বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিককালে পিআর বা Proportional representation তথা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে হয়। একটি বড় রাজনৈতিক দল এ পদ্ধতি সম্পর্কে নিজেদের অজ্ঞতা প্রকাশ করে যারা এ পদ্ধতি অনুসরণের সুপারিশ করছেন তাদেরকে পতিত ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবার জন্য দোষারোপ করছেন। এ প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে এ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।
রাষ্ট্র পরিচালনা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সভ্য দুনিয়ার প্রায় দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে একটি টেকসই পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক হিসেবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনকে গণ্য করা হয়। কালপরিক্রমায় এ পদ্ধতি অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। এ অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন দিয়েই আলোচনা শুরু করতে চাই।
পাঠকের অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার দল রিপাবলিকান পার্টির আচরণকে অপ্রত্যাশিত ও অভূতপূর্ব বলে উল্লেখ করেছিলেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেছিলেন যে, ট্রাম্প নির্বাচনী রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং সন্ত্রাস, সংঘর্ষ ও সংঘাতের মাধ্যমে এ রায়কে উল্টিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। বলা বাহুল্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১২২২ জন প্রার্থী সে দেশের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে আবেদনপত্র পেশ করেছিলেন। তাদের মধ্য থেকে সম্ভাবনাময় দু’জন প্রার্থী রিপাবলিকান দলের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জোসেফ বাইডেনকে কমিশন প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। তবে এখানে জনগণের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয় না। জনগণ ভোট দিয়ে একটি নির্বাচনী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। যে প্রার্থী নির্বাচনী কলেজে বেশি ভোট পান তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন। কিন্তু সবসময় যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পান সে প্রার্থী নির্বাচনী কলেজে সবচেয়ে বেশি ভোট নাও পেতে পারেন।
২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প মোট পপুলার ভোট পেয়েছিলেন ৬.২৯,৭৯,৬৩৬ টি যা হিলারী ক্লিনটন থেকে ২৮,৬৪,৯৭৪ ভোট কম ছিল। পপুলার ভোটে হেরে গেলেও নির্বাচনী কলেজ ভোটে ট্রাম্প জয়ী হয়েছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ৩০৬ ভোট, পক্ষান্তরে হিলারী পেয়েছিলেন ২৩২ ভোট। অনুরূপভাবে জর্জ বুশ ২০০০ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী আল গোরকে নির্বাচনী কলেজ ভোটে পরাজিত করেন। ১৮২৪ সালের নির্বাচনে জন কুইন্স এডামস জনগণের ভোটে এন্ডারজেকশনের কাছে ৩৮ হাজার বেশি ভোটে হেরে যান, কিন্তু নির্বাচনী কলেজ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৮৭৬ এবং ১৮৮৮ সালের নির্বাচনেও অনুরূপ ঘটনা ঘটে।
২০২০ সালের নির্বাচনে শুধু নির্বাচনী কলেজ ভোটেই ডোনাল্ড ট্রাম্প হারেননি, তিনি পপুলার ভোটেও হেরেছেন। ট্রাম্প পপুলার ভোট পেয়েছেন ৭,৪২,২২,৫৯৩টি অন্যদিকে বিজয়ী প্রার্থী জো বাইডেন পেয়েছেন ৮,১২,৮১,৫০২ ভোট। অর্থাৎ ৭০,৫৯,০০৯ ভোট বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ভোটের প্রতিনিধিত্ব সম্পন্ন নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু আছে। আমাদের দেশেও এ ধরনের ব্যবস্থা প্রচলিত। বক্ষমাণ আলোচনায় আমি এ ব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং প্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থার সুফল নিয়ে কিছু আলোচনা করবো এবং আমাদের দেশে এ ব্যবস্থা প্রচলনের সম্ভাব্যতা নিয়ে আরো আলোচনার আহ্বান জানাবো।
