গত সপ্তাহটি ছিলো বিশ্বের জন্য একটি ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ সময়। আর সে সময়টাতে খবরের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তারই মধ্যস্থতায় চারদিন চলার পর পাক-ভারত যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধ না হলেও নেতানিয়াহুকে কঠিন বার্তা দিয়েছেন তিনি এ রকমই খবর। দু’পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া ছিল খুবই খারাপ ইঙ্গিত। কেউ কেউ এ থেকে বড় বিপর্যয় সৃষ্টির আভাস দিয়েছিলেন। যা হোক ট্রাম্পের আহ্বানে উভয় পক্ষ সাড়া দিয়েছে। যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। সে প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যপাচ্য সফর করছেন।

এ যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ভূমিকাটি ও কিছু তথ্য দিয়ে আমরা সফরের তাৎপর্য নিয়ে কথা বলব। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত সশস্ত্র সংঘাত যা ৭ মে শুরু হয় ভারত-পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর মাধ্যমে। ভারত বলেছে যে, এ অভিযানটি ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরে জঙ্গীদের দ্বারা পরিচালিত পেহেলগাম হামলার প্রতিক্রিয়া ছিল, যেখানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল। মধ্যরাতের এ হামলা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। এ হামলার পরে, দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ এবং ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। ১০ মে পাকিস্তান অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস নামে একটি প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু হয়। ভারতের সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক হামলা হিন্দু ধর্মীয় স্থানসহ বেসামরিক এলাকাগুলোকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল। প্রতিশোধ হিসেবে, ভারতও অপারেশন সিন্দুর অব্যাহত রাখে। এ সংঘর্ষ দুটি দেশের মধ্যে প্রথম ড্রোন যুদ্ধের সূচনা করে। ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই ঘোষণা করে যে, তাদের উভয় ডিজিএমও-র মধ্যে হটলাইন যোগাযোগের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে,যা ১০ মে বিকাল ৫:০০ টায় কার্যকর হয়।

বিবিসি বলেছে, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ বিতর্কে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা অনেক দশক ধরেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটা নিষিদ্ধ বিষয় বা ট্যাবু হয়ে থেকেছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভারতের একটা অতি স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি তো অভিনব পথে কূটনীতির জন্য পরিচিতই। শনিবার তিনি সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা দেন যে, চার দিন ধরে সীমান্ত সংঘর্ষ চালানোর পরে ভারত আর পাকিস্তান মার্কিন মধ্যস্থতায় “সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি”তে রাজি হয়েছে। পরে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, “কাশ্মীর নিয়ে হাজার পরে হলেও কোনও সমাধানে পৌঁছনো যায় কী না তা দেখতে আমি আপনাদের দুই পক্ষের সঙ্গেই একযোগে কাজ করব।” কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কটা সেই ১৯৪৭ এ শুরু, যখন ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত স্বাধীনতা পায় আর দেশভাগ হয়ে পাকিস্তান তৈরি হয়। মার্কিন মধ্যস্থতাকারীদের হস্তক্ষেপ এবং পর্দার আড়ালে কূটনৈতিক আলোচনা দিয়ে যখন বড় সংঘাত এড়ানো গেল, তখনই মি. ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিল্লিকে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব শ্যাম সরণ বলেন, স্বাভাবিকভাবেই এ প্রস্তাবটিকে ভারত স্বাগত জানাবে না। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া এবং বৃহত্তর অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার ওপরে দীর্ঘ সময় ধরে যে বিষয়টি গুরুতর প্রভাব ফেলছে, সে জম্মু-কাশ্মীরের বিতর্ক সমাধানে সহায়তা করার যে ইচ্ছা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ করেছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই।

ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ভারত ফিরিয়ে দিলেও বিষয়টি আবার উঠে এল, এটাই ট্রাম্পের কারিশমা বলে মনে করেন কেউ কেউ। ঐতিহাসিকভাবে, ভারত যে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরোধিতা করে এসেছে। এর পিছনে দু’দেশের মধ্যে ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির শর্ত দেখিয়ে থাকে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেয়নি। তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত বরাবরই সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ও আপসহীন অবস্থান বজায় রেখেছে। এ অবস্থান অব্যাহত থাকবে।” এ মন্তব্য থেকে এরকম একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ভারত খুব তাড়াতাড়ি হয়তো সরাসরি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করবে না।

ইসলামাবাদের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ইমতিয়াজ গুল বলেন, দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা নেই বলেই পাকিস্তান সবসময় কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চেয়ে এসেছে। এখন একটি পরাশক্তি নিজে থেকেই উদ্যোগ নিয়েছে। পাকিস্তান এটাকে নৈতিক জয় হিসেবেই দেখবে। হয়তো সহসাই বিষয়টির ফলো আপ পাওয়া যাবে না, কিন্তু এ ঘটনাকে তাৎপর্যহীন মনে করার কারণ নেই বলে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

আবার ফিরি ট্রাম্পের সফর প্রসঙ্গে। বার্তা সংস্থার খবর, উপসাগরীয় অঞ্চলে চার দিনের সফরে মঙ্গলবার সৌদি আরবে পৌঁছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সফরের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বাণিজ্যিক চুক্তি সই। সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে যোগ দেন তিনি। এরপর কাতারে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করার কথা।

ট্রাম্প তার প্রথম বিদেশ সফরে কেন সৌদি আরব সফরকে বেছে নিলেন সে নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে বিভিন্ন কথা রয়েছে। এর মোদ্দা কথাটা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে উপসাগরীয় অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে যে গুরুত্বপূর্ণ,তা তাঁর এ সফরের মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হলো। পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ট্রাম্প সম্প্রতি রোমে গিয়েছিলেন, তা পূর্বনির্ধারিত ছিল না। তাই সৌদি আরবের মাধ্যমেই দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট মেয়াদে তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক বিদেশ সফর শুরু হলো বলে বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে। ইতিহাস বলছে, ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেও প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নিয়েছিলেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক সময়ের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টদের প্রচলিত রীতির ব্যতিক্রম। দেশটির আধুনিককালের প্রেসিডেন্টরা প্রথম বিদেশ সফরের জন্য সাধারণত যুক্তরাজ্য, কানাডা কিংবা মেক্সিকোকে বেছে নেন। যাই হোক সফরের পেছনে প্রধান কারণ বাণিজ্য চুক্তি, এ বিয়য়ে কারো মধ্যেই দ্বিমত নেই।

আমেরিকা-সৌদি সম্পর্কটি কেমন? ১৯৩৩ সালে পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে সৌদি আরব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শুরু হয়। ১৯৫১ সালের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহায়তা চুক্তির আওতায় এই সম্পর্কগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে রূপায়িত হয়েছিল। দু’দেশের মধ্যে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও-একটি ইসলামিক নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র বনাম একটি ধর্মনিরপেক্ষ সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র- উভয় দেশ তখন থেকেই মিত্র। ১৯৪৫ সালে আধুনিক সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর থেকে, যতক্ষণ পর্যন্ত তেল উৎপাদন বজায় রেখেছিল এবং আমেরিকান জাতীয় নিরাপত্তা নীতিগুলোকে সমর্থন করেছিল, ততক্ষণ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাজ্যের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতির কিছু দিক উপেক্ষা করতে ইচ্ছুক ছিল। ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণের পর, জোট আরও গভীর হয়, কারণ উভয় দেশ ১৯৮০-এর দশকে আফগান প্রতিরোধ মিলিশিয়াদের যৌথভাবে সমর্থন করেছিল। উপসাগরীয় যুদ্ধ (১৯৯০-১৯৯১) সম্পর্কের এক উচ্চ বিন্দু চিহ্নিত করে যখন উভয় দেশ এবং যুক্তরাজ্য কুয়েতে ইরাকি আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় যৌথভাবে একটি আন্তর্জাতিক সামরিক জোটের নেতৃত্ব দেয়। তবে কিছু মতবিরোধও দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসরাইল প্রসঙ্গ, ১৯৭৩ সালের তেল নিষেধাজ্ঞা, ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আক্রমণ এবং ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর সৌদি প্রভাব। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষ করে বারাক ওবামা প্রশাসনের পর থেকে, সম্পর্ক টানাপোড়েনপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্তাদের সৌদি আরব সফরের মাধ্যমে সৌদি-মার্কিন সম্পর্ক আবার জোরদার হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে, তুরস্কের একটি সৌদি কনস্যুলেটে সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী এবং ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়। এটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ভাঙন সৃষ্টি করে এবং দুই দেশের মধ্যে গুরুতর ফাটল তৈরি করে। নতুন মেয়াদে ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর সম্পর্ক আবার জোরদারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সাক্ষরের মধ্য দিয়ে তা প্রস্ফুটিত হচ্ছে।

যা জানা যাচ্ছে, গত জানুয়ারিতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষণা করেছিলেন, আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে সৌদি আরব। তবে ট্রাম্পের প্রত্যাশা, এ অঙ্ক বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২১ লাখ ৫২০ হাজার কোটি টাকা)। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার এবারের সফরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে নতুন বিনিয়োগ বিশেষ করে তাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌম সম্পদ তহবিল থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এটি তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি। তবে সম্প্রতি ট্রাম্প যে নতুন নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করেছেন তা বৈশ্বিক বাণিজ্য, আস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য বাধা সৃষ্টি করছে। এই সফরে অন্তত তিনটি আরব ধনী দেশের সঙ্গে তার আলোচনার ফলে সেই বাধা কিছুটা কাটতে পারে।

রিয়াদের সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ ফোরামের বৈঠকটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এতে নামিদামি কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারাও রয়েছেন। ওয়াল স্ট্রিট ও সিলিকন ভ্যালি থেকে সৌদি আরবে বিনিয়োগের বিষয়টিতেও দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে ট্রাম্প উপসাগরীয় অঞ্চলের নেতাদের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এই লেখা যে দিন প্রকাশিত হবে, শুক্রবার আরব আমিরাত সফরের মাধ্যমে তার চারদিনের সফর শেষ হবে। (সূত্র: বিবিসি)

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের ৬০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, যা আগামী কয়েক মাসে এক ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৩ মে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদ সফরে গেলে তার উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সৌদি যুবরাজ। এ সময় নিজের বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অসাধারণ মানুষ। সৌদি আরব একটি মহান জায়গা। অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের ‘গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক’ রয়েছে এবং সেই অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতেই তারা বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন,যৌথ বিনিয়োগ আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের যৌথ তৎপরতা শুধু অর্থনীতিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং এটি সম্প্রসারিত হবে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য।