বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গা ছমছমে অধ্যায়ের নাম ‘গুম’। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনকাল-২০০৯ থেকে ২০২৪ সময়ে সহস্রাধিক মানুষ গুম হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রকৃত সংখ্যাটা আজও নিরুপণ করা যায়নি। কারণ আওয়ামী লীগের পতন হলেও অনেক ভিকটিম পরিবার এখনো তাদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া আপনজনদের ফিরে পায়নি। অপহৃত কিছু মানুষের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বর্ননা এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির জবানবন্দিতেও উঠে এসেছে।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলেও মানবাধিকার সংস্থা, ভুক্তভোগীদের পরিবার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্ট বারবার গুমের অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা তা স্বীকার করেননি। ‘উল্টো পরিবারই তাদের লুকিয়ে রেখেছে’ বলে পরিহাস করেছে। যারা ফ্যাসিবাদী আমলে গুমের শিকার হয়েছিলেন তাদের অধিকাংশই বিরোধী মতের মানুষ, রাজনীতিক, সাংবাদিক, ছাত্রনেতা বা সমাজের প্রান্তিক শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর কিংবা বিভিন্ন সময়ে অনেকে ফিরে এলেও তাদের জীবন আর আগের মতো হয়নি। ফিরে আসা মানেই যে স্বস্তিÑতা নয়; বরং গুম থেকে ফেরত আসার পর তাদের জীবনে শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার এক অন্তহীন লড়াই।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। তবে গুমকে নিয়মিত ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থাকে ব্যবহার করে একটি প্রতিষ্ঠিত কার্যক্রমে পরিণত করা হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী শাসনামলে বহু মানুষ গুম হয়েছেন। অনেকে আজও নিখোঁজ, অনেকে ফিরে এসেছেন ধীরে ধীরে, আবার অনেকের লাশ মিলেছে নদীর ঘাটে, রাস্তায়, অথবা অচেনা কোনো বেওয়ারিশ কবরস্থানে। যারা ফিরে এসেছেন, তাদের জীবনে এখনো পূর্ণস্বস্তি মেলেনি। বেদনাদায়ক হলেও সত্য অনেকের ক্ষেত্রেই এ ফিরে আসা বরং নিঃশ্বাসরুদ্ধ যন্ত্রণার নতুন এক যাত্রার সূচনা করেছে।
নিখোঁজ হওয়ার শিকারদের বড় অংশই দরিদ্র, প্রান্তিক, শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ। তাদের মধ্যে কেউ ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক, কেউ দিনমজুর, কেউ অটোরিকশা চালক, আবার কেউবা সামান্য রাজনৈতিক কর্মী। অধিকাংশেরই রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও, তা মূলত স্থানীয় পর্যায়ে। জাতীয় রাজনীতির পটভূমিতে তারা ছিলেন অনুজ্জ্বল, অথচ নির্যাতনের সময় তারাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন। গুম হওয়ার পর অধিকাংশ ভিকটিম পরিবারেই নেমে এসেছিল ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয়। সংসারে উপার্জনক্ষম মানুষটি না থাকায় ন্যায়বিচারের দাবি তোলার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা, পরিচিতি, সাহস কোনোটাই এ পরিবারগুলোর ছিল না।
বছর কয়েক পর যখন ভিকটিমেরা ফিরে এলেন তারপর থেকে তাদের জীবনের কাহিনী যেন আরও বেশি বিষাদময় হয়ে উঠলো। সমাজ, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব কেউই তাদের আর আপন করে নেয় না। তারা হয়ে ওঠেন একেকটি চলমান আতঙ্কের প্রতিচ্ছবিÑযার জীবনে কখনো হানা দেয় পুনরায় নিখোঁজ হওয়ার ভয়। মুক্ত হওয়ার পরও তাদের জন্য কাজ পাওয়া দুষ্কর। তাদের প্রতি সহানুভূতি থাকলেও অনেকে তাদের কাজে নিতে চান না। কারণ নিয়োগকর্তাদের আশংকা এ ধরনের ব্যক্তিকে কাজ দিলে আবার রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তারা সংকটে পড়ে যাবেন। ফলশ্রুতিতে একসময় যে মানুষগুলো পরিবার চালাতেন, তারা আজ নিজের চিকিৎসা করাতে অক্ষম, সন্তানের স্কুল ফি দিতে অপারগ, অথবা আত্মসম্মানের কারণে কারও কাছে হাত পাততেও লজ্জা পান।