যত দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হয় সব দেশেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে খ্যাতনামা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সংগঠক, ইসলামী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মরহুম অধ্যাপক গোলাম আজম দুটি নির্বাচন পদ্ধতির সুপারিশ করেছিলেন। তার প্রথম পদ্ধতি ছিল কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি যা বাংলাদেশ সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এবং ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে এ পদ্ধতির ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি মজবুত ঐতিহ্য গড়ে উঠেছিল। ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয়ে এ পদ্ধতিটি বাতিল করে দেয়।
এর ফলে বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা পুনরায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এবং তা টাকার দাপট ও সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে দাঁড়ায়। ফলে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ না পেয়ে নির্বাচনের উপর থেকেই তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, যে দলই ক্ষমতায় থাকে সে দলই সরকারি ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে নিজেদের দলীয় প্রার্থীকে অন্যায়ভাবে বিজয়ী করার নানা অপচেষ্টা চালায়। ক্ষমতাসীন সরকারদলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করে এবং তারা দলীয় সরকারের সমর্থক দেখে দেখে রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগ করে যারা সরকারি কারচুপিকে ত্বরান্বিত করে। ভোট প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে জাল ভোট সংগ্রহ করে বিজয়ী হবার অপচেষ্টা চালায়। তারা সন্ত্রাসী জনবল ব্যবহার করে ভোট কেন্দ্র দখল করে এবং ব্যালট বাক্সে জাল ভোট ঢোকায়।
ভোটারদের আইডিনটিটি কার্ড না থাকলে এবং থাকলেও ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা না থাকায় আসল ভোটারের নামে নকল ভোটার ভোট চুরি করার সুযোগ পায়। ভোটপ্রার্থী বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় করে বিজয়ী হবার উদ্দেশ্যে গরিব ভোটারদের টাকার বিনিময়ে ভোট দিতে প্রলুব্ধ করে। আবার সন্ত্রাসীরাও এ ব্যাপারে বিপুল অংকের ঠিকাদারী নেয়। প্রার্থীরা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে প্রচারাভিযান চালিয়ে সাধারণ ভোটারদের ধাঁধার মধ্যে ফেলে দেয়। তাদের প্রচারাভিযানে প্রভাবিত হয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বিজয়ী হবার সম্ভাবনা আছে মনে করে এক শ্রেণীর ভোটার তাকে ভোট দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের জন্য এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, স্বাধীনতার অর্ধ-শতাব্দী পার হলেও দেশ এখনও পর্যন্ত একটি স্বীকৃত নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আশি ও নব্বই-এর দশকে সবগুলো প্রধান রাজনৈতিক দল বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, আওয়ামী লীগ, এরশাদের জাতীয় পার্টির স্বৈরতন্ত্র বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে একমত হলেও চারটি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এ ব্যবস্থা বাতিল করে নিন্দিত স্বৈরাচারী দল জাতীয় পার্টি ও বামপন্থীদের সাথে জোট করে গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে দেশবাসীকে নিদারুণ হতাশার মধ্যে নিক্ষেপ করে।
তারা এতোই ত্যাক্ত-বিরক্ত যে তারা নির্বাচনের নামই শুনতে চায় না। ফলে দেশ এখন রাজনীতিহীন হয়ে পড়েছে। স্বৈরতন্ত্র জেঁকে বসেছে, মানুষ অধিকারবিহীন, তার জানমাল, ইজ্জত কোনো কিছুরই নিরাপত্তা নেই। এ অবস্থায় দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনা অত্যাবশ্যক। চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে এ সুযোগ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
বলাবাহুল্য, বতমান বিশ্বে নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রধানত দু ধরনের প্রতিনিধিত্ব দেখা যায়। এক ধরনের প্রতিনিধিত্ব সবচেয়ে বেশি ভোটের প্রতিনিধিত্ব (Plurality Rule) নামে পরিচিত যা বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত আছে। দ্বিতীয় ব্যবস্থা হলো আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব। আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব হলে জয় শুধু একজন প্রার্থীরই হয় না, জয়ের ফলাফল ভোট প্রাপ্তির আনুপাতিক হারে বিভিন্ন দলের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। যদি জাতীয়ভাবে অনুপাত নির্ধারণ করা হয় তাহলে যে দল নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোট পাবে সে হারে সে দল সংসদে আসন পাবে। উদাহরণস্বরূপ ২০১৪ সালের ভারতের নির্বাচনের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। ভারতের প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে যে সর্বোচ্চ ভোট পায় সে নির্বাচিত হয়। এর ফলে এ নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে ৫১.