কলাম
ট্রাম্প-জেলেনস্কি বাগবিতণ্ডা
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এ মুহূর্তের আলোচিত ইস্যু হলো ইউক্রেন-আমেরিকা বৈঠকে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বাগবিতণ্ডা ও এর পরবর্তী কিছু ঘটনা। ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Printed Edition

আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এ মুহূর্তের আলোচিত ইস্যু হলো ইউক্রেন-আমেরিকা বৈঠকে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বাগবিতণ্ডা ও এর পরবর্তী কিছু ঘটনা। ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভøাদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বিতণ্ডার পর ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত হতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল। অবশেষে তা সত্যি হলো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেনে আপাতত কোনো সামরিক সহায়তা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পরিকল্পনা করছে তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিতে বিপদে পড়েছে ইউক্রেন। শুধু যে বন্ধ হয়েছে তাই নয় ইউক্রেনের পথে থাকা মার্কিন অস্ত্র ফেরত আনা হবে। কথা হচ্ছে এরপর কী হবে?
কী ঘটেছিল সে দিন? উত্তপ্ত ১০ মিনিটের বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে ভেস্তে গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কির বৈঠকের আলোচনা। এর জের ধরে তাকে হোয়াইট হাউস থেকে চলে যেতে বলা হয় এবং পূর্ব নির্ধারিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়। ট্রাম্প কথা কাটাকাটির সময় জেলেনস্কিকে কৃতজ্ঞ হওয়ার জন্য বলেন এবং একইসঙ্গে তিনি ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন’ বলে অভিযোগ করেন। তবে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সাথে কোনো আপস করবেন না। মর্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে দৃঢ়তা দেখিয়ে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন জেলেনস্কি। ফলে একদিকে তিনি যেমন প্রশংসিত হচ্ছেন তেমনি সংকট উত্তরণে কোন রূপরেখা না পাওয়ায় সমালোচিতও হচ্ছেন।
রাশিয়া এ বিতর্কে ট্রাম্পকেই সমর্থন জানিয়েছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া ঝাকরোভা বলেছেন, ট্রাম্প অন্তত সংযত আচরণ করেছেন। জেলেনস্কিকে শারীরিক আঘাতও করে বসতে পারতেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, জেলেনস্কির জীবনের সবচেয়ে বড় মিথ্যাটি বলেছেন। ২০২২ সালে কিয়েভ হোয়াইট হাউসের সাহায্য ছাড়াই যুদ্ধ করেছে এমন দাবি পুরোপুরি মিথ্যা।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্তের পর মঙ্গলবার জেলেনস্কি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ইউক্রেনে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে তিনি ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে কাজ করতে চান। ওয়াশিংটনের সঙ্গে খনিজ চুক্তি করতেও প্রস্তুত আছেন। দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনের দিক থেকে আশাবাদের শেষ হয়নি। বিষয়টি বিশ্লেষকরা নানাভাবে দেখছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে দৃঢ় ভূমিকা পালন করায় ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা জেলেনস্কির প্রশংসা করেছেন। সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন।
বিশ্লেষক পল টেইলর বলেছেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওভাল অফিসে অপ্রীতিকর ঘটনার পর ইউরোপের কিছু নেতা দ্রুতই তাকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের পরামর্শ দিতে ছুটে যান। তাদের মধ্যে কিয়ার স্টারমার ও ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটও রয়েছেন। কিন্তু এটি ছিল ভুল পরামর্শ। জেলেনস্কির উচিত এটিকে উপেক্ষা করা।
পল আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও তার প্রশাসন ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা মস্কোর সঙ্গে দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে চায়। এর ফলে ইউক্রেন বিভক্ত হয়ে পড়বে। দেশটি মার্কিন বা ন্যাটোর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থেকে বঞ্চিত হবে। আর মার্কিন কোম্পানিগুলো সেখানে ঢুকে কৌশলগত খনিজ সম্পদ লুটে নেবে। ট্রাম্প তাঁর চিরচেনা মাফিয়া ধাঁচের কৌশল প্রয়োগ করে তাঁর অনুসারীদের জেলেনস্কির অপসারণ দাবি করতে উৎসাহিত করেছেন। বলেছেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমেরিকার সমর্থন তার সঙ্গে আছে, ততক্ষণ এ লোকটা শান্তি চাইবে না।’ এরপর তিনি ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন। উদ্দেশ্য, কিয়েভ যেন নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় এবং পুতিনের শর্ত মেনে যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে বাধ্য হয়।
একটু পেছন ফিরে দেখা যাক। রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে। আক্রমণটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সূত্রপাত করে, ৮৮ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়েছে এবং আরও লক্ষাধিক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়। আন্তর্জাতিকভাবে এ হামলার ব্যাপক নিন্দা করা হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ হামলার নিন্দা করে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং সম্পূর্ণভাবে হামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত রাশিয়াকে সামরিক অভিযান স্থগিত করার নির্দেশ দেয় এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল রাশিয়াকে বহিষ্কার করে। অনেক রাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যা রাশিয়া ও বিশ্বের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে, এবং ইউক্রেনকে মানবিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করে।
