জসিম উদ্দিন মনছুরি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সব সময়েই ছাত্ররাজনীতির বড় মঞ্চ। এ অঙ্গনে ইসলামী ছাত্রশিবিরও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে বহুবার। সংগঠনটির জন্মের পর থেকে ডাকসুর ইতিহাসে তারা ছয়বার নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে খুব বেশি সাফল্য তাদের হাতে আসেনি। দীর্ঘ বিরতির প্রায় ছয় বছর পর আবারো ডাকসু নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ক্যাম্পাসে। নতুন করে নানা সংগঠন সক্রিয় হয়েছে। ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠন ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনের জন্য জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন অংশগ্রহণকারী পাঁচটি প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবারের ডাকসু নির্বাচন শুধু শিক্ষাঙ্গনে নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ইনক্লুসিভ তথা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। প্যানেলে শিবিরের বাইরে চাকমা, প্রতিবন্ধী, জুলাইয়ে আহত শিক্ষার্থী, আপ বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের রেখেছেন সংগঠনটি। রয়েছেন বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী নারী শিক্ষার্থীও। প্যানেলে ভিপি পদে ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম ব্যালেট নম্বর ২২, জিএস পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বেলেট নম্বর ৪, এজিএস পদে শাখা শিবির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান ১৪ নাম্বার ব্যালটে লড়বেন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ থেকে যুক্ত হয়েছেন ফাতিমা তাসনীম জুমা। প্যানেলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে রয়েছেন ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন জুলাইয়ে এক চোখ হারানো খান জসীম।সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রয়েছেন নুরুল ইসলাম সাব্বির, যিনি বর্তমানে ঢাবি শিবিরের অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ক্রীড়া সম্পাদক পদে আছেন আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে আসিফ আব্দুল্লাহ, আর সমাজসেবা সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন শরিফুল ইসলাম মুয়াজ।এছাড়া গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে রয়েছেন ঢাবি শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া। ঘোষিত প্যানেলে আরও ১৩টি সদস্য পদ রাখা হয়েছে।
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯৭৯ সাল থেকে শুরু করে ১৯৮০, ১৯৮১, ১৯৮২, ১৯৮৯ এবং ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ১৯৮০ সালে ‘তাহের-কাদের পরিষদ’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল গঠন করে শিবির।১৯৮১ সালের নির্বাচনে তাদের একজন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৮২ সালে এনামুল হক মঞ্জু ও আব্দুল কাদের বাচ্চু ভিপি ও জিএস পদে লড়াই করেন। এ সময় তাদের এক নির্বাচনী মিছিলে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।১৯৮৯ সালে ‘শামসু-আমিন পরিষদ’ নামে প্যানেল গঠন করে ভিপি ও জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিবির।১৯৯০ সালের নির্বাচনে তারা কেন্দ্রীয় তিনটি পদে প্রার্থী দেন।
তথ্য অনুযায়ী, ডাকসুর কেন্দ্রীয় কমিটিতে শিবিরের প্রার্থী মাত্র একবার জয়ী হয়েছিলেন (১৯৮১ সালে একজন নির্বাহী সদস্য)। তবে হল সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন সময়ে শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরা একাধিক পদে জয় পেয়েছে। ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালের নির্বাচনে তারা তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেছিল বলে দাবি করেন সংগঠনটির সাবেক নেতারা। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে শিবির অংশ নেয়নি। তবে তাদের কিছু প্রার্থী হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন বলে জানা যায়। ছাত্রশিবিরের সাবেক এক নেতার দাবি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠার দু’বছরের মাথায় ১৯৭৯ সালে সংগঠনটি প্রথমবারের মতো ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয় ‘তাহের-কাদের পরিষদ’ নামে।তবে কোনো ডাকসু নির্বাচনই এবারের মত প্রতিবন্ধকতাহীন ছিল না সংগঠনটির জন্য। ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মো. মুজিবুর রহমানের দাবি, ১৯৭৭ সালে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর যতগুলো ডাকসু নির্বাচন হয়েছে, সবকটিতেই অংশ নিয়েছেন তারা। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজিবুর রহমান ১৯৮৮ সালে ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি বলেন, “১৯৮০ সাল থেকেই ছাত্রশিবির ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে শুরু করে। তখন আমাদের জনপ্রিয়তা খুব একটা ছিল না, কর্মীর সংখ্যাও সীমিত ছিল। তাই বড় পদে জয় পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ১৯৮২ সালের নির্বাচনে মুহসীন হল ও সলিমুল্লাহ হলে কয়েকটি সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছিলাম।” সে সময় সংগঠনের অবস্থান কেমন ছিল জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “শুরুতে খুব একটা প্রভাব ছিল না। তবে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ১৯৮৯ ও ১৯৯০ পরপর দুবার ডাকসুতে শিবিরের অবস্থান ছিল তৃতীয়।” ১৯৯০ সালে ছাত্রদল প্রায় ৩ হাজার, ছাত্রলীগ আড়াই হাজারের মত ভোট পেয়েছিল। ছাত্রশিবিরের ভোট গড়ে ১২০০-১৩০০ ছিল। আমাদের পরে ছিল ছাত্র ইউনিয়নের অবস্থান, যারা ৯০০ থেকে হাজারের মধ্যে ভোট পেয়েছিল। তার তথ্য যাচাই করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সে সময়ের নির্বাচনের তথ্য জানাতে পারেনি।
ডাকসু ও নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার নজীর আহমদ সিমাব গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের কাছে শুধু ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনের তথ্য সংরক্ষিত আছে। ১৯৮৯ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ থেকে নির্বাচিত ডাকসুর জিএস মুশতাক হোসেনের কাছে এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা ১৯৮৯ সালে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো একসাথে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের হয়ে নির্বাচন করেছিলাম। আর আমাদের প্যানেল পুরোপুরি বিজয়ী হয়েছিল। সে নির্বাচনে ছাত্রশিবির তৃতীয় হয়েছিল।” তবে ১৯৯০ সালের নির্বাচনে আমরা সবাই আলাদা হয়ে যাই। ছাত্রদল ডাকসুতে বিজয়ী হয়। এর পরের অবস্থানে কারা, কত ভোট পেয়েছিল মনে নেই।” ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ভেঙে গেলে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। জিএস প্রার্থী ছিলেন নাসির উদ-দৌজা। তাদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল এখন বিএনপি নেতা এবং নাসির উদ-দৌজা রয়েছেন প্রবাসে। তবে ছাত্র ইউনিয়নের আরেক সাবেক সভাপতি মানবেন্দ্র দেব গণমাধ্যমকে বলেন, “আমার জানা মতে ওই নির্বাচনে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ১৭০০ এবং নাসির উদ-দৌজা দু’হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন।মুশতাক হোসেন বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে আমরা সবাই যখন ক্যাম্পেইন চালাতাম, তখন ছাত্রশিবিরের কাউকে দেখা যেত না। তারা প্যানেল দিয়েছে ঠিকই। তবে তাদের কোনো অবস্থান ছিল না। এমনকি তারা কখনো ডাকসুতে কোনো পদ পায়নি।”
সাবেক ছাত্রশিবির নেতা মুজিবুর রহমান বলেন, “অন্য সব ছাত্রসংগঠনের মত আমাদের প্রচার উৎসবমুখর ছিল না, এটা সত্য। প্রতিকূলতা ছিল এবং প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা প্রচার চালিয়েছি। হলে হলে গিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তবে ওই পরিস্থিতি বদলে গেছে এখন। তিনি বলেন,“জুলাই অভ্যুত্থানে দেশবাসী দেখেছেন ছাত্রশিবির কীভাবে আন্দোলন সফল করায় কাজ করেছে। আমরা আশাবাদী, এবারই ডাকসুতে ছাত্রশিবির জিতে আসবে।”
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে ছাত্রশিবির। একদিকে তাদের সক্রিয় উপস্থিতি চোখে পড়ছে, অন্যদিকে তাদের নিয়ে সমালোচনাও চলছে।বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে নির্যাতিত ছাত্র সংগঠন ছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। তবুও তারা বিগত সরকারের আমলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবসহ সব ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দখলে রেখেছিলেন। প্রকাশ্য কার্যক্রম না চালালেও সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে ছাত্রশিবির কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। এবার ডাকসুতে শিবিরের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ ছিলেন জসীম উদ্দীন হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ও সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক। এস এম ফরহাদ এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এবং ৩৮তম ছাত্রসংসদ নির্বাচনের জিএস প্রার্থী।কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী রায়হান উদ্দিন ছিলেন এফ রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ডিবেটিং কমিটির সহসভাপতি।ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী আরমান হোসেন নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি এয়ার উইংয়ে।
সদস্য প্রার্থী আনাস ইবনে মুনির সক্রিয় ছিলেন স্টুডেন্ট অ্যাগেইনস্ট টর্চার (স্যাট) প্ল্যাটফর্মে।ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গঠনতন্ত্রে নিজেদের স্বতন্ত্র ছাত্র সংগঠন বলে দাবি করলেও বাস্তবে সংগঠনটি সবসময় জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র শাখা হিসেবে কাজ করে এসেছে।পাকিস্তান আমলে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছিল ইসলামী ছাত্রসংঘ। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি তুলেছে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ।সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম রানা জয় ও সালাহউদ্দিন আম্মার নিলয় এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডাকসু গঠনতন্ত্রে বলা আছে, ‘এ সংসদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হবে’। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী, যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যার দোসর ইসলামী ছাত্র সংঘের ‘সরাসরি উত্তরাধিকার’ ইসলামী ছাত্রশিবির ডাকসুতে নির্বাচন করার সুযোগ ‘পাওয়ার কথা না’। স্বাধীনতার পর জামায়াত নিষিদ্ধ হলে ছাত্রসংঘও নিষিদ্ধ হয়। পরে জামায়াতে রাজনীতি করার সুযোগ পেলে ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীদের নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ইসলামী ছাত্রশিবির।
দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে গণঅভ্যুত্থানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির জমিন বদলে যায়। সে জমিনে দাঁড়িয়ে গেল ১৫ জানুয়ারি ছাত্রশিবির ডাকসু নির্বাচন ও গঠনতন্ত্র সংস্কারের প্রস্তাবনা তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করে। ৩৮তম ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এবার দেখার বিষয় ছাত্রশিবির কোন ম্যাজিক দেখাতে পারে কিনা? উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ছাত্রশিবির এবারের নির্বাচনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ছাত্র সংগঠন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ডাকসু নির্বাচনে পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন করলেও ছাত্রশিবিরের জয়ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মনে ছাত্ররা যেভাবে সোচ্চার হয়ে উঠেছে তারই প্রেক্ষিতে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিয়ে ছাত্রশিবির নজির স্থাপন করেছে। এবার দেখার বিষয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদের কিভাবে গ্রহণ করে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সাধারণ ছাত্ররা যেভাবেই ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদেরকে গ্রহণ করছেন সে দৃষ্টিকোণ থেকে ছাত্রশিবির প্যানেল যদি ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী হয় তা অসম্ভব কিছু নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি চাঁদাবাজমুক্ত ক্যাম্পাস এবং ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করবে এমন প্রার্থীদের তারা বেঁচে নিবেন। ছাত্রশিবিরের প্যানেলের প্রার্থীদের যেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপন করে নিয়েছেন তাতে মনে হয় ছাত্রশিবির ডাকসু নির্বাচনে হয়তো ম্যাজিক দেখাতেও পারে।
লেখক : প্রাবন্ধিক।