৯ শতাংশ সংসদীয় আসন পাওয়া সম্ভব হয়েছে। যদি আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নির্ধারিত হতো তাহলে ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি ৩১ শতাংশ সংসদীয় আসন পেত অন্যান্য দল ২৫.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৪.৬ শতাংশ সংসদীয় আসনের পরিবর্তে ২৫.৭ শতাংশ আসনই পেত। এ প্রেক্ষিতে আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে ভোটারদের ইচ্ছা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়।
বিশ্বের বহু দেশে বিশেষ করে বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, ইসরাইল এবং জার্মানিতে আংশিকভাবে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু আছে। অধ্যাপক আযম এ ব্যবস্থার কতিপয় সুফলের বর্ণনা দিয়েছেন।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক পদ্ধতি অবলম্বন করলে রাজনীতিতে বিরাট গুণগত পরিবর্তন আসতে পারে। এক্ষেত্রে সকল রাজনৈতিক দল জনসমর্থন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে দেশ গড়ায় পরিকল্পনা রচনার প্রতিযোগিতায় লেগে যাবেন। কোনো নেতা বা নেত্রীকে দলের একমাত্র পুঁজি হিসেবে তুলে ধরার পরিবর্তে সকল দল দেশকে সবদিক থেকে উন্নত করার জন্য জনগণের নিকট বাস্তব কর্মসূচি নিয়ে হাজির হতে বাধ্য হবে।
রাজনীতির ময়দানে জ্ঞানী-গুণী নীতিবান নিঃস্বার্থ চিন্তাশীল মেধাবী ও চরিত্রবান ব্যক্তিগণ এগিয়ে আসবেন। রাজনৈতিক দলে জ্ঞানী-গুণীদের কদর বাড়বে। ধন-বল ও জনবলের ভিত্তিতে নমিনেশন দেয়ার কুপ্রথা দূর হবে। সংসদে প্রতিভাবান লোকদের সমাবেশ ঘটাবার জন্য রাজনৈতিক দলে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। জনগণের প্রতিনিধি হবার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও যারা রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে গণ্য করে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এলাকায় অর্থলগ্নি করতে যাকে এবং একদল মাস্তানকে নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে গড়ে তুলতে এমপি হবার সাধনায় লিপ্ত হয় তাদের উৎপাত সম্পর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। টাকা দিয়ে নমিনেশন কিনে অথবা দলকে কোটি কোটি টাকা ডোনেট করে এমপি হয়ে সরকারি অর্থ লোপাটও বন্ধ হবে।
দলকে ভোট দেয়ার পদ্ধতি চালু হলে কোনো ভোটারের ভোটই অর্থহীন হয় না। এক্ষেত্রে সকল দলেরই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকা বাঞ্ছনীয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে কোনো দল প্রচুর ভোট পাওয়া সত্ত্বেও ভোট সংখ্যার তুলনায় আসন অনেক কম পেতে পারে। ২০০১ সালের নির্বাচনে প্রায় ১৯৮ আসনে বিজয়ী বিএনপির কাছাকাছি ভোট পেয়েও আওয়ামী লীগ মাত্র ৫৯টি সংসদীয় আসনে জয়ী হয়েছিল।
তাদের প্রার্থীরা প্রচুর ভোট পেয়েও অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছে। দলকে ভোট দিলে প্রতি দল প্রাপ্ত মোট ভোট সংখ্যার অনুপাতে আসন লাভ করবে এবং ভোটারদের যথার্থ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। ব্যক্তিকে ভোট দিলে কিছু সংখ্যক ভোটার মনে করে যে, যার বিজয়ী হবার আশা থাকে ভোট দেয়াই ভালো যাতে আমার ভোটটা পচে না যায়। দলকে ভোট দিলে কারোর ভোটই পচার আশংকা থাকে না।
আনুপাতিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক ময়দানে দলীয় আদর্শ ও কর্মসূচির প্রতিযোগিতা চলবে। রাজনৈতিক দল জনগণকে আঞ্চলিকতা, গোষ্ঠীপ্রীতি ও ব্যক্তি পূজার পরিবর্তে দলীয় আদর্শের দিকে আহ্বান জানাবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে প্রতিযোগিতার সুযোগ না থাকায় পারস্পরিক বিদ্বেষ, অশালীন সমালোচনা ও সংঘর্ষের কোনো আশংকা থাকবে না। এতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ উন্নত হবে। দেশের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন।