন মিডিয়া প্রতিবেদনের নীচে পাবলিক কমেন্ট সেকশন পাঠ করলে মনে হয়, বিএনপির ওপর সাধারণ মানুষ নানা ইস্যুতেই হতাশ ও বিরক্ত। সেদিন মেট্রোরেলে যাওয়ার সময়, নগর ভবন ঘেরাও করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের আন্দোলন, জরুরি সেবা কার্যক্রম ব্যতিরেকে অন্যান্য সাধারণ পরিষেবা বন্ধ এবং সবশেষ শপথ ছাড়াই ঈদের জামায়াতে মেয়রের দাবি নিয়ে অংশগ্রহণ ও ‘মাননীয় মেয়র’ পরিচয়ে বৈঠক পরিচালনা ও অন্যান্য ভূমিকা পালন নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করলাম। আর সর্বশেষ গত ১০ মাসে বিএনপির হাতে শতাধিক মানুষ হত্যার যে খতিয়ান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে, তা বিএনপির ব্যাপারে জনমনে আস্থা হ্রাসে ভূমিকা রাখবে তাতে কোনো সংশয় নেই।

ঐতিহাসিক কিছু বাস্তবতাও কিন্তু আছে। গত সাড়ে ১৫ বছর বিএনপির ওপর যে নির্যাতনগুলো হয়েছিল বিশেষ করে তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন, খালেদা জিয়াকে তার দীর্ঘদিনের আবাসস্থল ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু এবং গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে যেতে আওয়ামী লীগের অসহযোগিতার কারণে মানুষ বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষ সহানুভূতিশীল হয়েছিল। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী অসংখ্য মামলার ভিকটিম হয়ে পলাতক জীবন যাপন করেছিলেন, বিএনপি অফিস অবরুদ্ধ ছিল-এগুলো মানুষের স্মরণেও আছে আর এগুলোর জন্য মানুষ অসহায়ত্বের প্রতি দরদীও ছিল। কিন্তু এ ইতিহাস ভুলে গেলেও চলবে না যে, বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপকমাত্রায় অনাস্থা ছিল।

বিএনপির ঈদের পরের তীব্র আন্দোলনের ঘোষণা রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের বিষয়বস্তু ছিল এবং বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোতেও দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে কমতি ছিল। বিগত সাড়ে ১৫ বছর বিএনপির বিভিন্ন সময়ে করা আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা আর এর নেতানেত্রীদের বড়ো অংশের দায়সারা ভূমিকাও দলটির বড়ো সক্ষমতার বার্তাও দেয় না।

বিএনপিকে নিয়ে এভাবে লেখার যৌক্তিক কারণও রয়েছে। ৫ আগস্টের আগে বিএনপির কোনঠাসা অবস্থান আমাদের জানা ছিল। হুট করে এ দলটিকে সবদিক থেকে লাইমলাইটে নিয়ে আসার কারণে বেশ কিছু সংকট তৈরি হয়েছে বলেই আমার ধারণা। বিএনপির ক্ষেত্রে চাঁদাবাজিসহ আরো নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত হওয়ার যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তার নেপথ্যেও পরিকল্পিতভাবে তৈরি হওয়া বর্তমান হাইপকেই দায়ী করার সুযোগ রয়েছে। কেননা, প্রশাসন বা দলীয় নেতাকর্মী-উভয়ক্ষেত্রেই একটি বার্তা দেয়া হয়েছে যে, বিএনপি সামনের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসছে। এতে দলীয় নেতাকর্মীদের যেমন শৃংখলার ভেতর রাখা যাচ্ছে না, তেমনি তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেগুলোর তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের অভ্যন্তরেও দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে।

একদম টাটকা একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করার প্রয়োজন অনুভব করছি। সেদিন পারিবারিক একটি দাওয়াতে আমি নিজেই এমন অভিজ্ঞতার কথা জেনেছি। আমরা সবাই বিশেষ করে যারা শহরে থাকি তারা জানি যে, মূল পশুর হাটের বাইরে এলাকার বাজারের সামনে বা বিভিন্ন মোড়েও কিছু দরিদ্র খামারী পশু নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এসব স্থানে তারা গরু বিক্রি করেন না। ছাগল বা ভেড়ার মতো ছোট প্রাণীগুলোই এসব জায়গায় বিক্রি হয়। প্রতি বছর ঈদের দু’একদিন আগে সাধারণত এ খুচরো বেচাবিক্রিগুলো শুরু হয়। আর অনেক মানুষই আছেন যারা হাটের ঐ ভীড়ের মধ্যে না গিয়ে এলাকা থেকেই ছাগলগুলো কিনে নেন। এভাবে ক্রয় করার আরেকটি সুবিধা হলো, হাট থেকে গরু, ছাগল বা ভেড়া যাই কেনা হোক না কেন, তার একটি নির্ধারিত হাসিল ইজারাদারদের দিতে হয়। কিন্তু এলাকার রাস্তাঘাট বা বাজার থেকে কিনলে ঐ হাসিলটুকু আর দিতে হয় না। এটি ঢাকা শহরের দীর্ঘদিনের একটি প্র্যাকটিস। জাতীয় পার্টি, বিএনপি বা আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসন- কখনোই এর কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

অথচ এবার একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা শহরের অনেক এলাকাতেই বিএনপি নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে এলাকার এ পশুক্রেতাদের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীদের সাথে তাদের রীতিমতো বাগবিতন্ডাও হয়েছে। কখনো তারা একে বলছেন হাসিল, কখনো চাঁদা বা কখনো ঈদ সেলামি। বিভিন্ন নাম দিয়ে তারা এই অর্থ কালেকশনকে জায়েজ করার চেষ্টা করেছেন। দু’এক জায়গায় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে সেনাবাহিনীকেও খবর দিয়েছেন। সেনাবাহিনী আসার খবরে তারা সটকে পড়েন আবার কিছু সময় পর এসে জড়ো হন। এ ধরনের ঘটনাও সাধারণ মানুষকে ভীত ও শংকিত করেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই যদি এ অবস্থা হয় তাহলে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তারা কতটা বেপরওয়া হয়ে উঠবেন-এমন আশংকাও অনেকের মাঝে দেখা দিয়েছে।

বিএনপিকে নিয়ে এ হাইপ তোলার আরেকটি নেতিবাচক প্রভাবও আছে। রাজনৈতিক সমীকরণেও এর প্রভাব পড়ে। অনেক দলই বিএনপি কেন্দ্রিক এ প্রচারণায় আস্থা রেখে সে আলোকে সমীকরণ তৈরি করছে, জোট গড়ার চিন্তা করছে, কর্মকৌশল প্রনয়ণ করছে। রাজনীতি খুবই ক্রিটিকাল ও ঝুঁকিপূর্ণ একটি বিষয়। এখানে একবার কোনো সমীকরণ বা হিসেবে ভুল হয়ে গেলে তার খেসারত বহুভাবে বছরের পর বছর দিতে হয়। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা মূলধারার মিডিয়া-যেখানেই হাইপ তোলা হোক না কেন-এর বস্তুনিষ্ঠতা নিরুপণ করা জরুরি। যদিও কাঠামোগতভাবে আমাদের বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষন করার চর্চা সেভাবে না থাকায় নানা ধরনের জটিলতার মাঝেও রাজনৈতিক দলগুলোকে পড়তে হয়।

সত্যি কথা হলো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সময় ও সুযোগের বড় অভাব নেই, আগেও ছিল না। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগানোর দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞার সংকট ছিল এবং এখনো আছেÑবিশেষ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, জনমনে পরিবর্তনের প্রত্যাশা, এবং ২০২৪ সালের ছাত্র ও তরুণ নেতৃত্বের সাহসী ভূমিকার পটভূমিতে বিএনপির সামনে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বৃহত্তম দল বিএনপি এ সুযোগে পুরনো ধারায় ফিরে গিয়ে এক ধরনের আত্মঘাতী রাজনীতির পথে হাঁটছে, যা একসময় আওয়ামী লীগও করেছিল।

বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো এখনও দুর্বল ও অগোছালো। দলটি বহুদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় মাঠপর্যায়ের নেতৃত্বে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। দলের সিনিয়র নেতারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে একমত হতে পারছেন না, আবার নতুন প্রজন্মকে গ্রহণ করতেও দ্বিধাগ্রস্ত। ফলে ছাত্র ও তরুণদের উদ্দীপনা কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। আওয়ামী লীগও ২০০১ সালের পর নতুন প্রজন্মকে দলে জায়গা না দিয়ে ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। বিএনপিতেও এরকম দাবি উঠেছে যদিও সে দাবি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিএনপিতে যখন কোনো নেতার সামনে বড়ো পদে আসার সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হয়, তখন পুরনো ব্যক্তিকে কোনঠাসা করার একটি প্রবণতা বরাবরই লক্ষণীয়। তাছাড়া বিভিন্ন পকেট থেকেও নেতৃত্ব নির্ধারনের একটি বিষয় আছে। এগুলো দলের অভ্যন্তরে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে।

এ অভিযোগ আছে যে, বিগত সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনে যারা রাজপথে ছিলেন, বারবার কারাবরণ করেছেন কিংবা ২০২৪ সালের ছাত্র-আন্দোলনের সময় যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের অনেকেই আজ উপেক্ষিত। একটি সময়ে বিগত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তাকেও জবাবদিহিতা ও বিচারের আওতায় আনার দাবি তোলা হয়েছিল। সেগুলোর কোনো সুরাহা হয়নি। এ আচরণ আওয়ামী লীগের ২০০৮ পরবর্তী সময়ের সঙ্গে তুলনীয়, যখন শেখ হাসিনা নিজের দলের ভেতর শুদ্ধি অভিযান না চালিয়ে কেবল প্রতিপক্ষকে দমন করাই অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।

বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা অস্পষ্ট ও জনগণের কাছে প্রণিধানযোগ্য নয়। তারা বারবার ক্ষমতায় যাওয়ার আকাক্সক্ষা প্রকাশ করে। কিন্তু নির্বাচিত হয়ে তারা কী করবে, কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে, কোন্ নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র ও সমাজ গঠিত হবেÑতা’ জনগণের কাছে যথার্থ নয়। সংস্কারের অনেক দাবির সাথেই তারা একমত হতে পারেননি এবং এ সংক্রান্ত খবর প্রতিদিনই মিডিয়ায় আসছে। অথচ এগুলো জনগণের দাবি ছিল। অনেক ক্ষেত্রেই বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় যে, বিপ্লব পরবর্তী সরকারকে এক ধরনের কোনঠাসা করে তারা নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছেন। এ ধরনের আচরণ জনসম্মুখে দেখা দিলে তাতে করে সংশ্লিষ্ট দলের ব্যাপারে জনগণের আস্থা কমে যায়।

মূলত বিএনপির সামনে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার বিরাট সুযোগ ছিল। তারা চাইলেই নতুন নেতৃত্ব, স্বচ্ছ বিচারব্যবস্থা, স্পষ্ট জাতীয় নীতি, এবং গঠনমূলক বিরোধী রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারত। কিন্তু তারা সে পরিবর্তনের পরিবর্তে সেকেলে রাজনৈতিক ট্রেন্ডকেই নতুন মোড়কে ফিরিয়ে আনছে বলে এখনো পর্যন্ত প্রতীয়মাণ হচ্ছে। যদি এ পথ থেকে বিএনপি চটজলদি ফিরে এসে সংশোধিত না হয় তাহলে দলটির সাথে জনগণের দুরত্ব আরো বেড়ে যেতে পারে। যদি বিএনপি সত্যিই জনগণের প্রিয়ভাজন হয়ে উঠতে চায় তাহলে দলটিকে আওয়ামী লীগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। সময় কিন্তু হাতে খুব বেশি নেই।