তবে সকল ভিকটিমের জীবন সমানভাবে দুঃখে ভরা নয়। কিছু নিখোঁজ ব্যক্তি ছিলেন সমাজের উচ্চ শ্রেণিতে। তাদের মধ্যে কেউ বড় ব্যবসায়ী, কেউবা উচ্চমধ্যবিত্ত পেশাজীবী, কেউ রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তারা গুমের অন্ধকার সময় থেকে ফিরেও কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পেরেছেন। কোনো কোনো ভিকটিম বর্তমানে রাজনৈতিক দলে সক্রিয় হয়েছেন, মিডিয়াতে উপস্থিত থাকছেন, টক শোতে অংশগ্রহণ করছেন অথবা মানবাধিকার সংগঠনে কাজ করছেন। কিন্তু এ দৃশ্যপট খুবই সমগ্র নিখোঁজদের তালিকার এক ক্ষুদ্র অংশ। বাকিদের জীবনে নেই পুনর্বাসন, নেই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ন্যূনতম সুযোগ।
ফিরে আসার পর ভিকটিমরা যে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন, তা আমাদের জাতীয় ব্যর্থতার নিদর্শন। অনেকেই জানেন না, আবারও তাদের কখনো তুলে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা। এমন ভয়, উদ্বেগ আর আতঙ্ক তাদের প্রতিটি নিঃশ্বাসে সঙ্গী হয়ে আছে। বর্তমানে শেখ হাসিনার শাসনামলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিচারকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক রাখার স্বার্থে ট্রাইবুনালের কার্যক্রম লাইভ সম্প্রচার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে- যা সত্যিই প্রশংসনীয়। কিন্তু এক্ষেত্রেও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বড়ো একটি উদ্বেগের কারণ। আদালতে গুমের ভিকটিমেরা যদি সাক্ষ্য দেন, আর সে ছবি সম্প্রচারে চলে যায়, তাহলে তাদের পরিচয় উন্মোচিত হবে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরলে বা আওয়ামী মতাদর্শে বিশ্বাসী কেউ তাদের শত্রু মনে করলেও যে কোনো সময় হুমকির শিকার হতে পারেন। তাদের মনে প্রশ্ন ও আতংক- ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দেয়ার পরে তাদের নিরাপত্তা কে দেবে? আইন অনুযায়ী ভিকটিমদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়Ñকিছু পরিচিত, মিডিয়ায় আলোচিত নাম ছাড়া বাকিদের কোনো নিরাপত্তা নেই। বরং অনেক ভিকটিমই জানিয়েছেন, “বাড়িতে সাংবাদিক গেলে বা এনজিওর কেউ খোঁজ নিতে এলে পুলিশই হুমকি দেয়, যেন আমরা চুপ থাকি।”
সমাজও তাদের গ্রহণ করতে চায় না। বাড়িভাড়া দিতে চায় না অনেক বাড়িওয়ালা। কারণ তারা আশঙ্কা করেন, “নিখোঁজ থাকা লোক যদি আবার কোনো ঝামেলায় পড়ে, বা সরকার বদলে গেলে আবার আওয়ামী লীগ ফিরে আসে, তাহলে বাড়িওয়ালারও বিপদ হতে পারে।” এক ভুক্তভোগীর স্ত্রীর ভাষায়Ñ“আমার স্বামী ফিরে এসেছেন, অথচ কেউ আমাদের বাড়িতে ভাড়া দিতে চায় না। সন্তানকে ভর্তি করতে গিয়েও স্কুলে বলা হয়েছেÑএ ছেলেকে নিলে পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে।” এমনকি আত্মীয়রাও দূরত্ব তৈরি করেছে। অনেকেই বলেছেন, আত্মীয়স্বজন বাড়িতে আসা বন্ধ করে দিয়েছে, কোনো অনুষ্ঠানেও ডাকেন না। বরং কেউ কেউ চুপিচুপি বলেন, “ওদের পরিবারে নানা ঝামেলা, বরং দূরে থাকাই শ্রেয়।” সামাজিক হেয় প্রতিপন্নতা ও বৈষম্য গুম ও অপহরণের শিকার ভিকটিমদের জন্য এক অদৃশ্য কারাগারের শেকল হয়ে আছে।
রাষ্ট্র এখনো পর্যন্ত কোনো বিশেষ তহবিল গঠন করেনি গুমের শিকার পরিবারগুলোর জন্য। জুলাই ফাউন্ডেশনসহ নানা প্লাটফর্ম জুলাই বিপ্লবের নিহত ও আহত এবং তাদের পরিবারের জন্য কিছুটা সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে ফ্যাসিবাদী আমলে যারা গুম ও অপহরণের যারা শিকার হয়েছিলেন তাদের জন্য এখনো পর্যন্ত নেই দৃশ্যমান কোনো পুনর্বাসন পরিকল্পনা, নেই চিকিৎসা বা কাউন্সেলিং সেবা। আন্তর্জাতিকভাবে গুমকে একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলেও, বাংলাদেশে এ অপরাধকে অনেক সময় “রাজনৈতিক অনুশাসন” হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ফলে ভিকটিমদের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা, সরকারি সহায়তা কিংবা মানসিক পুনর্গঠন- কোনো কিছু নিয়েই কাজ করা হয়নি। অন্তর্বতীকালীন সরকার বরাবরই মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা বলছে। বিচার শুরু হয়েছে, ট্রাইব্যুনালও কাজ করছে। এরই মধ্যে জুলাই বিপ্লবের পর এক বছর সময়ও অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু যারা নিখোঁজ ছিলেন, নির্যাতিত হয়েছেন, যারা ফিরে এসেছেন অথচ বাঁচার মতো জীবন পাননিÑতাদের জীবনের পুনর্গঠনের জন্য বাস্তবসম্মত কোনো পরিকল্পনা এখনো চোখে পড়েনি।
আমরা যদি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চাই, তাহলে আমাদের এ ইতিহাসকে সামনে আনতেই হবে। ভিকটিমদের মুখে মুখে ছড়িয়ে থাকা যন্ত্রণার কাহিনিগুলোকে দলিলবদ্ধ করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, দিতে হবে চাকরি, চিকিৎসা, বাসস্থান ও সম্মান। একজন ভিকটিমের স্ত্রী বলেছিলেনÑ“আমি চাই না কেউ গুম হোক। আমি চাই সরকার আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরত নিক। আমাদের সন্তান যেন গর্ব করে বলতে পারেÑআমার বাবা নির্দোষ ছিলেন।” এই প্রত্যাশা কোনো বিলাসিতা নয়Ñএটি একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে নাগরিকদের মৌলিক প্রত্যাশা।
বাংলাদেশে গুমের শিকার মানুষদের জীবন যেমন রাষ্ট্রীয় উদাসীনতায় বিপর্যস্ত, তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেও তাদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে আওয়ামী বলয়ের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোÑযারা গুমের ভিকটিমদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে সম্পর্কিতÑতাদেরও তেমন কোনো নিরবচ্ছিন্ন কর্মসূচি বা সুনির্দিষ্ট দাবি দেখা যায়নি। যেভাবে তারা নিয়মিতভাবে ‘জুলাই বিপ্লব’ কিংবা গণঅভ্যুত্থানে নিহত কর্মীদের স্মরণে সভা-সমাবেশ, আলোচনা সভা, মানববন্ধন আয়োজন করে থাকেন, বিভিন্ন আয়োজনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের কথা বলার সুযোগ দেন; সে তুলনায় গুম হয়ে ফিরে আসা মানুষের জীবনসংগ্রাম ও নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধারাবাহিক কর্মসূচি বা আন্দোলন গড়ে তোলার রাজনৈতিক প্রয়াস এখনো চোখে পড়েনি।
অথচ গুম ও অপহরণের ভিকটিমরা ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। আফসোসের ব্যাপার হলো, মুক্ত জীবনে ফিরে আসার পরও ভিকটিমদের অনেকেই এখনো অজানা সব আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ আর্থিক ও সামাজিকভাবে এতটা বিপর্যস্ত যে পরিবার টিকিয়ে রাখাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি গুম ভিকটিমদের নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি নিয়ে আরও সক্রিয় হতোÑতাহলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে নতুন মাত্রা পেত। এতে শুধু তাদের প্রতি সুবিচারই নিশ্চিত হতো না, বরং ভবিষ্যতে গুমের রাজনীতি বন্ধ করতে একটি কার্যকর সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে উঠতো। এ নীরবতা তাই শুধু রাজনৈতিক দায় নয়, এটি এক ধরনের নৈতিক ব্যর্থতাও।
গুম বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি ভয়াবহ কালিমালিপ্ত অধ্যায়। গুম শুধু নিখোঁজ হওয়া নয়Ñএটি একটি মানুষের অস্তিত্ব মুছে দেওয়ার নাম। আর এ অস্তিত্বহীনতা থেকে ফিরে আসা মানুষদের জন্য যদি রাষ্ট্র স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথ তৈরি করতে না পারে, তাহলে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। গুমের ভুক্তভোগীরা ইতিহাসের নীরব শহীদ। গুমের ভিকটিমদের শুধু ফিরিয়ে আনা নয়Ñতাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে পূর্ণাঙ্গভাবে পুনর্বাসনের দায় আমাদের সবার। রাষ্ট্র, সমাজ, রাজনৈতিক দল, বেসরকারি সংস্থাÑপ্রত্যেকটি অংশের সম্মিলিত দায়িত্ব হলো এ মানুষগুলোর হারানো অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া।
তারা শুধু নিপীড়নের শিকার নন, তারা এক কালো অধ্যায়ের জীবন্ত স্বাক্ষী। এ করুণ ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও তুলে ধরা জরুরি, যেন তারা জানে, একসময় এ ভূখণ্ডে একদল ফ্যাসিবাদী শাসক কেবল ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নিজ দেশের নাগরিকদের গুম করেছিল, গলা টিপে ধরেছিল মতপ্রকাশের অধিকার, এবং ধ্বংস করেছিল ন্যায়ের বুনিয়াদ। আজকের প্রজন্মকে জানাতে হবেÑগণতন্ত্রের নামে বাংলাদেশে কীভাবে একদলীয় কর্তৃত্ববাদ চর্চা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজনৈতিক অস্ত্রে রূপান্তর করে কীভাবে ভিন্নমতের মানুষদের নিঃশব্দে নিধন করা হয়েছে। এ ভয়াবহ সব সত্য সামনে আসলে ভবিষ্যতে কেউ আর এই ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করার সাহস পাবে না। গুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম তাই শুধু ন্যায়ের জন্য নয়, এটি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য স্বৈরতন্ত্র রোধ করার জন্যও একটি অপরিহার্য প্রয়াস।