॥ ড. মো. নূরুল আমিন ॥
॥ দ্বিতীয় কিস্তি ॥
নিবন্ধের প্রথম কিস্তিতে আমি তুরস্কের সানলি উরফা সম্পর্কে কিছু ঐতিহাসিক তথ্য পরিবেশন করতে গিয়ে অষ্টম শতাব্দীতে ইমাম গাজ্জালীর উস্তাদ হাররান কর্তৃক স্থাপিত বিশ্বের প্রাচীনতম হাররান বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখ করেছিলাম। এতে পাটকদের মধ্যে কেউ কেউ বিভ্রান্ত হতে পারেন। বলা বাহুল্য, প্রদেশটির প্রধান শহরেই হাররান বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে যা ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়টির ধ্বংসাবশেষ হাররানের মাজারের সন্নিকটে বিশাল একটি এলাকাজুড়ে অবস্থিত, যা পুরাতত্ত্ব সম্পদ হিসেবে তুর্কী সরকার ইউনেস্কোর সহযোগিতায় এখনো সংরক্ষণ করছেন। এখন মূল আলোচনায় ফিরে যাই।
আমরা ফিলিস্তিন সংকটের ওপর আহূত আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলনের বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। সম্মেলনের দুটি মূল সেশনের মুখ্য আলোচকের ভূমিকা আমাকেই পালন করতে হয়েছিল। ফিলিস্তিনের সাথে সারা বিশে^র মুসলমানদের নাড়ির সম্পর্ক চারটি কারণে। মসজিদে আল আকসা ফিলিস্তিনে অবস্থিত। এ মসজিদ মুসলমানদের প্রথম কেবলা। রাসূলুল্লাহ (সা.) এ আল আকসা মসজিদ থেকেই মেরাজ গমন করেছিলেন। ফিলিস্তিনের জেরুসালেমের পতন ঘটেছিল দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমরের আমলে মুসলিম জেনারেল খালিদ বিন ওয়ালিদের হাতে এবং তৎকালীন রোমান গীর্জার পাদ্রীরা এই শর্তে আত্মসমর্পণ ও নগরীর চাবি হস্তান্তরে রাজি হন যে, স্বয়ং খলিফাকে সেখানে হাজির থাকতে হবে। ৬৩৭ খৃস্টাব্দে খলিফা ওমর (রা.) উটের পিঠে করে জেরুসালেম রওনা দেন। সাথে ছিলেন তার খাদেম। তপ্ত মরুর রাস্তায় উটের রশি ধরে তারা পালাক্রমে গন্তব্যে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন। গন্তব্য তথা জেরুসালেম যখন পৌঁছলেন তখন অর্ধ দুনিয়ার শাসক আমীরুল মু’মেনীন ওমর (রা.)-এর পালা ছিল রশিদ টানার। তখন উটের পিঠে ছিলেন তার খাদেম। খৃস্টান পাদ্রীরা তাকেই খলিফা মনে করে বসলেন এবং পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আমীরুল মু’মেনীনের মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, ইসলামী শাসনের অধীনে গেলে জেরুসালেমের খৃস্টানদের মর্যাদা ক্ষুণœ হবে না। ওমর (রা.) শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রত্যার্পণ এবং ভিন্ন ধর্মের মানুষের সঙ্গে সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রক্ষা এবং তাদের সকল প্রকার মৌলিক মানবাধিকার প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়ে তাদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন যা আজো সংরক্ষিত আছে এবং সম্প্রতি রোমান ক্যাথলিক গীর্জার প্রধান পাদ্রী এ চুক্তির ফ্রেমে বাধা একটি কপি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব এরদোগানের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে গণমাধ্যমে রিপোর্ট বেরিয়েছে।
আগেই বলেছি, ফিলিস্তিন অনেক প্রাচীন একটি জনপদ। এর পাঁচটি শহর যথাক্রমে পেন্টাপোলিশ, গাজা আসকেলন, আসদোদ, গার্থ এবং এক্রোশ। এ পুরো এলাকাটির আয়তন ২৬.৭৯০ বর্গকিলোমিটার। ১৯৪৮ সালের আগে ইসরাইল নামে দুনিযার বুকে কোনো ইহুদি রাষ্ট্র ছিল না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশেষ করে ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত হিটলারের নেতৃত্বাধীন নাৎস্য জার্মান রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ৬০ লাখ ইহুদিসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী প্রায় এক কোটি লোককে হত্যা করে। যুদ্ধে ওসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর গ্রেট বৃটেন ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর তারিখের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ সরকারের তরফ থেকে তৎকালীন বৃটিশ বিদেশমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর কর্তৃক প্রদত্ত এক ঘোষণা অনুযায়ী ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বলাবাহুল্য, ঘোষণাটি বালফোর ব্রিটিশ ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতা রথচাইল্ডের মাধ্যমে বিশ্ব ইহুদি ফেডারেশনকে অবহিত ও আশ্বস্ত করেন। এ ঘোষণার মাধ্যমে বৃটেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, ফিলিস্তিনে তারা ইহুদিদের জন্য একটি ভূখ- বা আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা করবেন। ঐ সময়ে এ ভূখণ্ডে ইহুদিরা নিতান্তই সংখ্যালঘু ছিল। তাদের এ সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনীরা নিজ জন্মভূমি থেকেই উৎখাত হয়ে যান এবং তখন থেকেই ফিলিস্তিনীরা নিজ ভূখ- ফিরে পাবার জিহাদে লিপ্ত রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের নেতৃত্বে পরাশক্তিসমূহ ইহুদি রাষ্ট্রটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য তাকে মধ্যপ্রাচ্যের বুকে একটি পরমাণু শক্তিধর দেশেই শুধু পরিণত করেনি বরং মানববিধ্বংসী অস্ত্রাগারেও রূপান্তরিত করেছে।
নাৎসী জার্মানিতে ইহুদিদের উপর গণহত্যা চালানোর ফলে তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন হারিয়েছে এবং এর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বৃটেন ফিলিস্তিনীদের তাদের আবাসভূমি থেকে উচ্ছেদ করে প্যালেস্তাইন ভূখণ্ডটি Jewish federation of England and Ire-কে প্রদান করে। তাদের দাবি ছিল, কয়েক সহস্র বছর আগে তাদের পূর্ব পুরুষরা ঐ ভূখণ্ডে বসবাস করতেন। মূলত এটি কোনো যুক্তি ছিল না, ছিল একটি জুলুম। বৃটেনের আদি বাসিন্দা ছিল প্রথমে সেলটিক সম্প্রদায় (যাদের অধঃস্তনদের এখনো ওয়েলস ও আয়ারে পাওয়া যায়) পরে এংগলো স্যাক্সনরা। আমেরিকার আদিবাসী ছিল রেড ইন্ডিয়ানরা যারা বাস্তুচ্যুত হয়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের উৎখাত করে ইহুদিদের পুনর্বাসনের প্রশ্ন তখন উঠেনি কেন? জার্মানিতে ইহুদি গণহত্যা বা হলোকষ্ট-এর যেসব কারণ গবেষকরা চিহ্নিত করেছেন তার মধ্যে ছিল বিশ্বযুদ্ধোত্তর জার্মানিতে ইহুদি জনগোষ্ঠীর ব্যাপক অরাজকতা, লুটপাট, দখলবাজি, ইহুদি ব্যবসায়ীদের মুনাফাখোরী এবং ব্যাপক পুঁজি পাচার। তাদের এ অপরাধগুলো ছিল অমার্জনীয় এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে এ গণহত্যা অবধারিত হয়ে পড়েছিল। এখানে ফিলিস্তিনীদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তাহলে তারা কেন এর মূল্য দিলেন? সেমিনার পরিচালনাকালে আমি যখন অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের এ সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম তখন শতকরা ১০০ ভাগ প্রতিনিধিই (২১০ জন) এর কারণ সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মুসলিম বিশ্বে, আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে, একমাত্র তুরস্কেই এ সমস্যা নিয়ে প্রতিবছর আলোচনা পর্যালোচনা হয়। যদিও এর সমাধান এখনো অনেক দূরে।
একটি জাতি, জাতিগোষ্ঠী অথবা জনপদ অত্যাচারিত হবার কারণ আমরা অনেকেই চিহ্নিত করতে পারি না। একটা কথা আছে People Suffer not because of the violence of the bad People but because of the Silence of the good People. মানুষের দুর্ভোগের কারণ মন্দ লোকের হিংস্রতা নয় বরং ভাল লোকের মৌনতা বা নির্লিপ্ততা। গত ৭৭ বছর ধরে ফিলিস্তিনীরা মার খাচ্ছে, লড়াই করছে। তারা নীড় হারা। একটা পাখির নীড় আছে, আশ্রয়স্থল আছে। সে রাতে গাছের ডালে নির্ভয়ে ঘুমাতে পারে। কিন্তু ফিলিস্তিনীদের কোনও আশ্রয় নেই। ইসরাইল নামক ২১ হাজার বর্গকিলোমিটারের প্রায় ৯০ লক্ষ ইহুদী তাদের প্রত্যক্ষ শত্রু। তাদের আশপাশের ঘনিষ্ঠ তিনটি মুসলিম দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি, আরব লীগভুক্ত দেশগুলোর মুসলিম জনসংখ্যা ৫০ কোটি এবং বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২১৫ কোটি। আমরা ফিলিস্তিনীদের জন্য কী করছি? অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধে শরিক হতে পারছি না কিন্তু ইহুদী রাষ্ট্রটি ও তার স্রষ্টা ও রক্ষাকর্তা দেশগুলোর পণ্য বর্জন করে তাদের অর্থনীতিতে ধস নামাতেও কি আমরা চেষ্টা করেছি? এক্ষেত্রে ওআইসির ব্যর্থতা সুস্পষ্ট। আবার ওআইসিভুক্ত মুসলিম দেশগুলোর সরকার ও জনগণ কি এক ভাষায় কথা বলতে পারে? অবশ্যই না। এখানে ঐকমত্য প্রয়োজন দু’টি ক্ষেত্রে। মুসলিম দেশগুলোর জনগণ ও তাদের সরকারের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে, আবার মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। এই ঐক্য যদি আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি তাহলে অত্যাচারী ফ্যাসিস্টরা যে পালায় তার নজির বাংলাদেশ, শ্রীংলংকা এবং অতি সম্প্রতি নেপাল। আলোচনা দীর্ঘায়িত করার জন্য আমি দুঃখিত, তবে এটা বাস্তবতা।
২০১৫ সালের দিকে আমরা তুরস্কে শিক্ষারত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াত ও কর্মসূচিসমূহের বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখার জন্য বন্ধুবর ডা. রেদওয়ানুর রহমানসহ একটি ফোরাম গঠন করে দিয়েছিলাম। আনন্দের বিষয় ফোরামের কাজ এখনো অব্যাহত আছে। পয়লা সেপ্টেম্বর ইস্তাম্বুলে ফোরাম অফিসে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সুযোগ হয়েছিল। এতে সম্মিলিত পাঠচক্রের অংশ হিসেবে মাওলানা মওদুদীর ‘পর্দা ও ইসলাম’ শীর্ষক বইটির ওপর আলোচনা চলছিল এবং মক্কার মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ জার্নালের সাবেক সম্পাদক জনাব জাকির হোসেন সাহেবকে সেখানে প্রধান আলোচক হিসেবে পেয়ে খুশী হলাম। জনাব জাকির এখন ইস্তাম্বুল থেকে প্রকাশিত ইংরেজী দৈনিক Daily Sabah পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
গত কিস্তিতে আমি বাংলাদেশে ২০০৯ সালে হাসিনা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ইসলামী ছাত্রশিবির এমন কি টুপি দাড়িধারী নামাজি ছাত্রদের ওপর সরকারি নিপীড়ন, ছাত্রলীগ কর্তৃক তাদের ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা প্রদান প্রভৃতির প্রেক্ষাপটে তৎকালীন আমীরে জামায়াত মরহুম মকবুল আহমদ ও সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের পরামর্শে আমরা তুর্কী সরকার ও তুরস্কের মূল ধারার ইসলামী আন্দোলন সাদাত পার্টির সহযোগিতা কামনা করি। আমি ২০১৪ সালে তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করি এবং তিনি ছাত্রবৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধি ও অপরাপর সহযোগিতার পরিসর সম্প্রসারণের আশ্বাস দেন। তবে বিদায়ের আগে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব জুলফিকার রহমান কর্তৃক তাকে ও আনাতোলিয়ান ইয়োথ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সালিহ তুরহানকে লেখা ফুলস্কেপ সাইজের পেপারের ছয় পৃষ্ঠাব্যাপী একটি পত্রের ফটোকপি হস্তান্তর করেন। পত্রটিতে জঘন্য ভাষায় বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দল বিশেষ করে জামায়াত ও তার ছাত্র সংগঠনের নিন্দা করে তাদের জঙ্গী ও মানবতাবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের দমন ও বিচারের ক্ষেত্রে সরকারি পদক্ষেপের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয় এবং তাদেরকে কোনও প্রকার সহযোগিতা প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়। রাষ্ট্রদূত জনাব জুলফিকার রহমান বর্তমানে ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত আছেন।
তুরস্ক সরকার তার অনুরোধ উপেক্ষা করেছেন। দেশটির বৃত্তি নিয়ে আমাদের মেধাবী ছেলেরা আমার দৃষ্টিতে একটি বিরাট ইতিহাস গড়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুল, আংকারা, কনিয়াসহ তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫০ জনেরও বেশি ছাত্র বিভিন্ন বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন। অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্নকারীদের সংখ্যা অগণিত। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আইআইইউসিতে সাতজন শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেছেন। একজন আগামী নির্বাচনে বগুড়ার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং বাকীরা তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। এদের মধ্যে একটি গ্রুপ Indian Subcontinental Studes নামক প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। এদের প্রত্যেকেই জামায়াতের একেকটি এসেট। আগামী সংখ্যায় তাদের উপর আলোকপাত করার আশা রাখি।