ইউক্রেন পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। আয়তনের বিচারে রাশিয়ার পরে এটি ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র; এর আয়তন ৬,০৩,৬২৮ বর্গকিলোমিটার। দেশটিতে প্রায় ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ অধিবাসীর বাস, এটি ইউরোপ মহাদেশের ৮ম জনবহুল দেশ। বলশেভিক বিপ্লবের সময় এটি সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত হয়। ১৯৯১ সালে সেখান থেকে বের হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। রাশিয়ার সে থেকেই দেশটির প্রতি রিরূপ মনোভাব ছিল। আরো কিছু ঘটনায় তা জোরদার হয় আর দেশটিতে হামলা করতে প্ররোচিত হয় ভøাদিমির পুতিনের রাশিয়া। সহজে ইউক্রেনকে পরাস্ত করতে পারবে মনে করলেও তা কার্যত হয়নি। রাশিয়ার অন্তত ১০ হাজার সেনা এ যুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে কোন কোন সূত্র থেকে বলা হয়। ইউক্রেনের নিহতের সংখ্যা আরো বেশি। তিন বছর ধরে যুদ্ধ চলার পরও তা বন্ধের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
পশ্চিমা শক্তি ও আমেরিকা ইউক্রেনকে সাহায্য দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে গেছে। তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন। গত ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়ার আগে কিয়েভের জন্য আরও ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র, সামরিক যান ও অন্যান্য সরঞ্জাম অনুমোদন দেন বাইডেন। সেটা এখন আটকে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, যতক্ষণ না ট্রাম্প মনে করবেন দেশটির (ইউক্রেনের) নেতারা শান্তির প্রতি অঙ্গীকারের সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সহযোগিতা বন্ধ থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের যেসব সামরিক সরঞ্জাম এখন ইউক্রেনে নেই, সেগুলো এ সাময়িক সহযোগিতা বন্ধের আওতায় পড়বে। এরমধ্যে রয়েছে উড়োজাহাজ বা জাহাজে ইউক্রেনের পথে রয়েছে এবং ইউক্রেনে প্রবেশের অপেক্ষায় পোল্যান্ডে রয়েছে, সেসব অস্ত্র।
তবে অপ্রীতিকর ঘটনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কি সুর নরম করে বলেছেন যে, তিনি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শক্তিশালী নেতৃত্বে’ কাজ করতে প্রস্তুত। তার এ বক্তব্য এমন এক সময় এলো যখন যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের জন্য সকল সামরিক সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক দীর্ঘ পোস্টে জেলেনস্কি তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। হোয়াইট হাউজের ওই ‘বাগবিতণ্ডার’ ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলেও অ্যাখ্যা দেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে পরিস্থিতি ঠিক করার’। কারণ, ট্রাম্প তখন অভিযোগ করেছিলেন যে, আলোচনার টেবিলে বসার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত ছিলেন না জেলেনস্কি। ইউক্রেনের নেতা যুদ্ধ শেষ করার প্রাথমিক কিছু ধাপের কথাও তুলে ধরেন।
জেলেনস্কি লিখেছেন, “আমরা দ্রুত যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত এবং প্রথম ধাপে যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি ও আকাশে যুদ্ধবিরতি- ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার ড্রোন, জ্বালানি ও অন্যান্য বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা নিষিদ্ধ করা এবং সমুদ্রে যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকর করা যেতে পারে, যদি রাশিয়া একই পদক্ষেপ নেয়। তিনি আরও বলেন, “এরপর আমরা দ্রুত পরবর্তী ধাপগুলো শেষ করতে চাই এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে একটি শক্তিশালী চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে কাজ করতে চাই”। পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, “শুক্রবারের বৈঠকটি যেমন হওয়ার কথা ছিল, তেমন হয়নি”। তিনি বলেন, “এটি দুঃখজনক যে, বিষয়টি এভাবে ঘটে গেছে। এখন সময় এসেছে পরিস্থিতি ঠিক করার। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে খনিজ সম্পদ চুক্তি ব্যর্থ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ওই চুক্তি ব্যর্থ হওয়ার পর ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরে প্রস্তুত রয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। ওভাল অফিসের বৈঠকে জেলেনস্কির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার জন্য যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা না দেখানোর অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
বৈঠক ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার দেওয়া সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে যখন বৈঠক হয় তখন আর চুক্তিটি হয় নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেলেনস্কিকে “তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে জুয়া খেলার” অভিযোগ তোলেন। এর ফলে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিরা চুক্তি স্বাক্ষর না করেই বৈঠক ত্যাগ করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক বিবৃতির পর ইউরোপের বেশ কয়েকজন নেতা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। স্টারমার জেলেনস্কির শান্তি নিশ্চিত করার বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সমস্ত পক্ষের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনের জন্য একটি স্থায়ী ও নিরাপদ শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়”। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও জেলেনস্কির ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বলে জানিয়েছে এলিসি প্রাসাদ।
অপ্রীতিকর ঘটনার পর পরিস্থিতি পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত মিলছে। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেয়ার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, শান্তি আলোচনা ‘যত দ্রুত সম্ভব’ শুরু করতে ইউক্রেন প্রস্তুত। তিনি একই সঙ্গে বলেছেন যে রাশিয়াও শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি একটি চিঠি পড়ে শোনান। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ চিঠি এসেছে। এ চিঠির জন্য আমি তার প্রশংসা করছি।
দেখা যাচ্ছে উভয় পক্ষই আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। যুদ্ধ অবসানের দিকে আলোচনাকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব কি না সে কথাও ভাবছেন বিশ্লেষকরা। হয়তো কিছুদিনের মধ্যে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে।